বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখা নিয়ে সমালোচনার মধ্যে অর্থমন্ত্রীর বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে এল বেনজীর আহমেদের ‘অবৈধ সম্পদের’ প্রসঙ্গ। একজন সাংবাদিক জানতে চাইলেন, সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক বেনজীর অবৈধ উপায়ে অর্জিত সম্পদ কর দিয়ে বৈধ করার আইনি সুযোগ পাবেন কিনা।
জবাবে এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বললেন, সে সুযোগ বেনজীর পাবেন না, কারণ এরই মধ্যে তিনি এবং তার সম্পদ আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে পড়ে গেছে। খবর বিডিনিউজের।
অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০২৪–২০২৫ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার কাজেট প্রস্তাব করেন। সেখানে ১৫ শতাংশ কর দিয়ে অপ্রদর্শিত আয় বিনা প্রশ্নে বৈধ করার সুযোগ রাখা হয়। গতকাল সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদের মতো ব্যক্তিরা এখন ১৫ শতাংশ কর দিলে কালো টাকা সাদা হয়ে যাবে কিনা, সেই প্রশ্ন করেন একজন সাংবাদিক। জবাবে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের সম্পদের বিষয়টি এখন ফৌজদারি (আইনি) প্রক্রিয়ার মধ্যে পড়ে গেছে। এক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ কর দিলে তার সম্পদ বৈধ হবে কিনা, সেটা এখন আইনি প্রশ্নে পরিণত হয়েছে।
গত মার্চের শেষে সাবেক আইজিপির বিপুল অবৈধ সম্পদের খবর আসে সংবাদমাধ্যমে। এরপর বিষয়টি উচ্চ আদালতে গড়ায়। পরে দুদক অনুসন্ধানে নামে। দুদকের আবেদনে বেনজীরের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ ও সম্পদ ক্রোক করার আদেশ দেয় আদালত।
বেনজীরকে নিয়ে প্রশ্নে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, এক্ষেত্রে কর দিলে সম্পদ কীভাবে বৈধ হবে, সেটা তো আইনি প্রশ্ন। তবে এত ঢালাওভাবে আমরা এটাকে দেখতে চাই না। বিভিন্ন কারণে মানুষের অপ্রদর্শিত কিছু সম্পদ থাকতে পারে। এ ধরনের অপ্রদর্শিত অর্থ বৈধভাবে দেখানোর সুযোগ দিতে আমরা এমন প্রস্তাব দিয়েছি।
সংবাদ সম্মেলনে আরেক সাংবাদিক জানতে চান, বেনজীর আহমেদসহ সরকার ও প্রশাসনের উচ্চপর্যায়ের যাদের সম্পদের উৎস নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে, তারা গোয়েন্দাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে কীভাবে এমন পর্যায়ে গেলেন। এ প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা মসিউর রহমান বলেন, বেনজীর আহমেদের বিষয়ে দেশের প্রচলিত আইন অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দেশের একজন নাগরিক হিসেবে যে অধিকার তার (বেনজীর) পাওয়ার কথা, তাকে সেটা দেওয়া হবে।