কার্ফু ভেঙে রাজপথে শিক্ষার্থীরা

ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব বন্ধ শ্রীলঙ্কায়

আজাদী ডেস্ক | সোমবার , ৪ এপ্রিল, ২০২২ at ৬:৪৮ পূর্বাহ্ণ

গণ অসন্তোষের ধিকিধিকি আগুনে ফুঁসছে শ্রীলঙ্কা। শনিবারই অসন্তোষের আগুন দেশ জুড়ে ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে গোটা দ্বীপরাষ্ট্রে হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রামের মতো জনপ্রিয় নেটমাধ্যম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেয় শ্রীলঙ্কার রাজাপক্ষে সরকার। কিন্তু তাতেও অসন্তোষের জোয়ার ঠেকানো যাচ্ছে না। গতকাল রোববার কার্ফু উপেক্ষা করে পথে নামলেন শিক্ষার্থীরা। কাঁদানে গ্যাস, জলকামান, লাঠি চালিয়ে, আকাশে গুলি ছুঁড়েও তাঁদের নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হচ্ছে পুলিশ।
শ্রীলঙ্কার অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয় পেরাদানিয়া চত্বর থেকে রাস্তায় বেরিয়ে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। পুলিশ তাদের আটকাতে কাঁদানো গ্যাসের শেল এবং জলকামান ব্যবহার করছে। কিন্তু তাতেও পরোয়া নেই শিক্ষার্থীদের। সব কিছুকে কার্যত অগ্রাহ্য করে তাঁরা আওয়াজ তুলছেন ভয়াবহ আর্থিক অবস্থার বিরোধিতায়। ক্ষমতাসীন রাজাপক্ষে সরকারের বিরুদ্ধে উঠছে আকাশ ফাটানো স্লোগান।
অন্য দিকে রাজধানী কলম্বোয় শতাধিক মানুষের শান্তিপূর্ণ মিছিল এগিয়ে যাচ্ছিল। পুরোভাগে ছিলেন দ্বীপরাষ্ট্রের বিরোধী নেতারা। কিন্তু বিরোধী দলনেতার বাড়ির ঠিক সামনেই সেই মিছিল থামিয়ে দেওয়া হয়। তাৎপর্যপূর্ণ ব্যাপার হল, সেই সময় পুলিশের হাতে ছিল অ্যাসল্ট রাইফেল। তাহলে কি অসন্তোষ রুখতে শেষপর্যন্ত জমায়েতের উপর গুলি চালানোর কথা ভাবছে সরকার?
বেহাল অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে গণঅসন্তোষ যে ক্রমশ ছড়িয়ে পড়েছে তা শ্রীলঙ্কার সরকারের অজানা নয়। তাই বিক্ষোভ ঠেকাতে সপ্তাহান্তে কার্ফু জারি শুরু হয়। সেই অনুযায়ী, শনিবার সন্ধ্যে ৬টা থেকে কার্ফু শুরু হয়েছে, তা চলবে সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত। কিন্তু রোববার সেই কার্ফু ভেঙে রাস্তায় নামলেন দলে দলে শিক্ষার্থী। শনিবার রাতের হিসেবে প্রায় সাতশো মানুষকে বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। কিন্তু রোববার যখন শিক্ষার্থীরা পুলিশের একের পর এক ব্যারিকেড ভেঙে বিক্ষোভ দেখানো শুরু করলেন, তখন কতজন গ্রেপ্তার হয়েছেন, তার কোনো হিসেব এখনও পর্যন্ত নেই।

পূর্ববর্তী নিবন্ধক্যালিফোর্নিয়ায় গুলিতে নিহত ৬
পরবর্তী নিবন্ধরাঙ্গুনিয়ায় রহম আলী শাহ স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট সম্পন্ন