কাবুলে পাসপোর্ট অফিসে শত শত আফগানের ভিড়

| বৃহস্পতিবার , ৭ অক্টোবর, ২০২১ at ৫:৫৩ পূর্বাহ্ণ

নাগরিকদের পাসপোর্ট দিতে চলতি সপ্তাহ থেকে ফের অফিস খুলছে- এমন খবর ছড়িয়ে পড়ার একদিন পর কাবুলের পাসপোর্ট অফিসে দেখা গেছে শত শত মানুষের ভিড়। গতকাল আফগানিস্তানের রাজধানীর পাসপোর্ট অফিসের ভিড় এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে তালেবান নিরাপত্তারক্ষীদের মাঝে মাঝে লাঠিপেটাও করতে হয়েছে। খবর বিডিনিউজের।
তালেবান কর্মকর্তারা বলেছেন, তাদের পাসপোর্ট সেবা শনিবার থেকে চালু হবে। আগস্টে আশরাফ গানি সরকারের পতনের পর এই সেবা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, যে কারণে দেশ ছাড়তে মরিয়া অনেক আফগান আটকাও পড়েন। মাহির রাসুলি নামের এক আবেদনকারী বলেন, আমি পাসপোর্ট নিতে এসেছি, কিন্তু দেখছেনই তো এখানকার অবস্থা, অসংখ্য সমস্যা, এই পদ্ধতি কাজ করছে না। কখন আসতে হবে সে সম্পর্কিত প্রশ্নের উত্তর দিতে কোনো কর্মকর্তা নেই। কোনো চাকরি নেই, অর্থনৈতিক পরিস্থিতিও ভালো নয়। আমি আমার সন্তানদের সুন্দর ভবিষ্যৎ চাই।
পাসপোর্ট বিভাগ পরিচালনাকারী তালেবান কর্মকর্তাদের মুখপাত্রের কাছ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে এ প্রসঙ্গে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
রয়টার্স জানিয়েছে, পাসপোর্ট সরবরাহ শনিবার থেকে শুরু হবে এবং প্রথম দিকে কেবল আগে আবেদন করা ব্যক্তিদেরই পাসপোর্ট দেওয়া হবে-কর্তৃপক্ষ এমনটা বলার পরও গতকাল পাসপোর্ট অফিসে কয়েকশ আফগান এসে হাজির হয়। তারা বড় একটি কংক্রিটের দেয়ালের এক পাশে ভিড় করে, চেষ্টা করে দেয়ালের উপর দাঁড়িয়ে থাকা এক কর্মকর্তার হাতে তাদের কাগজপত্র হস্তান্তর করতে।
এই দৃশ্য আগস্টে কাবুল বিমানবন্দরের বাইরের ভিড়ের ছবিকে মনে করিয়ে দেয়, সেসময় হাজার হাজার আফগান দেশ ছাড়ার মরিয়া চেষ্টায় বিমানবন্দরের বাইরে জড়ো হয়েছিল। পাসপোর্ট অফিসের দেয়ালের উপর দাঁড়িয়ে থাকা কর্মকর্তা বারবারই লোকজনকে বাড়ি ফিরে যেতে তাগাদা দিয়েছেন এবং শনিবার আসতে বলেছেন। আমি এসেছি পাসপোর্ট নিতে, কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে নিতে পারিনি। আমি জানি না, এই পরিস্থিতিতে আমাদের কী করা উচিত, বলেছেন আহমাদ সাকিব সিদিকী নামের এক ব্যক্তি।
চিকিৎসা নিতে পরিবারের এক সদস্য পাকিস্তান যাবেন, তার সঙ্গী হতেই পাসপোর্টের দরকার সিদিকীর। আফগানিস্তান ছেড়ে যাওয়া ছাড়া উপায় নেই বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। আমাদের আফগানিস্তান ছাড়তে হবে। এখানকার পরিস্থিতি খুব খারাপ। কোনো চাকরি নেই, কোনো কাজ নেই। আমাদের বেঁচে থাকার জন্য এটা ভালো পরিস্থিতি নয়।
অর্থনীতির এমন পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে আফগানিস্তানের দরকার আন্তর্জাতিক সাহায্য। তালেবান বলেছে, তারা আন্তর্জাতিক সহায়তাকে স্বাগত জানাবে। তবে অনেক দাতা দেশ ও প্রতিষ্ঠানই কট্টরপন্থি এ ইসলামী গোষ্ঠীটি আফগানিস্তানের দখল নেওয়ার পর সেখানে ত্রাণ সহায়তা পাঠানো বন্ধ রেখেছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধফেসবুক শিশুদের ক্ষতি করছে দুর্বল করছে গণতন্ত্র
পরবর্তী নিবন্ধওম্যাক্সে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন সুমি