কাপ্তাই লেকে পানি বেড়েছে, বেড়েছে বিদ্যুৎ উৎপাদন

কাপ্তাই প্রতিনিধি | রবিবার , ১৯ জুন, ২০২২ at ৯:১৫ অপরাহ্ণ

লাগাতার প্রবল বর্ষণের ফলে রাঙামাটি পার্বত্য জেলার কাপ্তাই লেকে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। লেকে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় কাপ্তাই বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানো হয়েছে।

কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা গেছে, গত তিন দিনের ভারি বৃষ্টিতে কাপ্তাই লেকে ৪ ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। পানি বৃদ্ধির পূর্বে মাত্র ১টি ইউনিট চালু রেখে বিদ্যুৎ উপাদন করা হলেও বর্তমানে ৩টি ইউনিট চালু রেখে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে।

সূত্রে আরো জানা গেছে, বর্তমানে কাপ্তাই লেকে ৮২ ফুট পানি রয়েছে। যেভাবে বৃষ্টি হচ্ছে তাতে পানি আরো বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।

কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী এ টি এম আব্দুজ্জাহের বলেন, “গত ১৫ জুন পর্যন্ত লেকে পানি ছিল ৭৬ ফুট মীন সী লেভেল (এমএসএল)। তখন ১টি ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হতো। বর্তমানে লেকে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ৫টি জেনারেটরের মধ্যে ৩টি বিদ্যুৎ উৎপাদনে সচল রয়েছে। পানি আরো বাড়লে আরেকটি ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনে চালু করা সম্ভব হবে। তবে ১টি ইউনিট বর্তমানে রক্ষণাবেক্ষণের কাজে বন্ধ রয়েছে। তিনটি ইউনিট থেকে এখন ৯২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হচ্ছে। উৎপাদিত বিদ্যুতের পুরোটাই জাতীয় গ্রিডে সঞ্চালন করা হচ্ছে।”

এদিকে, প্রবল বর্ষণের ফলে কর্ণফুলী নদীতেও পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই সাথে কর্ণফুলীতে প্রবল স্রোত সৃষ্টি হয়েছে। পানি বাড়ার ফলে লিচুবাগানে অবস্থিত ফেরির পন্টুন পানিতে তলিয়ে গেছে। ফেরির লিচুবাগান অংশ এবং রাইখালী দুই অংশেই পন্টুন পানির নিচে ডুবে গেছে। এর ফলে ছোট যানবাহন বিশেষ করে প্রাইভেট কার, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, মোটরসাইকেল ইত্যাদি ছোট গাড়ি ফেরি পারাপারের জন্য পন্টুনে উঠতে পারছে না।

এর ফলে দুই পাড়ে বিপুল সংখ্যক ছোট গাড়ি পারাপারের জন্য অপেক্ষা করছে।

ফেরির পরিচালক মো. শাহজাহান বলেন, “পন্টুনের অবস্থান ঠিকই আছে কিন্তু নদীতে অস্বাভাবিকহারে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে আজ রবিবার(১৯ জুন) সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে ফেরীর দুই পাড়ের পন্টুন পানিতে তলিয়ে গেছে। ভারি বৃষ্টি এবং নদীতে প্রবল স্রোতের কারণে রাতে পন্টুনে কাজ করা সম্ভব নয়।”

আগামীকাল সোমবার(২০ জুন) ফেরির পন্টুন উপরে তোলার কাজ করা হবে বলে জানান তিনি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধডিজিটাল জগতের অজানা শত্রু
পরবর্তী নিবন্ধরাত ৮টার পর দোকান বন্ধ কাল থেকে