কর্দমাক্ত সড়কে ধানের চারা রোপণ করে প্রতিবাদ

উত্তর জলদী

বাঁশখালী প্রতিনিধি | রবিবার , ৯ জুলাই, ২০২৩ at ৫:৪২ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রামের বাঁশখালী পৌরসভা দেখতে দেখতে ২০ বছর পার এবং সি গ্রেড থেকে এ গ্রেডে উন্নীত হলেও আশানুরূপ উন্নয়ন না হওয়ায় পৌরসভার জনগণ নানাভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করছে। তারই অংশ হিসেবে গতকাল শনিবার সকালে পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর জলদী এলাকায় সাধারণ জনগণ কর্দমাক্ত সড়কে ধানের চারা রোপণ করেন।

তারা অভিযোগ করে বলেন, আমাদের এলাকায় কয়েকশ লোক প্রবাসে থাকেন। এখান থেকে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ প্রচুর পরিমাণ রাজস্ব পেলেও এলাকার অভ্যন্তরীণ সড়কগুলো চলাচল অযোগ্য হয়ে পড়ে আছে। তাতে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি দীর্ঘসময়। তাই নিজেদের মনের ক্ষোভ নিরসনে চলাচলের সড়কে ধানের চারা রোপণ করা হচ্ছে বলে তারা জানান।

তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বাঁশখালী পৌরসভা সি গ্রেড থেকে এ গ্রেডে উন্নীত হলেও পৌর এলাকায় আশানুরূপ উন্নয়ন হয়নি। ওল্টো পৌরসভা হওয়ার পর পৌর এলাকার জায়গাজমির দাম বৃদ্ধি এবং জনগণকে নানাভাবে উচ্চহারে রাজস্ব প্রদান করতে হয়।

উল্লেখ্য, বাঁশখালীর উপজেলা সদরের জলদী ইউনিয়নকে ২০০২ সালের ডিসেম্বরে পৌরসভায় উন্নীত করা হয়। পরবর্তীতে ২০০৩ সালের ১৫ জানুয়ারি প্রথম পৌর প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বিএনপি নেতা কামরুল ইসলাম হোছাইনী। পরবর্তীতে ২০০৪ সালের ৫ মে প্রথম নির্বাচনে পৌর মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হন বিএনপি নেতা কামরুল ইসলাম হোছাইনী। পরবর্তীতে ২০১১ সালের ১৮ জানুয়ারির নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সমর্থন নিয়ে পৌর মেয়র নির্বাচিত হন শেখ ফখরুদ্দিন চৌধুরী। তৃতীয় নির্বাচনে ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সমর্থন নিয়ে মেয়র নির্বাচিত হন শেখ সেলিমুল হক চৌধুরী। সর্বশেষ ২০২২ সালের ১৬ জানুয়ারির নির্বাচনে চতুর্থ মেয়র নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট এসএম তোফায়েল বিন হোছাইন।

এদিকে এলাকার উন্নয়নের জানতে চাইলে মেয়র অ্যাডভোকেট এসএম তোফায়েল বিন হোছাইন বলেন, পৌরসভা স্থাপিত হওয়ার মেয়াদ দীর্ঘ হলেও আমি মেয়রের দায়িত্ব নিয়েছি সবেমাত্র একবছর হয়েছে। এর মধ্যে ১০/১২টি সড়কের আরসিসি ঢালাইয়ের মাধ্যমে সড়ক সংস্কার করেছি। আমার একশ কোটি টাকার কর্মপরিকল্পনা রয়েছে, যা আগামী দুই বছরে বাস্তবায়ন করতে পারলে পৌর এলাকায় আর কোনো কাঁচা সড়ক থাকবে না। তিনি বলেন, যে সড়কটিতে ধানের চারা রোপন করা হয়েছে, সে সড়কটির জন্য ১৬ কোটি টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। আশা রাখি অচিরেই এ সড়কটিও সংস্কার হলে জনদুর্ভোগ কমবে। এ জন্য আমি সকলের সহযোগিতা চাই।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমাতারবাড়ি কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্পের টাউনশিপ এলাকায় অগ্নিকাণ্ড
পরবর্তী নিবন্ধজেলখানার ৬০ শতাংশ বন্দি মাদক কারবারি ও সেবনকারী : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী