কর্ণফুলী নদী রক্ষাকল্পে জরুরি পদক্ষেপ চাই

| বৃহস্পতিবার , ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২২ at ৫:২৩ পূর্বাহ্ণ

দেশের একমাত্র বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রাম। অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্রও বলা যায়। সমুদ্রবন্দর ও কর্ণফুলী নদীর অস্তিত্বই এর মূল কারণ। তাই বলা হয়, কর্ণফুলী বাঁচলে চট্টগ্রাম বাঁচবে। সম্প্রতি দখল, দুষণ, বর্জ্য ফেলা সহ ইত্যাদি কারণ, কর্ণফুলীকে ক্রমেই ঠেলে দিচ্ছে হুমকির মূখে। এগিয়ে যাচ্ছে মরণদশায়। ড্রেজিংয়ের সময় দেখা গেছে, এর তলদেশে ৬০ ফুট পর্যন্ত পলিথিনের স্তর জমা হয়েছে। এছাড়া প্রতিনিয়ত শিল্প ও গৃহস্থালি বর্জ্যতো পড়ছেই। এ অবস্থায় নদী রক্ষায় জরুরি উদ্যোগ নিতে হবে বলছেন বিশেষজ্ঞরা।চট্টগ্রাম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) ২০১৮-১৯ সালের এক গবেষণা থেকে জানা যায়, বন্দরনগরীতে দৈনিক বর্জ্য উৎপাদিত হয় তিন হাজার টন। এর প্রায় পুরোটাই পড়ছে কর্ণফুলী নদীতে। এর ৮.৩ শতাংশই হচ্ছে প্লাস্টিক-পলিথিন বর্জ্য। সেই হিসাবে নগরীতে প্রতিদিন অপচনশীল এই বর্জ্য তৈরি হয় ২৪৯ টন। নদীর তলদেশে জমা হওয়া ৬০ ফুট বর্জ্যের স্তরের কারণে ব্যাহত হচ্ছে ভূগর্ভে পানি প্রবেশ। অতএব, নদী রক্ষায় আগে নদীর তলদেশ থেকে প্লাস্টিক বর্জ্য সরাতে হবে। সঙ্গে নদীতে প্লাস্টিক-পলিথিনসহ সব ধরনের বর্জ্য ফেলা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। তা না হলে যেমন ব্যাহত হবে নদীতে নৌপরিবহন তেমনি আমদানি-রপ্তানিও। আশা করি, অচিরেই কর্তৃপক্ষ বিষয়টি গুরুত্বের সাথে আমলে নিবেন।

কে. এম. ছালেহ আহমদ জাহেরী
শিক্ষার্থী, মৌকারা ডিএসএন কামিল মাদ্রাসা, নাঙ্গলকোট, কুমিল্লা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধতারকনাথ গঙ্গোপাধ্যায় : কথাসাহিত্যিক
পরবর্তী নিবন্ধমা আমাদের জীবনের উজ্জ্বল নক্ষত্র