করোনা মোকাবেলায় সতর্ক হোন

সাহাদাত হোসাইন সাহেদ | রবিবার , ৩০ জানুয়ারি, ২০২২ at ৫:৪৯ পূর্বাহ্ণ

করোনা বৃদ্ধির কারণে সরকারের নানাবিধ প্রজ্ঞাপন জারি কি লোক দেখানো? এর প্রয়োগ কি শুধু শিক্ষা কার্যক্রমে? স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় কি করোনার পুরো চাপ? অন্য সব বহাল তবিয়তে রোগের পরিক্রমা বৃদ্ধিতে মাঠে থাকবে-বিষয়টি কি এরকম ? সরকারের নীতি মালা গুলি মাথায় ডুকে না। কেন এমন রঙ্গ লীলা? যথাযথ কর্তৃপক্ষ কি বুঝিয়ে বলবেন?
প্রতিটি স্কুল মাঠে চলছে নানাবিধ মেলা, রাজনৈতিক জনসমাবেশ এলাকার মেজবানী ও ক্লাব সমূহ বিয়ের আয়োজন। অধিক লোকের সমাহার–তাহলে ব্যাপারটি কী দাঁড়ায়। প্রশাসন কি করোনা রোগ বৃদ্ধিতে পূর্ণাঙ্গ সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন? সুস্থ মাথার চিন্তা চেতনায় কি এমন কার্যক্রম সম্ভব? প্রকৃতপক্ষে এটা সরকার ও প্রশাসনের ছলচাতুরী নয় কি? যদি সমার্থক কর্মে প্রশাসন বিশ্বস্ত থাকতো তবে তা থামিয়ে দেওয়া কি এত কঠিন?
করোনা, ছোঁয়াছে নীরব ঘাতক। এলাকা পরিদর্শনে নামলে বুঝা যায়, কত পরিবার এই ভয়াল রোগে আক্রান্ত। বর্তমানে এই রোগের সিম্পটম বুঝা মুশকিল। ঘরে ঘরে এই নীরব ঘাতক হানা দিয়ে যাচ্ছে, তার হিসাব নিরুপনের সঠিক তথ্য বিভিন্ন চ্যানেল ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর তুলে আনতে পারছে না। তাই প্রয়োজন সতর্কতার দিক জোড়ালে করা, মানব কল্যাণে প্রশাসন আরো তৎপর হওয়া। সংক্রমের মাত্রা বিবেচনায় ঢাকা, চট্টগ্রামসহ ১২টি জেলা আছে উচ্চ ঝুঁকিতে। শনাক্তের হার গড়ে ১০ থেকে ১৯ শতাংশ। ওমিক্রন দ্রুত ঝড়ো হাওয়ার মত ধসিয়ে দিচ্ছে নানা এলাকা। তাই নানা ধুমধামের সব কার্যক্রম বন্ধ করা অতীব জরুরি। সর্দি জ্বর কাশি দেখা দিলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন। মাননীয় কর্তৃপক্ষ ও নীতি নির্ধারকরা মাস্ক পরিধানে বাধ্য করতে মাঠে আসুন। মেলা, জলসা ও সমাবেশ বন্ধ করুন। জনজীবনের দুর্বিষহ যাতনা নিযন্ত্রণে কঠোর হোন। ওমিক্রন দুয়ারে দুয়ার কড়া নাড়ছে। নিজে সুস্থ থাকুন, অন্যকে সুস্থ রাখুন। রোগ লুকিয়ে অপরের ক্ষতি সাধন করবেন না প্লীজ। সচেতন হওয়া আপনার আমার নাগরিক দায়িত্বও বটে। লেখক : প্রাবন্ধিক

পূর্ববর্তী নিবন্ধআদর্শবান ছাত্র দেশের একটি বড় সম্পদ
পরবর্তী নিবন্ধঠান্ডা মিয়ার হাসপাতাল