করোনা কেড়ে নিল অর্ধ কোটি মানুষের প্রাণ

| রবিবার , ৩ অক্টোবর, ২০২১ at ৫:২০ পূর্বাহ্ণ

পৌনে দুই বছর ধরে বিশ্বকে আতঙ্কগ্রস্ত করে রাখা করোনাভাইরাস মহামারীতে মোট মৃত্যু ৫০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক হিসাবে উঠে এসেছে। বিশ্বজুড়ে এখন টিকা না নেওয়া ব্যক্তিরা ভাইরাসের অতি সংক্রামক ধরন ডেল্টায় বেশি ধরাশায়ী হচ্ছেন। তার মধ্যে শুক্রবার বিশ্ব এ দুঃখজনক মাইলফলক ছাড়াল।
ডেল্টা ধরন ধনী ও দরিদ্র দেশগুলোর মধ্যে টিকাদানের হারে ব্যাপক বৈষম্যের বিষয়টিও উন্মোচন করে দিয়েছে। অন্যদিকে পশ্চিমা দেশগুলোর কোথাও কোথাও পর্যাপ্ত টিকা থাকার পরও মানুষজন টিকা নেওয়া নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগছে। বিশ্বে করোনায় এখন পর্যন্ত যত মানুষের প্রাণ গেছে, তার অর্ধেকেরও বেশি দেখেছে ৭টি দেশ যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ব্রাজিল, মেক্সিকো ও ভারত। খবর বিডিনিউজের। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনে প্রথম আবির্ভূত হওয়া কোভিডে প্রথম ২৫ লাখ মানুষের মৃত্যুতে সময় লেগেছিল এক বছরের খানিকটা বেশি। পরের ২৫ লাখের জন্য লাগল ৮ মাসেরও কম। ভাইরাস কেবল গত সপ্তাহেই প্রতিদিন গড়ে ৮ হাজার, মিনিটে ৫ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। অবশ্য এই সংখ্যা কয়েক মাস আগের তুলনায় অনেক কম। সামপ্রতিক সপ্তাহগুলোতে বিশ্বজুড়ে মৃত্যুহার ধীরে ধীরে কমে আসায় বিশেষজ্ঞদের অনেকের মধ্যে স্বস্তি দেখা যাচ্ছে। এ কারণেই সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখার চেয়েও বিশ্বনেতাদের কাছে এখন বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে টিকাদানের হার বাড়ানো।
গত কয়েক মাসে বিভিন্ন কোম্পানি কোটি কোটি ডোজ টিকা সরবরাহ করলেও দরিদ্র দেশগুলোর অসংখ্য মানুষ এখনও প্রথম ডোজই পায়নি। ধনী দেশগুলো তাদের জনসংখ্যা অনুপাতে কয়েক গুণ বেশি টিকার ক্রয়াদেশ দিয়ে রেখেছে। কোনো কোনো দেশ এরই মধ্যে বেশিরভাগ নাগরিককে টিকা দেওয়া শেষে শুরু করেছে বুস্টার ডোজের প্রয়োগ। আওয়ার ওয়ার্ল্ড ইন ডাটার তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের মোট জনগোষ্ঠীর অর্ধেকেরও বেশি এখনও টিকার বাইরে। এখন পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে ৬২৭ কোটি ডোজ সরবরাহ হয়েছে। অথচ স্বল্প আয়ের দেশগুলোর মাত্র ২ দশমিক ৩ শতাংশ ‘ভাগ্যবান’ মানুষ নিতে পেরেছেন প্রথম ডোজ।
করোনায় বিশ্বে এখন পর্যন্ত বিশ্বে যতজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে, তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু দেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার দেশটিতে কোভিডে মৃত্যু সংখ্যা ৭ লাখ ছাড়িয়ে যায়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনির্মাণাধীন ভবনের ৭ তলা থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু
পরবর্তী নিবন্ধগাছ উপড়ে পড়ে যান চলাচল বন্ধ ছিল দুই ঘণ্টা