কমতে পারে ইন্টারনেটের গতি

সাবমেরিন কেবলের বিকল্প রুট চালুতে কাজ শুরু

আজাদী অনলাইন | শুক্রবার , ২৮ মে, ২০২১ at ৩:৫৬ অপরাহ্ণ

দেশের প্রথম সাবমেরিন কেবলের ভূ-গর্ভস্থ বিকল্প রুট চালু করতে কক্সবাজার ল্যান্ডিং স্টেশনের টার্মিনেটেড সার্কিটগুলো বন্ধ রেখেছে বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিসিএল)।
আজ শুক্রবার বেলা আড়াইটায় এ কাজ শুরু হওয়ায় দেশের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা ধীরগতির কারণে কিছুটা সমস্যায় পড়তে পারেন বলে জানিয়েছেন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মশিউর রহমান। বিডিনিউজ
কক্সবাজারের ল্যান্ডিং স্টেশন থেকে তিনি বলেন, “নতুন রুটে স্থাপিত অপটিক্যাল ফাইবার ও পাওয়ার কেবলের সঙ্গে ‘সি-মি-উই-৪’ সাবমেরিন কেবলের সংযোগ দিতে প্রায় ৮ ঘণ্টা সময় লাগবে। ততক্ষণ ইন্টারনেটের ধীরগতির সমস্যা থাকতে পারে।”
তবে সেই সমস্যা এখনও বড় আকার ধারণ করেনি জানিয়ে তথ্যপ্রযুক্তি ও আইআইজি সেবাদানকারী কোম্পানি ফাইবার অ্যাট হোমের প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা সুমন আহমেদ সাবির বলেন, “ছুটির দিনে অফিস আদালত বন্ধ থাকায় এমনিতেই ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের চাহিদা এক তৃতীয়াংশে নেমে আসে। তাই এখনও তেমন সমস্যা হচ্ছে না। তাছাড়া বেশিরভাগ ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান একাধিক বিকল্প ব্যবস্থা রাখে, তাই এক কেবলে সমস্যা হলে অন্য রুটে তারা সেবা দিতে পারে।”
দেশে ইন্টারনেট সেবাদাতা কোম্পানিগুলোর সংগঠন আইএসপিএবি’র সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হক বলেন, “তেমন একটা সমস্যা এখনো আমরা দেখতে পাইনি। সাধারণ গ্রাহকরা তেমন সমস্যায় পড়ছেন না।”
বিএসসিসিএল জানায়, কক্সবাজার সড়ক বিভাগ ও কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সড়ক উন্নয়ন কাজের জন্য ‘সি-মি-উই-৪’ সাবমেরিন কেবলের কক্সবাজার ল্যান্ডিং স্টেশন থেকে বিচ ম্যানহোল পর্যন্ত বর্তমান ভূ-গর্ভস্থ কেবলের বিকল্প রুট হিসাবে নতুন একটি ভূ-গর্ভস্থ কেবল রুট স্থাপনের কাজ শেষ হয়েছে।
এখন নতুন রুটে স্থাপিত অপটিক্যাল ফাইবার ও পাওয়ার কেবলের সঙ্গে ‘সি-মি-উই-৪’ সাবমেরিন কেবলের সংযোগ দেওয়া হচ্ছে।
তাছাড়া ‘সি-মি-উই-৪’ সাবমেরিন কেবলের মাধ্যমে টার্মিনেটেড সার্কিটগুলো নতুন ভূ-গর্ভস্থ কেবলে (বিচ ম্যানহোল থেকে কক্সবাজার ল্যান্ডিং স্টেশন) স্থানান্তর করা হবে।
আজ শুক্রবার দুপুর আড়াইটা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সময়ের মধ্যে এ কাজ হবে বলে এই আট ঘণ্টা সাবমেরিন কেবলের মাধ্যমে কক্সবাজার ল্যান্ডিং স্টেশনের টার্মিনেটেড সার্কিটগুলো বন্ধ থাকবে।
বিএসসিসিএল বলেছে, এ সময়ে দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল ও আইটিসি সার্কিটগুলো চালু থাকলেও ইন্টারনেট গ্রাহকরা সাময়িকভাবে ধীরগতির সমস্যায় পড়তে পারেন।
ইন্টারনেট সেবাদাতাদের তথ্য অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে প্রায় এক হাজার ৭০০ জিবিপিএসের বেশি ব্যান্ডউইথ ব্যবহার হয়, যার প্রায় অর্ধেক আসে দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল দিয়ে।
বাংলাদেশ প্রথম সাবমেরিন কেবল ‘সি-মি-উই-৪’ এ যুক্ত হয় ২০০৫ সালে। তারপর ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল ল্যান্ডিং স্টেশনের মাধ্যমে এসইএ-এমই-ডব্লিউই-৫ সাবমেরিন কেবলে যুক্ত হয়।
সাবমেরিন কেবল ছাড়াও বাংলাদেশ এখন ছয়টি আইটিসি বা ইন্টারন্যাশনাল টেরিস্ট্রিয়াল কেবলের মাধ্যমে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবে যুক্ত।

পূর্ববর্তী নিবন্ধজ্বরে আক্রান্ত খালেদা জিয়া
পরবর্তী নিবন্ধহালিশহরে অভিমানে প্রেমিকার আত্মহত্যা