কক্সবাজারে রোহিঙ্গা নারীদের জন্য নারীবান্ধব কেন্দ্র উদ্বোধন

নিরাপত্তা ও দক্ষতা উন্নয়নই লক্ষ্য

আজাদী অনলাইন | সোমবার , ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ at ৯:২৩ অপরাহ্ণ

কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালংয়ে লাম্বাসিয়ায় মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বাস্তূচ্যুত রোহিঙ্গা নারীদের নিরাপত্তা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা উন্নয়নের জন্য ব্যতিক্রমী নারীবান্ধব কেন্দ্র উদ্বোধন করা হয়েছে।
আজ সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ঐ এলাকার চার নম্বর ক্যাম্পে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ফিতা ও কেক কেটে এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ত্রাণ ও পুণর্বাসন মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব ও ক্যাম্প ইনচার্জ মাহফুজুর রহমান।
এই সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইউনাইটেড নেশন হাইকমিশন ফর রিফিউজি (ইউএনএইচসিআর)-এর লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা ইউনিটের কর্মকর্তা তেরা ম্যাককিনন, ব্র্যাকের হিউম্যানিট্যারিয়ান ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রাম (এইচসিএমপি)-এর এরিয়া ডিরেক্টর হাসিনা আখতার হক, ত্রাণ ও পুণর্বাসন মন্ত্রণালয়ের সহকারি সচিব ও সহকারি ক্যাম্প ইনচার্জ বিমল চাকমা, ব্র্যাকের লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা ইউনিটের প্রজেক্ট ম্যানেজার শেখ জাহিদুর রহমান, স্থানীয় রোহিঙ্গা নারী নেত্রী আনোয়ারা বেগম প্রমুখ।
মাহফুজুর রহমান বলেন, “রোহিঙ্গা নারীদের বাল্যবিবাহ নিরোধসহ বিভিন্ন বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি ও দক্ষতা উন্নয়নের উদ্দেশ্যে এটা নির্মাণ করা হয়েছে। এটা যেন সঠিকভাবে কার্যকর করা হয়, সেদিকে গুরুত্ব দিতে হবে।”
এজন্য সরকারের পক্ষ থেকে বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাককে যাবতীয় সহযোগিতা দেওয়ার আশ্বাস প্রদান করেন তিনি।
তিনি বলেন, “এই কেন্দ্রের মাধ্যমে আমাদের বাল্যবিবাহ নিরোধে কাজ করার পাশাপাশি পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ে রোহিঙ্গা কমিউনিটিকে সম্পৃক্ত করে সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে।”
হাসিনা আখতার হক বলেন, “এটাকে রোহিঙ্গা কমিউনিটি যেন শুধু অবসরের স্থান হিসেবে বিবেচনা না করেন। বরং প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে নিজেরা যেন দক্ষ হয়ে উঠেন, সেদিকে বেশি মনোযোগ দিতে হবে। এতে তারা আত্মনির্ভরশীল হয়ে উঠবেন এবং সত্যিকার ‘শান্তিখানা’ হিসেবে বিবেচিত হবে।”
এই কেন্দ্রের মাধ্যমে রোহিঙ্গা নারীদের বাল্যবিবাহ নিরোধ, মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় বিশেষ কাউন্সেলিং, জেন্ডার সচেতনতা, লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার শিকার নারীদের সহায়তা প্রদান, টেনলারিং ও হস্তশিল্পে প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন কর্ম দক্ষতার প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এতে প্রতি ব্যাচে ২০-২৫ জন করে দিনে ১০০-১২০ জন মেয়ে ও নারীদের প্রশিক্ষণ গ্রহণের সুযোগ থাকছে।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালে এপ্রিল মাসে বজ্রপাতে এই কেন্দ্রটি পুড়ে যায়। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর চাহিদার নিরিখে আজ এই কেন্দ্রটি আবার উদ্বোধন করা হলো।
ইউনাইটেড নেশন হাইকমিশন ফর রিফিউজি (ইউএনএইচসিআর)-এর সহযোগিতায় ব্র্যাক এই কেন্দ্র পুননির্মাণ ও যাবতীয় কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা ২ এপ্রিল, ডেন্টালে ৩০ এপ্রিল
পরবর্তী নিবন্ধটিকা গ্রহীতার সংখ্যা বেড়েছে