ওমিক্রন প্রতিরোধে পুলিশের জন্য ২১ নির্দেশনা

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ৭ জানুয়ারি, ২০২২ at ৪:৫৫ পূর্বাহ্ণ

সাধারণ মানুষের জানমাল রক্ষা ও সরকারি সম্পদ রক্ষা করতে গিয়ে পুলিশ সদস্যদের বেশির ভাগ সময় মাঠে থাকতে হয়। এজন্য তাদের মধ্যে করোনার সংক্রমণও বেশি হয়ে থাকে। এবার তাই ওমিক্রন প্রতিরোধে পুলিশ সদস্যদের আগে ভাগে সতর্ক করার উদ্যোগ নিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর। পুলিশ সদস্যদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ২১ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। গত বুধবার পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি অপারেশনস-২) মোহাম্মদ উল্লা স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
নির্দেশনায় যা বলা হয়েছে : ১) দায়িত্ব পালনের সময় পুলিশ সদস্যের অবশ্যই মাস্ক, গ্লাভস, হেড কভার, ফেসশিল্ড পরিধান করতে হবে। ২) হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার ও দায়িত্ব পালন শেষে সাবান, হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে হবে। ৩) কোডিড-১৯ উপসর্গ দেখা দিলে আইসোলেশন সেন্টারে চিকিৎসা নিতে হবে। ৪) দ্রুত সময়ের মধ্যে করোনার টিকা নিতে হবে। ৫) পুলিশের সব ইউনিটে ‘নো মাস্ক নো সার্ভিস’ এবং ‘নো মাস্ক এন্ট্রি’ নির্দেশনা পালন করতে হবে। ৬) কর্তব্যরত অবস্থায় শারীরিক দূরত্ব (অন্তত ৩ ফুট বা ১মিটার) বজায় রাখতে হবে। ৭) হাঁচি-কাশির শিষ্টাচার ও স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। ৮) সেবাগ্রহীতা ও দর্শনার্থীদের পুলিশ স্থাপনায় প্রবেশের সময় শরীরের তাপমাত্রা নির্ণয়, হাত ধোয়া, স্যানিটাইজার ব্যবহার করার ব্যবস্থা রাখতে হবে। ৯) প্রত্যেক পুলিশ সদস্যের ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী (মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ইত্যাদি) ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। ১০) অভিযানে ব্যবহৃত অস্ত্র, হাতকড়া, রায়ট গিয়ার, হ্যান্ডমাইক, মেটাল ডিটেক্টর, আর্চওয়ে যথাযথভাবে জীবাণুমুক্ত করতে হবে। ১১) দায়িত্ব পালন শেষে আবাসস্থলে ঢোকার আগে পোশাক ও জুতা ভালোভাবে জীবাণুমুক্ত করা এবং সাবান দিয়ে গোসল করতে হবে। ১২) ডাইনিংরুম, ক্যান্টিন, বিনোদন কক্ষ, রোল কল, ডিউটিতে যাওয়ার আগে ও ফেরার পর, সমাবেশস্থলে সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রীর ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। ১৩) উপসর্গ দেখা দিলে বা আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে কোভিড পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। ১৪) আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের হাসপাতালে রেখে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। ১৫) ইউনিট ইনচার্জকে জরুরি প্রয়োজনে আক্রান্ত পুলিশ সদস্যকে অন্যত্র স্থানান্তরে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ১৬) ইউনিট ইনচার্জ ও অন্যান্য কর্মকর্তার নিজ ইউনিটের আক্রান্ত সদস্য ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা ও সহায়তা করতে হবে। ১৭) হাজতখানা জীবাণুমুক্ত রাখা এবং হাজতে থাকাকালে কোভিডের লক্ষণ প্রকাশ পেলে অবিলম্বে তাকে পৃথক করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। ১৮) রেশন সামগ্রী, ওষুধ ইত্যাদি সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও বিতরণের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি এবং সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে হবে। ১৯) করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে পুলিশ সদর দপ্তরের এসওপির নির্দেশনা অনুসরণ ও রোল কলে সচেতনতামূলক ব্রিফিং দিতে হবে। ২০) সংক্রমণ সংক্রান্ত নির্দেশনা যথাযথ ও আন্তরিকভাবে প্রতিপালন করতে হবে এবং ২১) সংশ্লিষ্ট ইউনিটে কর্মরত সব সদস্যের স্থানীয় স্বাস্থ্য প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে টিকার বুস্টার ডোজ গ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। পুলিশ সদস্যদের পাশাপাশি তাদের পরিবারের সদস্যদেরও এ নির্দেশনা পালন করতে হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর।

পূর্ববর্তী নিবন্ধখালেদা জিয়ার কিছু হলে বিএনপি নেতারাই আসামি হবেন : তথ্যমন্ত্রী
পরবর্তী নিবন্ধলোভনীয় অফারে প্রতারণা