এশিয়া কাপে ওপেনিংয়ে পরিবর্তন দেখা যেতে পারে

ক্রীড়া প্রতিবেদক | মঙ্গলবার , ১৬ আগস্ট, ২০২২ at ১০:৩০ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশের ক্রিকেটের যেকোন ফরম্যাটে ওপেনিংয়ে একপ্রান্তে নির্ভরতার নাম তামিম ইকবাল। কিন্তু টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নেওয়ার পর এই ফরম্যাটে বাংলাদেশকে ভাবতে হচ্ছে ওপেনিং জুটি নিয়ে। বিশেষ করে টি-টোয়েন্টিতে উদ্বোধনী জুটি নিয়ে ক্রমাগত ধুঁকছে বাংলাদেশ । তাই এশিয়া কাপে নতুন করে পরিবর্তন আনতে চাচ্ছে ওপেনিং জুটিতে। মিডল অর্ডার থেকে অভিজ্ঞ কোনো ব্যাটসম্যানকে কিংবা ঘরোয়া ক্রিকেটে টুকটাক ওপেনিংয়ের অভিজ্ঞতা আছে, এমন কাউকে ইনিংসের শুরুতে তুলে আনতে চায় টিম ম্যানজেম্যান্ট। এশিয়া কাপের জন্য ঘোষিত ১৭ জনের দলে স্বীকৃত ওপেনার কেবল দুই জন। তাদের কারও জায়গা পাকা নয় দলে। একজন এনামুল হক মাত্র কদিন আগে দলে ফিরেছেন দীর্ঘদিন পর। আরেকজন পারভেজ হোসেন ইমন জিম্বাবুয়েতে শেষ টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে।
এই বছর ৮টি টি-টোয়েন্টি খেলে ৫টি ভিন্ন উদ্বোধনী জুটি ব্যবহার করেছে বাংলাদেশ। লাভ হয়নি খুব একটা। ওপেনারদের মধ্যে কেবল লিটন দাসও একটু রান করছিলেন। ইনজুরির কারণে তিনি ছিটকে গেছেন এশিয়া কাপ থেকে। দল ঘোষণার সংবাদ সম্মেলনে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, মিডল অর্ডার থকে কাউকে ওপেনিংয়ে তুলে আনার চিন্তা আছে তাদের। বাংলাদেশ দলেল টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ বলেন আমাদের ওপেনাররা কেউ ভালো করছে না। জিম্বাবুয়েতে আমরা কয়েকজনকে দেখেছি কিন্তু ভালো করেনি। তামিম ইকবালের না থাকাটা একটা ধাক্কা আমাদের জন্য। তাই আমরা নানা চিন্তা করেছি। অভিজ্ঞদের মধ্যে থেকে খুঁজে বের করতে চাই, যারা টি-টোয়েন্টি অনেক খেলেছে। কিংবা যারা ঘরোয়া ক্রিকেটে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ওপেন করেছে। তাদেরকে আমরা চিন্তা করতে পারি। কিংবা কারও ব্যাটিং পজিশন বদলে দিয়ে চিন্তা করতে পারি। দলে স্বীকৃত ওপেনার এখানে আছে এনামুল বিজয় ও পারভেজ ইমন। তবে বাকি অনেকেই কিন্তু লোকাল ক্রিকেটে ওপেন করেছে। আমরা ওভাবেই ভাবছি। মুশফিক হতে পারে। সাকিবও হতে পারে। মিরাজ হতে পারে কিংবা শেখ মেহেদিও ওপেন করতে পারে। সুতরাং অনেকগুলো অপশন আছে আমাদের হাতে। এদিকে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ১১৯ টি টি-টোয়েন্টি খেলা মাহমুদউল্লাহকে যে কোনো পজিশনের জন্য প্রস্তুত রাখা হবে বলে জানিয়েছেন খালেদ মাহমুদ। তিনি বলেন আমাদের হাতে কিন্তু এত ক্রিকেটার নেই। চাইলেও হুট করে একটা দল বদলানো যাবে না। আর সেটা অনেক কঠিন। এরপর ইনজুরির একটা শঙ্কা আমাদের আছেই। এখনো বেশ কজন ইনজুরিতে আছে। সেটাও মাথায় রাখতে হচ্ছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকল্লোল সংঘ ফুটবল দলের জার্সি উন্মোচন
পরবর্তী নিবন্ধবাংলাদেশের ফাতেমা মালদ্বীপ নারী ক্রিকেট দলের কোচ