এশিয়ার শিক্ষার্থীদের জন্য ভারত উচ্চশিক্ষার আদর্শ গন্তব্য

আইসিসিআর-সুবর্ণজয়ন্তী শিক্ষাবৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনায় শিক্ষা উপমন্ত্রী

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ৩১ আগস্ট, ২০২২ at ১১:৩৬ পূর্বাহ্ণ

শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, ইউরোপ-আমেরিকায় উচ্চশিক্ষাকে লাভজনক খাত হিসেবে দেখা হয়। তাই এসব দেশে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের অতিরিক্ত অর্থ খরচ করতে হয়। সে তুলনায় ভারতে ফি তুলনামূলকভাবে অনেক কম। ইউরোপ-আমেরিকায় পড়তে গিয়ে শিক্ষার্থীরা সাংস্কৃতিক গ্যাপের মধ্যে পড়ে যান। ফলে তারা আর বাংলাদেশে ফিরে আসেন না। কিন্তু ভারতের সাথে আমাদের ধর্ম-সংস্কৃতি ও বিভিন্ন বিষয়ে মিল রয়েছে, যা এসব শিক্ষার্থীর উচ্চশিক্ষা কার্যক্রমকে আরও ত্বরান্বিত করবে।
গতকাল মঙ্গলবার নগরীর থিয়েটার ইনস্টিটিউটে আইসিসিআর-সুবর্ণজয়ন্তী শিক্ষাবৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা নিজেদের মেধা ও যোগ্যতার মাধ্যমে শিক্ষাবৃত্তির জন্য মনোনীত হয়েছেন। বর্তমান সময়ে এশিয়ার শিক্ষার্থীদের জন্য উচ্চশিক্ষার আদর্শ গন্তব্য হয়ে উঠেছে ভারত। প্রতিবেশী নেপাল, ভুটান ও শ্রীলঙ্কাসহ দক্ষিণ-পূর্ব ও মধ্য এশিয়ার অসংখ্য শিক্ষার্থী ভারতে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে আসছেন।
অনুষ্ঠানে চট্টগ্রামস্থ ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার ডা. রাজীব রঞ্জন বলেন, ভারত পৃথিবীর প্রাচীনতম সভ্যতার দেশগুলোর একটি। একইসাথে এটি পৃথিবীর অন্যতম উচ্চশিক্ষা কেন্দ্র। পৃথিবীর প্রাচীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় ভারতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল খ্রিস্টপূর্ব ৭ম শতকে। বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় ভারতীয়রা অবদান রেখেছে। বর্তমানের ইউরোপ-আমেরিকায় প্রকৌশল ও চিকিৎসা খাতে ভারতীয়রা দক্ষতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়া আইসিটি খাতেও লক্ষ লক্ষ ভারতীয় পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কাজ করছে। মানসম্মত উচ্চশিক্ষা প্রদানে ভারতের সক্ষমতা রয়েছে। বিশেষ করে প্রযুক্তি ও চিকিৎসা ক্ষেত্রে উচ্চ মানসম্মত উচ্চশিক্ষা প্রদানে ভারত অন্যতম।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ভারতের অকৃত্রিম বন্ধু। ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক পারস্পরিক বিশ্বাস ও সম্প্রীতির ওপর টিকে আছে। আমি বৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীদের ভারতে স্বাগত জানাচ্ছি। আশা করছি তারা উচ্চশিক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করবে। একইসাথে ভারতের সংস্কৃতির সাথে নিজেদের একটা সুসম্পর্ক গড়ে তুলবে।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের জন্য ৭৭ জন শিক্ষার্থী আইসিসিআর-সুবর্ণজয়ন্তী শিক্ষাবৃত্তির জন্য মনোনীত হয়েছেন। এর মধ্যে স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি পর্যায়ের শিক্ষার্থী রয়েছেন। ভারতের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে পড়াশোনার জন্য ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর কালচারাল রিলেশন্স (আইসিসিআর) শিক্ষাবৃত্তি দেয়। আইসিসিআর ভারত সরকারের অন্যতম প্রধান কর্মসূচি। আইসিসিআর বৃত্তি বাংলাদেশে জনপ্রিয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে এ বছর উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষাবৃত্তি দেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন শিক্ষাক্রম থেকে আসা এসব শিক্ষার্থী ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের প্রধান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে পড়বেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধএসপি পদমর্যাদার সাত কর্মকর্তাকে বৃহত্তর চট্টগ্রামে বদলি
পরবর্তী নিবন্ধবঙ্গবন্ধু বাঙালি হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন হাজার বছর