ঢাকার পর এবার চট্টগ্রামেও উদ্ধার হল ‘স্কুফ’ নামের এক সিরাপের ৯৩টি বোতল, যা ফেনসিডিলের মত মাদক হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে বলে পুলিশের ভাষ্য।
গতকাল শনিবার সীতাকুণ্ডের জোড় আমতল এলাকায় চট্টগ্রামমুখী একটি ট্রাকে অভিযান চালিয়ে স্কুফ সিরাপের ওই বোতলগুলো উদ্ধার করে র্যাব-৭। সঙ্গে পাওয়া যায় ১৯ কেজি ৭০০ গ্রাম গাঁজা। র্যাব-৭ এর উপ-পরিচালক আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়া জানান, অভিযানে ওই ট্রাকের চালকসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ট্রাক চালক মোরশেদ (২১) খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙা থানার মুসলিম পাড়ার মৃত এমদাদুল হকের ছেলে। তার সঙ্গী মো. ইদ্রিস (৩১) একই থানার কাজিপাড়া গ্রামের আতাউর রহমানের ছেলে। খবর বিডিনিউজের।
র্যাব বলছে, কুমিল্লা জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে মাদক সংগ্রহের পর চট্টগ্রামে নিয়ে আসা হচ্ছিল বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তথ্য দিয়েছে গ্রেপ্তার দুজন। গত ২৬ জুন ঢাকার খিলগাঁও থানার নাগদারপাড় সেতু এলাকা থেকে ১৮৪ বোতল স্কুফ সিরাপসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। তখনই প্রথম এ মাদকের বিষয়ে জানা যায়।
র্যাব কর্মকর্তা আনোয়ার বলেন, কফের সিরাপ স্কুফ ফেনসিডিলের মতই। দেশের বাইরে থেকে এগুলো এসেছে। আটকদের মধ্যে ইদ্রিস মূলত সীমান্তের ওপারে যোগাযোগ করে এসব মাদক আনে। সেখান থেকে চট্টগ্রামে সাপ্লাই দেয় বলে জানিয়েছে। কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রামমুখী একটি ট্রাকে মাদক আসার খবর পেয়ে সীতাকুণ্ড থানার জোড় আমতল এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চেকপোস্ট বসায় র্যাব। সেখানে ট্রাকটি থামানোর পর চালকসহ দুজন দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে র্যাব সদস্যরা তাদের ধাওয়া করে ধরে ফেলে। পরে তাদের দেওয়া তথ্যে ট্রাকে থাকা দুটি বস্তার ভিতর থেকে ১৯ কেজি ৭০০ গ্রাম গাঁজা এবং ৯৩ বোতল স্কুফ সিরাপ উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে র্যাব। এ ঘটনায় সীতাকুণ্ড থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা হয়েছে।