কোর্ট হিলে গাছ কাটার পর এবার চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতি গাছের গোঁড়া অপসারণ করছে বলে অভিযোগ করেছে জেলা প্রশাসন। আলামত ধ্বংস করতেই এ প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে গতকাল সোমবার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
সার্বিক বিষয়ে জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রী কোর্ট হিলে আর কোনো স্থাপনা যেন না হয় সে বিষয়ে আইন ও বিচার বিভাগকে, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দিয়েছেন। গত ১৩ সেপ্টেম্বর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ বিষয়ে চিঠি দিয়েছে সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও মন্ত্রণালয়গুলোকে। মন্ত্রণালয়গুলো আমাদের যেরকম নির্দেশনা দেবে সেভাবে কাজ করব। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম আদালত ভবন এলাকায় থাকা অবৈধ স্থাপনা অপসারণেরও নির্দেশনা দেয়া হয়। পরিবেশ সংরক্ষণ আইন-২০১০ অনুযায়ী কোনো পাহাড় বা টিলার ওপর কোনোরূপ স্থাপনা করা যাবে না সরকারের পূর্বানুমতি ছাড়া। পরিবেশ সংরক্ষণ আইনে পাহাড় বা টিলার ওপর কোনোরূপ স্থাপনাই শুধু নয়, কোনো ধরনের পরিবর্তনই করা যাবে না। সে অনুযায়ী পরিবেশ বিনষ্টকরণমূলক সকল ধরনের কার্যক্রমের বিষয়ে ইতোমধ্যে স্ব স্ব মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে। ঊর্দ্ধতন
কর্তৃপক্ষ হতে নির্দেশনা পাওয়ামাত্র প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে এ বিষয়ে সমিতির সাধারণ সম্পাদক এএইচএম জিয়াউদ্দিন আজাদীকে বলেন, ‘কিসের আলামত! আমরা আমাদের গাছ কেটেছি। বন বিভাগের অনুমতি নিয়েই তা করেছি। আর কার কাছ থেকে অনুমতি নেবো? উনাদের কাছ থেকে কেন অনুমতি নিতে হবে? আমরা আমাদের বৈধ জায়গায় কাজ করছি। আমরা আমাদের কাজ করে যাব।’