একের পর এক মামলায় বিপাকে ট্রাম্প?

| রবিবার , ১৬ অক্টোবর, ২০২২ at ৬:১৪ পূর্বাহ্ণ

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সামনে এখন যেসব আইনি লড়াই রয়েছে সেগুলো বিস্তৃত এবং বেশ বৈচিত্রময়। তার বিরুদ্ধে যেসব তদন্ত চলছে তার মধ্যে রয়েছে গোপন নথি ব্যবহার থেকে শুরু করে নিউইয়র্কের পেনথাউস ফ্ল্যাটের জালিয়াতি। এগুলো ছাড়াও অসংখ্য মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তবে চারটি গুরুত্বপূর্ণ তদন্ত ব্যক্তিগত এবং রাজনৈতিকভাবে ট্রাম্পের ওপর সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলতে পারে। এসব তদন্ত চলমান রয়েছে। তবে তার বিরুদ্ধে কোনো মামলাতেই এখনও ফৌজদারি অভিযোগ গঠন করা হয়নি। গত বছরের ৬ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট ভবন ক্যাপিটল হিলে হামলার ঘটনায় ট্রাম্পের ভূমিকা নিয়ে বেশ কয়েকটি ফেডারেল সরকারি সংস্থার তদন্ত চলছে। তার একদল উচ্ছৃঙ্খল সমর্থক কংগ্রেসে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নির্বাচনী বিজয়ের অনুমোদন প্রক্রিয়া বন্ধ করার লক্ষ্যে ক্যাপিটল হিলে হামলা চালায়।
এই তদন্তগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দৃশ্যমান হচ্ছে একটি কংগ্রেস কমিটির তদন্ত যেখানে ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ট্রাম্পের কর্মকাণ্ড তারা খুঁটিয়ে দেখছেন। তদন্তের শুনানি তারা টেলিভিশনে লাইভ সমপ্রচার করছে যেখানে দেখা হচ্ছে নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে বলে তার দাবির জেরেই ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গার ঘটনা ঘটেছে।
সর্বশেষ ক্যাপিটল হিলে হামলার তদন্তকারী মার্কিন কমিটির শুনানিতে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করা হয়েছে। এই কমিটি অভিযোগ করেছে যে গত ৬ জানুয়ারি ট্রাম্পের সমর্থকরা যে দাঙ্গা পরিস্থিতি তৈরি করেছে সেখানে তিনিই ছিলেন মূল খেলোয়াড়।
একাধিক শুনানির মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে যে সেদিনের প্রাণঘাতী সহিংসতা ২০২০ সালের নির্বাচনের ফলাফলকে উল্টে দেওয়ার জন্য সাবেক প্রেসিডেন্টের কয়েক মাসের প্রচেষ্টার চুড়ান্ত পরিণতি ছিল এবং তিনি বিদ্রোহকে সমর্থন করেছিলেন এবং এতে উসকানি দিয়েছিলেন। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আরেকটি অভিযোগ হলো-৬ জানুয়ারি মার্কিন বিচার বিভাগের ফৌজদারি তদন্ত এবং নির্বাচনের ফলাফল বাতিলের প্রচেষ্টা। তবে এই তদন্ত বেশ গোপনীয়ভাবে চালানো হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এটি বৃহত্তম পুলিশি তদন্ত। কিন্তু ট্রাম্প নিজে এই তদন্তের কতটা লক্ষ্যবস্তুতা স্পষ্ট নয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদুবাইয়ের ‘ভবিষ্যতের জাদুঘরে’ কাজ শুরু রোবট-কন্যার
পরবর্তী নিবন্ধপাকিস্তান বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক দেশগুলোর একটি: বাইডেন