একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান ছাত্রলীগের একাংশের

প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন আজ

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ২৪ নভেম্বর, ২০২১ at ৬:২৮ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী ছাত্রলীগের কর্মীরা। গতকাল সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে তারা এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাখানের তথ্য জানায়। তৌফিকুর রহমান ইয়ন, কে এম তানভীর, খোরশেদুল ইসলাম, অভিজিৎ দাশ, মো. ফয়েজ উল্লাহ, সাজেদুল ইসলাম হৃদয়, মোহাম্মদ সাইফ উল্লাহ’র স্বাক্ষরে গণমাধ্যমে ওই বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়। তারা সকলেই উপমন্ত্রী নওফেল অনুসারী।
বিজ্ঞপ্তিতে তারা দাবি করেছেন- সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ১৬ জনের মধ্যে মাত্র ৮ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বিপরীতে ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট নয় এমন ২৩ জনকে কোন রকম তথ্য-প্রমাণাদি ছাড়া বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়েছে। এই ২৩ জনকে আত্মপক্ষ সমর্থনের কোন সুযোগও দেয়া হয়নি।
জনৈক মহানগর আওয়ামীলীগ নেতা, বিএমএ চট্টগ্রাম শাখার একজন চিকিৎসক নেতার প্রণীত শিক্ষার্থীর তালিকা অনুসারে ও ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশে অধ্যক্ষ ডা. সাহেনা আক্তার, অধ্যাপক ডা. মনোয়ারুল হক শামীম ও ডা. প্রনয় দত্তের প্রভাবে প্রভাবিত হয়ে একাডেমিক কাউন্সিল এ ধরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। অনতিবিলম্বে একপাক্ষিক ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার ও সঠিক তদন্তের মাধ্যমে উপযুক্ত তথ্য-প্রমাণাদি সাপেক্ষে দোষীদের বিচারের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছে চমেক ছাত্রলীগের এ অংশ। এদিকে চমেক একাডেমিক কাউন্সিলের এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বুধবার (আজ) সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপমন্ত্রী নওফেল অনুসারী ছাত্রলীগের কর্মী ও সদ্য গঠিত চমেক হাসপাতাল ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি কে এম তানভীর। দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে বলেও জানান তিনি।
চমেক কর্তৃপক্ষের বক্তব্য : ছাত্রলীগের একাংশের একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখান ও আনা অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চমেক অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. সাহেনা আক্তার আজাদীকে বলেন, একাডেমিক কাউন্সিল ঘটনার সাথে শিক্ষার্থীর সম্পৃত্ততার বিষয়টি আমলে নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ব্যবস্থা গ্রহণের সময় কে কোন গ্রুপের সেটি বিবেচনায় আনা হয়নি। মোটকথা, গ্রুপ বিবেচ্য বিষয় ছিল না। তবে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দেয়ার অভিযোগ সঠিক নয় দাবি করে অধ্যক্ষ বলেন, তদন্ত কমিটি সবার কাছেই ব্যাখ্যা চেয়েছে। কিন্তু এক পক্ষ জবাব দিলেও অন্য পক্ষ কোন ধরণের জবাব দেয়নি বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে। জবাব না দেয়াটাও কিন্তু যুক্তিযুক্ত না। যার কারণে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীক পেলেন যারা
পরবর্তী নিবন্ধকে কত মেয়াদে বহিষ্কার