একটি ছবি রোজী সিদ্দিকীকে ফিরিয়ে নিল ৩০ বছর আগে

| মঙ্গলবার , ২৩ আগস্ট, ২০২২ at ৫:২৭ পূর্বাহ্ণ

প্রায় ৩০ বছর পর ‘পদ্মা নদীর মাঝি’ চলচ্চিত্রের শুটিং সেটের একটি আলোকচিত্র হাতে পেয়েছেন রোজী সিদ্দিকী। কলকাতা থেকে সিনেমাটির সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার সঞ্জয় চ্যাটার্জি এটি হোয়াটস অ্যাপের মাধ্যমে পাঠিয়েছেন বাংলাদেশি এই অভিনেত্রীকে। এটি হাতে পেয়ে নস্টালজিক একটি ব্যাপার কাজ করছে। যেন স্মৃতিতে ডুবে যাচ্ছি বললেন রোজী সিদ্দিকী। ১৯৯৩ সালের ১৬ মে মুক্তি পায় পদ্মা নদীর মাঝি। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপন্যাস থেকে সিনেমাটি নির্মাণ করেন গৌতম ঘোষ। নাটকের রোজী সিদ্দিকীর এটাই প্রথম সিনেমা। গণেষের স্ত্রী উলুপি চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি। খবর বিডিনিউজের।
রোজী বলেন, শুটিং সেটে সম্ভবত কম বয়সের ছিলাম আমি। তখন সবাই আমাকে পিচ্চি, পাগলী বলে ডাকত। রবি ঘোষ, উৎপল দত্ত আমাকে ভীষণ স্নেহ করতেন। আমিও
প্রচুর পাগলামী করতাম, খেতে চাইতাম না। বৌদি (গৌতম ঘোষের স্ত্রী) জোর করে খাওয়াতেন। ১৯৯২ সালে মানিকগঞ্জের পদ্মার পাড়ে শুটিং করার ফাঁকে নিমাই ঘোষ এই আলোকচিত্রটি তুলেছিলেন বলে জানান রোজী। তখন তো আর মোবাইল ফোনের ব্যাপার ছিল না। এখন এসে মনে হয় ফটোগ্রাফারের কাছ থেকে আরও ছবি সংগ্রহ করে রাখা দরকার ছিল। কত কত গুণী মানুষকে পেয়েছি! তাদের সাথে মধুর স্মৃতির সময় কাটিয়েছি। মঞ্চ, টিভি পেরিয়ে সিনেমায় নাম লেখান রোজী সিদ্দিকী।
মঞ্চ, টিভি পেরিয়ে সিনেমায় নাম লেখান রোজী সিদ্দিকী। শুটিংয়ের স্মৃতি মনে করে রোজী বলেন, ভারত-বাংলাদেশের খ্যাতিমান অভিনয়শিল্পীদের সাথে কাজ করতে গিয়ে অনেক কিছু শিখেছি। সিনেমাটির সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার সঞ্জয় যখন আমাকে হোয়াটস অ্যাপে এই আলোকচিত্রটি দিয়েছে, আমার অনেক স্মৃতি মনে পড়ে গেলো। সেই সিনেমার পরও সঞ্জয়ের সাথে বন্ধুত্ব অটল আছে জানিয়ে রোজী বলেন, আমি সঞ্জয় আর কমলিকা কাছাকাছি বয়সের হওয়ায়, আমাদের বন্ধুত্বটা ভীষণ ভালো ছিল। সঞ্জয়ের সাথে এখনও আমার নিয়মিত যোগাযোগ আছে। কলকাতা গেলে ওর বাড়িতেই থাকি। সঞ্জয়ও ঢাকায় এলে আমার বাড়িতেই থাকে। আর কমলিকা বোম্বে স্থায়ী হয়েছে, ওর সাথে তেমন যোগাযোগ হয় না। রোজী সিদ্দিকী এখন ‘বউ শাশুড়ি’ নামে একটি ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করছেন। আকাশ রঞ্জনের পরিচালনায় এটি বৈশাখী টিভিতে প্রচার হচ্ছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ‘হাওয়া’ সিনেমার প্রদর্শন নিষিদ্ধে আইনি নোটিশ
পরবর্তী নিবন্ধমহানগর মৎস্যজীবী লীগের শোক দিবসে আলোচনা সভা