একজন গুলনাহারের সুখ-দুঃখ

সালমা বিনতে শফিক | শনিবার , ২২ জানুয়ারি, ২০২২ at ৬:৫৮ পূর্বাহ্ণ

এক

দুই মেয়েকে বাড়ি নিয়ে যেতে এসেছেন গুলনাহার ঝড়বৃষ্টি মাথায় করে। ওদের বাবা মৃত্যুশয্যায়। কর্কটরোগ বাসা বেঁধেছে তাঁর শরীরে। ছোট মেয়েদুটোকে দেখতে প্রাণ কাঁদে বাপের। ওদের একজনের বয়েস ষোল কি সতের, অন্যজন তের- চৌদ্দ হবে হয়তো। এটা কেবলই আন্দাজ। মা হয়ে তিনি নিজেও মনে করতে পারেন না ঠিক কোন বছরে কোন মেয়েটা জন্মেছিল। নিজের বয়সের সঠিক হিসেবও জানা নেই তাঁর। পঞ্চাশের কিছু কমবেশি হতে পারে। তবে দেখায় ষাটের মতো। এই মেয়ে দুটোর আগে আরও তিন-তিনবার মেয়ের মা হয়েছেন তিনি। ছেলের মা হয়েছেন একবারই। সবমিলিয়ে আঁতুড় ঘরে গিয়েছেন ছ’বার। শেষের মেয়ে দুটো যেন এমনি-এমনি চলে এলো। দু’জন এখন একই পাড়ায় থাকে। শহরতলির অভিজাত এক আবাসিক এলাকায়। গৃহকর্মী হিসেবে।
সেই ছেলেবেলা থেকে বাড়িছাড়া মেয়ে দুটো। সাত কি আটে পা দিয়েছিল বোধহয়। এবাড়ি-ওবাড়ি করে কতবার ঘর বদল! কতরকম মানুষ যে ওরা দেখেছে এই ছোট্ট জীবনটায়! কত মার খেল, কত রক্ত ঝরল ছোট্ট শরীর থেকে! যত্ন আদরও পেয়েছে কোন কোন বাড়িতে। দুই বোন কাছাকাছি ঘর পাবার আগে ঠিক কতগুলো বাড়িতে ওরা কাজ করেছে একজনও হিসেব করে বলতে পারবে না।
এতগুলো বছরে কামাই রুজি ওরা নেহায়েত কম করেনি। সব যে কেমন করে হাওয়ায় মিলিয়ে গেল, ভেবে পান না গুলনাহার। ধার দেনা ছিল ম্যালা। শোধ করেছেন একে-একে। বড় তিন মেয়েকে পাত্রস্থ করেছেন। একমাত্র ছেলেটা রিকশা চালায় বন্দর শহরে। পোশাক কারখানার শ্রমিক বউ আর ছেলেকে নিয়ে তারও টানাটানির সংসার।
মেয়ে দুটোকে দেখে একটু যেন স্বস্তি লাগে গুলনাহারের। খাওয়া পরার চিন্তা তো নেই। দেখেই বোঝা যায় আগের বাড়িগুলোর চেয়ে ভালো আছে। দেখতে দুজনকেই বড় ঘরের মেয়ে মনে হয়। মাকে টাকা পাঠায় প্রতি মাসে। মেয়েদের বাবাকে নিয়ে তাঁর ছোট্ট সংসার। গ্রামের বাড়িতে একরকম কেটে যায় দিনগুলো। তিনি মাঝেমধ্যে এসে দেখে যান ওদের। মেয়েরাও যায়। অনেকদিন বাদে। ছুটি মেলে অল্প। তাই থাকতে পারে না অনেকদিন।
মাঝেমাঝে অন্যরকমও লাগে গুলনাহারের। অনেকদিন ছুটি পেলেই বুঝি থাকবে মেয়েরা মায়ের কাছে? দালানকোঠায় থেকে অভ্যস্ত হয়ে গেছে এখন ওরা। কল ঘোরাতেই পানি, বোতাম টিপলেই আলো, চুলোর আগুন। বরফকুচি মেশানো হিমশিতল পানি না হলে গলা ভেজেনা ওদের। টেলিভিশন নিয়ে রাতদিন। ঝকঝকে শৌচাগার, লাগোয়া তকতকে স্নানঘর। সাবান শ্যাম্পু ছাড়া চলে না। স্নানের পর স্নো পাউডার। আশপাশ দিয়ে হেঁটে গেলে কেমন একটা খুশবু ভেসে আসে ওদের গা থেকে। খাবার দাবারেও উন্নত রুচির ছোঁয়া। গাঁও গেরামে দুদিনের বেশি তিন দিনে হাঁপিয়ে ওঠে ওরা। কুপির আলোয় মাটির ঘরকে ওদের কাছে ভূতুড়ে বলে মনে হয়। পানির জন্য ঘরের বাইরে যাওয়ার অনেক হ্যাপা। স্নান সমস্যা আরও প্রকট। মায়ের হাতের খাবারও ওদের মুখে রোচে না। অন্য বাড়ির মেয়ে মনে হয় ওদের। এদের যেন পেটে ধরেননি গুলনাহার।
এই যেমন আজ জল, কাদা, জ্যাম, জট পেরিয়ে মেয়েদের নিতে এসেছেন তিনি। কাকডাকা ভোরে বের হয়েছেন এক প্রতিবেশীকে অসুস্থ স্বামীর পাশে বসিয়ে রেখে। মেয়েদের নিয়ে, কিছু টাকার যোগাড়যন্ত্র করে দিন থাকতেই বাড়ি ফিরবেন। এখানে এসে দেখেন, সাজসজ্জা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে মেয়েরা। ভরা জ্যৈষ্ঠে কয়েক পশলা বৃষ্টি নেমেছিল মাত্র। স্নানে তাই লাগছে কুসুম কুসুম গরম পানি। কোন তাড়া নেই ওদের। মনে হচ্ছে বেড়াতে যাবে। বিরস মনে মা বসে আছেন। যে-কোনসময় খবর আসতে পারে বাড়ি থেকে। আজকালের মধ্যে বিদায় নিতে পারে মানুষটা। চালচুলোর বালাই ছিল না তাঁর কোনওকালে। খুব যে সুখে তাকে রেখেছেন তা-ও নয়। তবুও এতগুলো বছর একসঙ্গে! এক জীবন তো পার হল এই মানুষটার সঙ্গেই। এই মেয়েদের বাবা তো সে। অথচ ওরা কেমন নির্বিকার! এখনও বড় অচেনা লাগে মেয়েদের।
ওদের দোষই বা দিই কেমন করে- ভাবেন গুলনাহার। সেই কবে থেকে বাড়িছাড়া! এতগুলো বছরে একটানা দশটা দিনও তো বাবা মায়ের সঙ্গে থাকেনি ওরা। কোলের মেয়েরা টাকা কামিয়ে এনে দিয়েছে মাকে। মা-ও হাসিমুখে গুনে গুনে তুলে রেখেছেন ওদের রক্ত পানি করা মজুরি। কোন বাড়িতে বনিবনা হচ্ছে না, মারপিট একটু বেশি হচ্ছে। সেখান থেকে নিয়ে এসে খোঁজখবর করে পাঠিয়ে দিচ্ছেন নতুন কোন বাড়ি। ঘরে বসিয়ে-বসিয়ে খাওয়াননি ওদের একদিনও। বোনদের বিয়েতে মেহমানের মতো দু’চার দিনের জন্য এলেও ঈদ পার্বণে আসা হয়নি। ছুটি মেলেনি। আস্তেআস্তে অনেক দূরের মানুষ হয়ে গেছে ওরা। এখনও মাকে টাকা দেয়, এই ঢের।
ভাবনার শেষ নাই গুলনাহারের। মানুষটা চোখ বুজলেই একা হয়ে যাবেন তিনি। ওরা কি থাকবে গিয়ে মায়ের সঙ্গে? না তিনিই রাখতে পারবেন ওদের ধরেবেঁধে? ওদের জীবনই বা যাবে কেমন করে? কীভাবে পাত্রস্থ করবেন এই মেয়েদের? গ্রামদেশে ওরা থাকবে কি করে? শহুরে পাত্র, বড় ঘর- এসবইবা কোথায় পাবেন? না জানি কি আছে মেয়েদুটোর কপালে।
একজনমে দুটো জীবন তো পায় না মানুষ। পেলে একটু শুধরে নিতেন। খেয়ে না খেয়ে ছেলেমেয়ে নিয়ে জড়াজড়ি করে থাকতেন ছোট্ট সেই মাটির কুটিরে। চোখের আড়াল করতেন না দুধের বাচ্চাদের। আকাশ-পাতাল ভাবনায় ঝাপসা হয়ে আসে সামনে যা কিছু দৃশ্যমান। ময়লা আঁচলের খুঁট দিয়ে ঘসে নেন চোখ দুটো। এতক্ষণে সাজগোজ সেরে তৈরি মেয়েরা। অট্টালিকা ছেড়ে নেমে আসেন মা চলন্ত সিঁড়ি বেয়ে। ঝুম বৃষ্টি মাথায় করে দুই মেয়েকে নিয়ে ফটকের বাইরে। গন্তব্য আপাতত দূরের গ্রাম; মেয়েদের, তাঁর, আর বাপ-দাদাদের আদি নিবাস। সত্যিই কি তাই? গন্তব্য আসলে অজানা। ছোট্ট একটা শ্বাস ফেলে পথে নামেন গুলনাহার।
দুই
চব্বিশ তারিখ বিশুদবার। ইফতারের তোড়জোড় চলছে ঘরে- ঘরে। এমন সময় ডাক আসে মানুষটার, গুলনাহারের ছেলেমেয়েদের বাবার।
গেল হপ্তায় মেয়েরা গিয়ে দুদিন থেকে এসেছিল বাপের সঙ্গে। বিছানায় পড়ে থাকা কঙ্কালটাকে দেখে আঁতকে উঠেছিল ওরা। এই কি ওদের বাবা! দুর্গন্ধে কাছে যাওয়ার জো নেই। মিনিটে-মিনিটে বিছানা ভেজান। একজন তো বমি করে কাতর হয়ে শয্যা নিয়েছে অন্যঘরে। মায়ের কষ্টেরও কোন শেষ নাই। হাড্ডি চামড়া ছাড়া কিছু নেই মানুষটার শরীরে। তবু কি ভারী! একা হাতে যত্ন নিয়ে হাঁপিয়ে ওঠেন গুলনাহার। খাবারদাবারের বালাই নাই। ঘরকন্যা থেকে তবু ছুটি মেলে না। মানুষটা চলে গেলেই বাঁচেন এই ভাবনা সবার। আত্মীয় পরিজন, পাড়া-প্রতিবেশী, ছেলেমেয়ে, বউ সবাই যেন দিন গোনে।
পাঁচ দিনের মাথায় শেষ হয় দিন গোনা। যাত্রা করেন তিনি চির শান্তির দেশে। শহরের অভিজাত আবাসিক এলাকায় থাকা মেয়েদুটো আবার ছোটে গাঁয়ের পথে। রোজা মুখে নিয়ে। মাঝপথে সফরসঙ্গী হয় ভাইভাবি। শহরে থাকা আরও কিছু আত্মীয়ও সামিল হয় যাত্রাপথে। সবমিলিয়ে এক বিরাট বহর। ‘জলদি’ গ্রামে পৌঁছাতে রাত হয়ে যায়। সেখানে ততোক্ষণে তৈরি ওদের বাবা। দুলহার সাজে। আতর, গোলাপ আর সাদা পোশাকে।
বাড়ির ভেতর বাহির আশপাশ গিজগিজ করছে মানুষ আর মানুষ। তারাবিহ’র নামাজ শেষে ঢল নামে মানুষের। এগাঁয়ের, অন্য গাঁয়ের নানান মসজিদ থেকে। এমন পুণ্যাত্মা! একেতো জুম্মাবারের আগের রাত, তার ওপর পবিত্র রমজান মাস। কবরে তাঁর আজাব হবে না- সবার মুখেমুখে এক কথা। রাতদুপুরে তাঁর জানাজায় মানুষ শরিক হন কয়েকশ মানুষ। অন্য গ্রাম থেকে অনেক অচেনা লোকও যোগ দিয়েছিলেন পুণ্যবান মানুষটাকে এক নজর দেখার আশায়, তাঁর শেষ বিদায়ের মিছিলে অংশ নিয়ে কিছু পুণ্য লাভের আশায়।
সপ্তমীর আধখানা চাঁদ সেদিনের আকাশে। বেয়ারাদের কাঁধে পালকিতে চড়ে মানুষটা চোখের আড়ালে চলে যাবার পর ভাবনায় বসেন গুলনাহার। কি পুণ্য করেছিল লোকটা জীবনভর? কামাই রুজি তেমন করেনি। বাপদাদার আমলের সব জমাজমি বেচে শেষ করে দিয়েছে। ঠিকমতো ভাত কাপড়ও দিতে পারেনি তাঁকে। ভিটেটা রক্ষা পেয়েছে বলে মাথা গোঁজার ভাবনা নেই। ছেলেমেয়েরাই গতর খেটে খেটে বাবা মা’র খাবার জুগিয়েছে। স্কুলে যাওয়ার সুযোগ পর্যন্ত পায়নি ওরা। চাল নেই, চুলো নেই। তার ওপর বিড়ির নেশা। তাইতো খেল তাকে কুরে-কুরে। ধর্মে কর্মেও তেমন মন ছিল না। তবু খোদার তাকে এতো পছন্দ হল! বেছে বেছে এমন দিনেই কাছে টেনে নিলেন!
গমগম করছে পুরো বাড়ি। কথায়-কথায় রাত ভোর হয়ে আসে। প্রতিবেশীর পাঠানো খাবারে সেহরি সেরে ছেলেমেয়েদের নিয়ে ঘুমাতে যান গুলনাহার। পাঁচ কন্যা এক পুত্র তাঁর; আজ সবাই একসঙ্গে, অনেক অনেক দিনের পর। মানুষটা দেখলোনা।
সকাল হয় বেলা করে। একে একে ঘুম ভাঙে সবার। জমজমাট বাড়ি। শোকের চিহ্নমাত্র নেই। মানুষটা মরে গিয়ে বাঁচিয়ে দিয়েছে সবাইকে। চতুর্থ দিনে ফাতিহা দিতে হবে। অনেক মানুষ খাবে। আয়োজনে কোন ত্রুটি রাখা যাবে না। তাই নিয়ে আলাপ আলোচনা। এই আয়োজনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছিল আগে থেকে। সে চোখ বোজার আগেই। বড় অংকের ঋণ নিয়ে আগেভাগেই তৈরি ছিল ওরা। এখন রাজার মতো খরচের পালা। মরাবাড়ি দেখে মনে হয় ঠিক যেন বিয়ে বাড়ি।
ধুমধাম করে শেষ হয় চারদিন। এরপর একে একে যে-যার জায়গায় ফিরে যায়। মেয়েরাও চলে যায় সাতদিনের মাথায়। এখন গুলনাহার একা, একবারে একা। কপাল ভালো, ছেলের ঘরের নাতি একজন দাদীর কাছে থাকে। বছর দশেক বয়স। গাঁয়ের মাদ্রাসায় পড়ে। ঐ নাতিই এখন তাঁর হাতের লাঠি।
সামনে আসছে ঈদ। ম্যালা শাড়ি পেয়েছে এবার ঈদে। এতো শাড়ি কখন পরবে গুলনাহার! কারজন্যই বা পরবে!
তিন
মানুষটা চলে যাবার দুদিন আগে দশটা ডিম নিয়ে তা দিতে বসেছিল মুরগিটা। গুলনাহার বাঁশের কুটুরিতে খড়কুটো দিয়ে আরাম করে আসন বানিয়ে দিয়েছিল। ঘরের এককোণে দিনরাত চুপচাপ বসেছিল মুরগিটা। এই ঘরের লোকটা চিরবিদায় নিল, দিনে রাতে কত শত মানুষ দেখতে এলো শেষবারের মতো। হবু মা মুরগি নির্বিকার। বাচ্চাদের সুস্থভাবে পৃথিবীতে আনার জন্য ঠায় বসে থাকে, আগলে রাখে ডিম দশটাকে। সময় হলে ডিম ফুটে একে একে বেরিয়ে আসে পেলব পেলব ছানা; সাদা কালো, কালো সাদা, বাদামি, সোনালি- একেকটার একেক রঙ। মায়ের সাথে হেঁটে হেঁটে টুক টুক করে খাবার খুঁজে খায়। গিন্নির ছিটানো খুঁদ পেলে একসাথে ছুট দেয় সবাই মিলে। ঘুম পেলে সুড়সুড় করে ঢুকে পড়ে মায়ের পাখনার ভেতর। ছানাদের নিয়ে মুরগি মা বড়ই সতর্ক। চোখকান খোলা তার সর্বক্ষণ। শান্তভাবে হেঁটে বেড়ায় উঠোন, ঘর, দেউরি। কিন্তু কেউ ওদের ধরতে এলে তেড়ে যায় কেশর ফুলিয়ে। কাক চিলে যাতে ছোঁ মেরে নিয়ে না যায় সেজন্য গিন্নিমাও ওদের চোখেচোখে রাখেন। পুকুর ঘাটে গেলে কিংবা পাড়া বেড়ানিতে বের হলে বড় খাঁচা দিয়ে ঢেকে রেখে যান।
মুরগি পরিবার ছাড়া একটা হাঁসও আছে গুলনাহারের। ঘরে বাইরে হেঁটে বেড়ায় প্যাঁকপ্যাঁক করে। উঠান পেরিয়ে ঝাঁপ দেয় টলটলে পুকুরে। কেমন শান্ত পুকুরের পানি! গাছগাছালি ভরা পুকুরের বাঁধাই করা পাড়।
গেল এক মাসে পুঁই এর লতাটাও লকলকিয়ে উঠেছে রান্নাঘরের চাল বেয়ে। আষাঢ়ের জলে ধুয়ে মুছে চকচক করছে সবুজ পাতারা। সকালের সোনাঝরা রোদ পড়ে ঝিকমিক করছে। দুচারদিন পর পুরো চাল ঢেকে যাবে সবুজে।
হাঁস মুরগি, পুঁই লতা এদের নিয়ে দিন কেটে যায় গুলনাহারের।
সেমাই ঈদের আগে ছেলেবউ এসেছিল। ঈদের দুতিন দিন পর মেয়েরাও এসেছে একে একে। পাশের ঘরে দেবর, অন্যদিকে ভাশুর। দুয়ারে খিল দিতে হয় না। দিনরাত কেউ না কেউ আসে। দুকদম হাঁটলে বাপের বাড়ি। বাপ মা নেই। ভাই বেরাদর তো আছে। দুরের কাছের লতানো পেঁচানো ভাই বোন সবাইকে আপন মনে হয়।
মানুষটা ঘুমিয়ে আছে পুকুর পাড়ে। চুপটি করে ঠিকই দেখছে গুলনাহারকে।
সুখি হতে একজন মানুষের আর কী লাগে!
সুখেইতো আছে গুলনাহার; বেশ আছে। সব দুঃখকে মাটিচাপা দিয়ে রেখেছে। বয়েই গেছে ওর সুখের সালতামামি নিয়ে বসতে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিবাহ বিচ্ছেদ: দায় কেবল নারীরই?
পরবর্তী নিবন্ধপুঁথিগত বিদ্যার চেয়ে কারিগরী শিক্ষার ওপর জোর দিতে হবে : এম এ সালাম