উন্নয়ন ও কানেকটিভিটি বাড়াতে জেলা পরিষদ আইন সংশোধন হচ্ছে

টাওয়ারের নির্মাণ কাজ উদ্বোধনে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ২৮ নভেম্বর, ২০২১ at ৬:৫৮ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের নানা কর্মকাণ্ডের প্রশংসা করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ শীর্ষত্ব অর্জন করেছে। দেশের জেলা পরিষদগুলোর মধ্যে প্রথম ভবন নির্মাণ করছে চট্টগ্রাম। আয়ের দিক থেকেও চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ প্রথম। নিজস্ব অর্থায়নের উন্নয়নকাজেও সর্বাগ্রে। গতকাল চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের উদ্যোগে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের সেলাই মেশিন প্রদান, গৃহহীনদের জন্য নির্মিত গৃহের চাবি হস্তান্তর ও জেলা পরিষদ টাওয়ারের মূল ভবনের নির্মাণ কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ সালামের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ। জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাব্বির ইকবালের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন প্যানেল চেয়ারম্যান কাজী আবদুল ওহাব। অনুষ্ঠানে সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীসহ জেলা পরিষদের সদস্য ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের উদ্যোগে ৩৬৮ জন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নারীকে সেলাই মেশিন প্রদান করা হয়। এছাড়া ‘জমি আছে ঘর নেই’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ৫০ জন গৃহহীনকে গৃহের চাবি হস্তান্তর করা হয়। প্রতিটি ঘর ৫ লাখ ৬৮ হাজার টাকায় নির্মাণ করা হয়েছে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ঐক্যবদ্ধভাবে উন্নয়ন করতে এবং সবার মধ্যে কানেকটিভিটি বাড়ানোর লক্ষ্যে জেলা পরিষদ আইন সংশোধন করা হচ্ছে বলে জানান। তিনি বলেন, সংশোধিত আইন কেবিনেট অনুমোদন দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। উপজেলা চেয়ারম্যান ও পৌরসভার মেয়রদেরকেও জেলা পরিষদের মেম্বার করা হয়েছে। ইউএনওদেরকে আইনের মাধ্যমে সভায় উপস্থিত থাকার সুবিধা দেয়া হবে। এটি বাস্তবায়িত হলে কেন্দ্র, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়নের মধ্যে নিবিড় সংযোগ হবে। পাশাপাশি জেলা পরিষদ আরো সক্রিয় ও শক্তিশালী হবে। তখন মন্ত্রণালয়, জেলা পরিষদ, ইউএনও অফিস, উপজেলা পরিষদ, ইউপি কার্যালয়ের সাথে সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে উন্নয়নকাজ ত্বরান্বিত হবে।
জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুস সালাম বলেন, বর্তমানে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ একটি কার্যকর জেলা পরিষদে রূপ নিয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে নতুন ভবনে উঠবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে নিজস্ব আয় বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছি। নিজস্ব আয় থাকার কারণে ছোট-বড় অনেক প্রকল্প হাতে নিতে সহজ হচ্ছে।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ বলেন, ঢাকায়ও জেলা পরিষদের নিজস্ব ভবন করতে পারেনি। কিন্তু চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ নিজস্ব অর্থায়নে ৭৭ কোটি টাকা ব্যয়ে নিজস্ব ভবন করছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবৃহত্তর চট্টগ্রামের ৩৩ ইউপিতে ভোট ৫ জানুয়ারি
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে নতুন আক্রান্ত ৭ জন