ঈদে ট্রেনের অগ্রিম টিকেট বিক্রি ১৪ জুন থেকে

সব টিকেট অনলাইনে, পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলে দুই শিফটে

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ৩১ মে, ২০২৩ at ৫:২০ পূর্বাহ্ণ

পবিত্র ঈদুল আজহার ট্রেনের অগ্রিম টিকেট বিক্রি আগামী ১৪ জুন থেকে শুরু হচ্ছে। আগামী ২৯ জুন কোরবানির ঈদের দিন ধরে অগ্রিম টিকেট বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। যাত্রী হয়রানি দূর করতে এবারই প্রথমবারের মতো অঞ্চল ভেদে (পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চল) অনলাইনে যাত্রীদের মাঝে দুই শিফটে টিকেট বিক্রি করা হবে। এবারও ঈদে ট্রেনের শতভাগ টিকেট অনলাইনে বিক্রি করা হবে। সকাল ৮টায় বিক্রি হবে পশ্চিমাঞ্চলের টিকেট এবং দুপুর ১২টায় বিক্রি হবে পূর্বাঞ্চলের টিকেট।

গতকাল দুপুরে রেল ভবনের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। তিনি বলেন, ২৪ জুনের টিকেট ১৪ জুন, ২৫ জুনের টিকেট ১৫ জুন, ২৬ জুনের টিকেট ১৬ জুন, ২৭ জুনের টিকেট ১৭ জুন এবং ২৮ জুনের টিকেট ১৮ জুন বিক্রি করা হবে। এছাড়া ঈদের চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে ২৯, ৩০ জুন ও ১ জুলাইয়ের টিকেট বিক্রি করা হবে। এছাড়া যাত্রী সাধারণের অনুরোধে ২৫ শতাংশ টিকেট যাত্রা শুরুর আগে প্রারম্ভিক স্টেশন থেকে পাওয়া যাবে। তিনি বলেন, এবার ঈদে ঢাকা থেকে বহির্গামী আন্তঃনগর ট্রেনে মোট আসন সংখ্যা হবে ২৯ হাজার। সব টিকেট অনলাইনে বিক্রি করা হবে।

জানা গেছে, সার্ভারের চাপ সামলাতে এবার পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলের টিকেট আলাদা বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রণালয়। পশ্চিমাঞ্চলের সব আন্তঃনগর ট্রেনের টিকেট সকাল ৮টা ও পূর্বাঞ্চলের টিকেট দুপুর ১২টায় বিক্রি শুরু হবে। ঈদুল ফিতরের মতো এবার ঈদুল আজহার সব আসনের টিকেটও অনলাইনে বিক্রি করা হবে। তবে ঈদযাত্রার বিক্রিত টিকেট এবার ফেরত দেওয়া যাবে না।

ঈদের ফিরতিযাত্রার টিকেট বিক্রি শুরু হবে ২২ জুন। ওইদিন পাওয়া যাবে ২ জুলাইয়ের টিকেট। পর্যায়ক্রমে ২৩, ২৪, ২৫ ও ২৬ জুন পাওয়া যাবে ৩, , ৫ ও ৬ জুলাইয়ের টিকেট। এছাড়া ২৪ জুন থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত সব আন্তঃনগর ট্রেনের সাপ্তাহিক ছুটি বাতিল করা হচ্ছে।

কাউন্টারে পাওয়া যাবে স্ট্যান্ডিং টিকেট : ঈদে চট্টগ্রাম থেকে প্রতিদিন স্ট্যান্ডিং টিকেটের যাত্রীসহ মোট ১৫ হাজার যাত্রী চট্টগ্রাম থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় ঈদ করতে বাড়ি যেতে পারবেন। প্রতিটি ট্রেন ছাড়ার আগে কাউন্টারে স্ট্যান্ডিং টিকেট পাওয়া যাবে। অপরদিকে ঢাকা থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে প্রতিদিন ৩২ হাজার আসনে যাত্রী পরিবহন করা হবে। মোট আসনের ২৫ শতাংশ টিকেট দাঁড়িয়ে (স্ট্যান্ডিং) যাওয়া যাত্রীদের কাছে বিক্রি করা হবে। স্ট্যান্ডিং টিকেট পাওয়া যাবে শুধু ঢাকার কমলাপুর, ক্যান্টনমেন্ট ও বিমানবন্দর এবং গাজীপুরের জয়দেবপুর স্টেশন থেকে। মাঝপথে বিরতি নেয় এমন কোনো স্টেশনের স্ট্যান্ডিং টিকেট পাওয়া যাবে না।

আট জোড়া বিশেষ ট্রেন চালানোর প্রস্তাব : রেলমন্ত্রী বলেন, আমাদের কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী, ২৬ জুন থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত এবং ঈদের পরদিন থেকে পাঁচদিন চাঁদপুরচট্টগ্রাম ও ঢাকাদেওয়ানগঞ্জ পথে তিন জোড়া বিশেষ ট্রেন চালানো হবে। এক জোড়া বিশেষ ট্রেন চালানো হবে ময়মনসিংহচট্টগ্রাম পথে। ভৈরব ও ময়মনসিংহ থেকে দুই জোড়া বিশেষ ট্রেন চালানো হবে শুধু ঈদের দিন শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে যাওয়ার জন্য। এছাড়া আরো দুই জোড়া বিশেষ ট্রেন ঈদের আগে ও পরে ছয়দিন চালানো হবে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থেকে পঞ্চগড় ও লালমনিরহাটের উদ্দেশ্যে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধরেল পূর্বাঞ্চলে ঈদযাত্রার প্রস্তুতি
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে সাড়ে ১০ হাজার একর জমিতে তামাক চাষ