তারাও অন্যান্য সকলের মতো জমিয়াতুল ফালাহ জামে মসজিদ মাঠে ঈদের নামাজ পড়তে এসেছিলেন। কিন্তু সকলে যখন ইবাদতে মগ্ন তখন তাদের মনোযোগ ছিল আশেপাশে নামাজ আদায়রত মুসল্লিদের পাঞ্জাবির পকেটে দামি মোবাইল ফোনের দিকে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই পকেটের ফোন নিয়ে গায়েব এই চক্রের বেশ কয়েকজন। এবারের ঈদের জামাত থেকে বেশ কয়েকজনের মোবাইল ফোন সেট ও টাকা খোয়া যাওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। ঈদ জামাত থেকে মোবাইল চুরির বিষয়ে কোতোয়ালী থানায় অন্তত ৬ জন লিখিত অভিযোগ করেছেন বলে থানা থেকে জানা গেছে।
মোবাইল চুরির অভিযোগ ও পকেট কাটার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর পুলিশ নগরীর স্টেশন রোড, রেয়াজউদ্দিন বাজারসহ যেখানে মোবাইল কেনাবেচা হয় সেখানে অভিযান শুরু করে। এ অভিযানে চোর চক্রের ৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার কার হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ১৩টি চোরাই মোবাইল ফোন। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মারুফ হাসান (৩৬), মো. ইসমাইল প্রকাশ নিলয় (২৭) ও মো. মনছুর আলম (৪৪)। এ ব্যাপারে কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহেদুল কবীর আজাদীকে বলেন, ঈদের নামাজে পকেট থেকে মোবাইল চুরির বিষয়ে বেশ কয়েকজন থানায় অভিযোগ দেয়ার পর আমরা অভিযান শুরু করি। অভিযানে গত রোববার রাতে চোরাই মোবাইল ফোন ক্রয়-বিক্রয়ের সঙ্গে যুক্ত মারুফ হাসান নামে একজনকে আটক করা হয় এবং ৪টি চোরাই মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়। এরপর তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মো. ইসমাইল প্রকাশ নিলয় এবং মো. মনছুর আলমকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে আরও ৯টি চোরাই মোবাইল উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, আসামিরা জিজ্ঞাসাবাদে দীর্ঘদিন ধরে চোরাই মোবাইল ক্রয়-বিক্রয়ের সঙ্গে জড়িত বলে স্বীকার করেছে। উদ্ধারকৃত মোবাইলগুলো ঈদের দিন মুসল্লিদের পকেট হতে চুরি করেছে বলে জানায় তারা। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।