কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার কালির ছড়া ভূতিয়া পাড়ার পূর্বে গহীন অরণ্যে থেকে অবৈধভাবে উত্তোলন পূর্বক পাচার করা বালি ভর্তি ডাম্পারের চাপায় মোস্তাক আহমদ নামের ১৮ বছর বয়সী এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।
নিহত মোস্তাক আহমদ ঈদগাঁও কালির ছড়া এলাকার সাহাব মিয়ার ছেলে। আহত অপর দুইজনের নাম তাৎক্ষণিক পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় ডাম্পার চালক পালিয়ে গেলেও গাড়িটি জব্দ করেছে স্থানীয়রা।
২২ মার্চ (শনিবার) ভোর ৫ টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটে ইউনিয়নের ভূতিয়া পাড়ার পূর্বে কানছিরা ঘোনা নামক স্থানে।
তবে এটি দুর্ঘটনা নাকি বালি উত্তোলনকে কেন্দ্র করে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষ! তা নিয়ে চলছে ব্যাপক কানাঘুঁষা। ময়নাতদন্ত ছাড়া তড়িঘড়ি করে মৃতদেহ দাফন করা নিয়েও ভাবিয়ে তুলছে স্থানীয়দের।
ডাম্পার মালিক, হেলফার, নিহত, আহত ব্যক্তিরা একই এলাকার হওয়ায় হত্যার মতো ঘটনা ধামাচাপা দিতে উঠেপড়ে লেগেছে বালি উত্তোলনকারী সিন্ডিকেটটি। এমন কি নিহত মোস্তাক আহমদের ছবিও কাউকে তুলতে দেয়নি বলে জানান মোবারক, সেলিম নামের স্থানীয় দুই ব্যক্তি।
অপর একটি সূত্রে জানা যায়, প্রায় দুই লক্ষ টাকার বিনিময়ে নিহত মোস্তাকের পরিবারকে আপোষ মিমাংসা করার প্রস্তাব দিয়েছে বালি উত্তোলনকারী সিন্ডিকেটের সদস্যরা। সিন্ডিকেটের চাপে মামলা করারও সাহস পাচ্ছে না নিহত মোস্তাকের পরিবার।
জানা যায়, ঘটনার সময় নিহত মোস্তাক আহমদসহ ৩/৪ জন শ্রমিক সেখানে বালি উত্তোলন করছিল, কালির ছড়া এলাকার জনৈক লেদুর একটি ডাম্পার প্রতিনিয়ত সেখান থেকে বালি পাচার করে বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে আসতো।
এ দিন ভোরে বালি ভর্তি করে পাচারের সময় দ্রুত গতিতে চালাতে গিয়ে বালির স্তুপে কাজ করা মোস্তাকের শরীর চাপা দেয়। ঐ সময় ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয় বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা। ডাম্পারটি পেশাদার চালক চালক না চালিয়ে সেদিন হেলপার চালাচ্ছিল বলে জানান কোম্পানি লেদু।
স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার মাহমুদুল হাসান মিনার জানান, ডাম্পার চাপায় শ্রমিক মোস্তাক আহমদ মারা গেছে। ওখানে আধিপত্যের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
ঈদগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শুভ রঞ্জন চাকমার কাছে জানতে চাইলে তিনি এ ধরনের কোনো খবর পাননি জানিয়ে খোঁজখবর নিয়ে জানাবেন বলে আশ্বস্ত করেন।
একইদিন দুপুরে ময়নাতদন্ত ছাড়া মৃতদেহ দাফন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।