ইয়োহান গ্যোটে : বহুমুখী প্রতিভার প্রতিভূ

| বুধবার , ২২ মার্চ, ২০২৩ at ৫:২০ পূর্বাহ্ণ

ইয়োহান গ্যোটে(১৭৪৯১৮৩২)। পুরো নাম ইয়োহান ভল্ফগাং ফন গ্যোটে। জার্মান কবি, ঔপন্যাসিক, নাট্যকার, দার্শনিক, বিজ্ঞানী, চিত্রশিল্পী ও কূটনীতিবিদ। তাঁকে আধুনিক যুগের সর্বশ্রেষ্ঠ জার্মান সাহিত্যিক বিবেচনা করা হয়। গ্যোটে জার্মান সাহিত্য বিশেষত ১৮ ও ১৯শতকে বিকশিত ভাইমার ক্লাসিসিজ্‌ম আন্দোলনের অন্যতম প্রধান ব্যক্তিত্ব। এই আন্দোলনের সাথে জড়িয়ে ছিল একই সাথে আলোকময়তা, আবেগময়তা এবং রোমান্টিসিজ্‌ম। গ্যোটে ১৭৪৯ সালের ২৮ আগস্ট ফ্রাঙ্কফোর্টে জন্মগ্রহণ করেন। বাবার নাম য়োহান ক্যাস্পার গ্যোটে মায়ের নাম এলিজাবেথ ক্যাথারিন।

১৭৬৫ থেকে ১৭৬৮ পর্যন্ত গ্যোটে লাইপসিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেন। ১৭৭০ সালে তিনি আইনজীবী হিসেবে সনদপ্রাপ্ত হয়। ১৭৭১/৭২ সালে অল্পদিনের জন্যআইন ব্যবসায়ে আত্মনিয়োগ করেন তিনি। ১৭৭৬ সালে মন্ত্রিপরিষদের সদস্য হিসেবে নিযুক্তি লাভ করেন। ১৭৭৯ সালে যুদ্ধপরিষদের সভাপতি এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের পরিচালকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৭৮২ সালে তাকে সম্মানসূচক সামন্ত পদে উন্নীত করা হয় এবং তিনি অর্থমন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

১৭৮৫ সালে রাজন্যবৃন্দের মধ্যে দৌত্যকাজ করেন এবং উদ্ভিদবিদ্যার গবেষণায় আত্মনিয়োগ করেন। এসময়ে তিনি জ্যোতির্বিদ্যা, অস্থিবিদ্যা, আলোকবিদ্যা ও উদ্ভিদের রূপান্তর বিদ্যার গবেষণায় গভীরভাবে আত্মনিয়োগ করেন।

তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থাবলীর মধ্যে ‘ইফগেনিয়া’, ‘এগমন্ট’ এবং ‘টাসসো’ ‘ভিলহেম মাস্টার্স অ্যাপ্রেন্টিসশিপ’ ‘দি ন্যাচারাল ডটার’ ‘ফাউস্ট’ ‘দিওয়ান অব দা ওয়েস্ট অ্যান্ড ইস্ট’বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তিনি পত্রিকা প্রকাশেও হাত দেন। তিনি ‘স্কেনিয়েন’ ‘ডি প্রোপিলায়েন’ ১৮৩২ সালের ২২ মার্চ তিনি মৃত্যুবরণ করেন। এবং ২৬ তাঁকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সমাহিত করা হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসমন্বিত কার্যক্রম ছাড়া যানজট সমস্যার নিরসন সম্ভব নয়
পরবর্তী নিবন্ধরমজান মাসের সম্মানার্থে দ্রব্যমূল্য সহনীয় মাত্রায় রাখুন