ইসলামের মৌলিক শিক্ষার আলোকে মাইক ব্যবহারে সংযম-সতর্কতা

ফখরুল ইসলাম নোমানী | মঙ্গলবার , ২৪ মে, ২০২২ at ৬:২১ পূর্বাহ্ণ

ইসলাম শান্তির ধর্ম। শান্তি অর্থ ‘আসসালাম’। মুমিনদের বিশ্বজনীন অভিবাদন ‘আসসালামু আলাইকুম’। আল্লাহর একটি গুণবাচক নাম এটি। জান্নাতের পরিচিতিও ‘দারুসসালাম’ বা শান্তির ঠিকানা। ইসলাম এমন একটি জীবন ব্যবস্থা যেখানে কেবল শান্তিই শান্তি। দোয়ায় যেমন বলা হয় ‘আল্লাহুম্মা আনতাস সালাম ও মিনকাস সালাম’। হে আল্লাহ, আপনি শান্তির আধার, শান্তি আপনার কাছ থেকেই আসে। নবী করিম (সাঃ)-এর রওজা পাকে প্রথম প্রবেশের নিয়ম হলো ‘বাবুস সালাম’ দিয়ে প্রবেশ করা। শান্তির নবী, রহমতের নবী নামায পড়াচ্ছিলেন, শুনলেন, মসজিদ সংলগ্ন কোনো বাড়িতে ছোট্টশিশুর কান্না। তিনি নামায সংক্ষিপ্ত করে ফেললেন। বললেন, আমার ধারণা হলো এই শিশুটির মা হয়তো আমাদের জামাতে শরীক হয়েছে। (নামায দীর্ঘ হলে শিশুর কান্নাও থামবেনা আর তার মা নামাযে মন বসাতে পারবে না।) এই ছিল আমাদের প্রাণপ্রিয় নবীজির মানবিক অনুভূতি। আল্লাহর ইবাদত মানুষকে অস্বীকার করে নয়। এক গ্রাম্য ব্যক্তি মদিনা শরীফে এসে মসজিদে নববীর এরিয়ায় পেশাব করতে বসে পড়লো। উপস্থিত সাহাবীরা সশব্দে তাকে নিবৃত করতে ছুটলেন। নবীজি (সাঃ)-তাদের থামিয়ে দিয়ে বললেন, ‘লোকটি যখন না বুঝে বসেই পড়েছে তখন তাকে শান্তিতে তার কাজটি সারতে দাও। পরে বুঝিয়ে বলো যেন সে ভবিষ্যতে আর এমন না করে। নবী করিম (সাঃ)-লোকটিকে বিব্রত করা কষ্ট দেওয়া বা লজ্জায় ফেলে দেওয়া পছন্দ করেন নি। এই ছিল মহানবী (সাঃ)-এর আখলাক ও আচরণ। হাজারও ঘটনা এমন আছে।

শব্দ-দূষণ একধরনের মারাত্মক পরিবেশদূষণ। আমাদের সঠিক অনুধাবনের অভাবে দিন দিন এই দূষণের মাত্রা বেড়েই চলেছে। অনেক পরিবেশবাদী বাংলাদেশের শব্দদূষণের বর্তমান পর্যায়কে ‘শব্দ-সন্ত্রাস’ নামে অভিহিত করেছেন। আর এই ‘শব্দ-সন্ত্রাস’ আমাদের মাথাব্যথার কারণ। এ সমস্যা থেকে উত্তরণের উপায় নিয়ে আলোচনা।

এমন অনেক কাজ আছে যা আইনত দণ্ডনীয় কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে নৈমিত্তিক ভিত্তিতে চর্চিত হওয়ার বদৌলতে তা সামাজিক কিংবা প্রশাসনিকভাবে বাধাপ্রাপ্ত হয় না। দিনের পর দিন সেসব কাজ জনগণ নিয়তি হিসেবে মেনে আসছে। যখন-তখন লোকালয়ে মাইকে তীব্র আওয়াজ তুলে বক্তৃতা-ভাষণ দেওয়া কিংবা বাণিজ্যিক প্রচার চালানো সেই ধরনের একটি কাজ। এসব শব্দবাজি যে আসলে শব্দ-সন্ত্রাস তা এর শিকার হওয়া ব্যক্তিরাও উপলব্ধি করার ক্ষমতা দৃশ্যত হারিয়ে ফেলেছেন।
ইজিবাইক, রিকশা ও পিকআপ ভ্যানে মাইক বেঁধে উচ্চশব্দে দীর্ঘ সময় ধরে বিভিন্ন পণ্যের প্রচারণা চালানো হয়। গরু-মহিষ জবাই, ছাগল হারানো, কোচিংয়ে ভর্তি, বিদ্যালয়ে ভর্তি, বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়গনেস্টিক সেন্টারের প্রচার, বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরিচয়, কোনো প্রতিষ্ঠানে বিশেষ ছাড়, মোবাইলের সিমকার্ড মেলাসহ বিভিন্ন প্রচারে মাইকিং করা হয়। প্রচার-প্রচারণায় মাইক স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল, সরকারি অফিস, মসজিদ, মাদরাসা কিছু মানে না।

কেউ কষ্ট পাবে এমন স্বরে ক্বিরাত পড়তে রাসুল (সা.)-এর নিষেধ: রাসুলুল্লাহ (সা.) মসজিদে ইতিকাফ-কালে সাহাবিদের উচ্চৈঃস্বরে ক্বিরাত পড়তে শুনে পর্দা সরিয়ে বললেন, ‘জেনে রাখো! তোমাদের প্রত্যেকেই স্বীয় রবের সাথে চুপিসারে আলাপে রত আছো। কাজেই তোমরা পরস্পরকে কষ্ট দিও না এবং পরস্পরের সামনে ক্বিরাতে বা সালাতে আওয়াজ উঁচু করো না।’ (আবু দাউদ, সালাত-অধ্যায়, হাদিস : ১৩৩২)

আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রা.) বলেন, তুমি প্রতি জুমআয় লোকদের হাদিস শোনাবে। যদি এতে তুমি ক্লান্ত না হও তবে সপ্তাহে দুইবার। আরও অধিক করতে চাও তবে তিনবার। আরও অধিক নসিহত করে এই কোরআনের প্রতি মানুষের মনে বিরক্তি সৃষ্টি করো না। লোকেরা তাদের কথাবার্তায় ব্যস্ত থাকা অবস্থায় তুমি তাদের কাছে এসে তাদের নির্দেশ দেবে, আমি যেন এমন হালাতে তোমাকে না পাই। কারণ এতে তাদের কথায় বিঘ্ন সৃষ্টি হবে এবং তারা বিরক্ত হবে। বরং তুমি এ সময় নীরব থাকবে। যদি তারা আগ্রহ নিয়ে তোমাকে নসিহত দিতে বলে তাহলে তুমি তাদের নসিহত দেবে। (বুখারি, হাদিস : ৬৩৩৭)

সভা, অনুষ্ঠান ও ওয়াজ মাহফিলে মাইকের ব্যবহার : বর্তমানে ওয়াজ মাহফিলে মাইকের ব্যবহার অত্যাবশ্যকীয়। সভাস্থলে প্রয়োজনীয় মাইক ব্যবহার কাম্য। দূর-দূরান্তে ও বাজার-ঘাটে অপ্রয়োজনীয় মাইক ব্যবহারে উপকারের চেয়ে ক্ষতিই বেশি। এতে শরিয়ত-বিরোধী অনেক কার্যকলাপ পরিলক্ষিত হয়, যেমন-নামাজির নামাজে ও ঘুমন্ত ব্যক্তির ঘুমে ব্যাঘাত হয়, অসুস্থ ব্যক্তির কষ্ট হয়। বিভিন্ন বৈধ কাজে লিপ্ত ব্যক্তিদের কাজে ও মনোযোগে ব্যাঘাত হয়। মানুষের ঘুমে ব্যাঘাত হয়, এমন জোরে কোরআন তেলাওয়াতকেও ফিকাহবিদরা অবৈধ বলেছেন। (ফাতহুল কদিও ১/২৯৮, ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়া ৩/৫৫২, জিকর ও ফিকির, পৃষ্ঠা-২৬),
যে কোনো ধরনের রাজনৈতিক সভা, বিনোদন-সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বাণিজ্যিক প্রচারণা ও ধর্মীয় ওয়াজ-আলোচনার সাউন্ড মূল অনুষ্ঠানস্থলে সীমাবদ্ধ রাখাই যৌক্তিক। অনুষ্ঠানস্থলের বাইরে মাইক লাগিয়ে অন্যদের শুনতে বাধ্য করা অন্যায়, অনৈতিক ও অযৌক্তিক। কারণ এতে আপামর জনগণ কষ্ট পাওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে।

মাইক ব্যবহার নিয়ে দেশের শীর্ষ আলেমদের অসন্তোষ : দেশের শীর্ষ আলেম-ওলামা ও বিশিষ্টজনের প্রায় সবাই ‘সারারাত মাহফিল’ ও ‘অতিরিক্ত ও অপ্রয়োজনীয় মাইক ব্যবহার’ নিয়ে নিজেদের অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তাদের কথা হলো-মানুষের কষ্ট হয় এমন কোনো আয়োজন ইসলামি শরিয়ত কোনোদিন সমর্থন করেনি, ভবিষ্যতেও করবে না। মসজিদ, হেফজখানা, মাদরাসা, স্কুল, হাসপাতাল ও আবাসিক এলাকা বিবেচনা না করে গায়ের জোরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, গান-বাজনা, বিভিন্ন দিবস পালন করা এদেশে রেওয়াজ আছে বটে-তবে ধর্মের ব্যাপারে যেন এমন অসাবধানতা কেউ না করতে পারে, ‘ইসলামে এমন বিধান রয়েছে, নামাজের জামাতে ইমাম সাহেব সবচেয়ে বয়স্ক ও দুর্বল ব্যক্তিটির প্রতি লক্ষ্য করে নামাজ আদায় করবেন। ইসলামে জোরে মাইক লাগিয়ে কোরআন শরিফ, শবিনা পড়া আলেমরা সমর্থন করেন না। কারণ, কোরআন পড়ার সময় নীরবে মন লাগিয়ে তা শোনা শ্রোতাদের ওপর ওয়াজিব। কেউ যদি কোরআনের বিরুদ্ধে কোনো অসতর্ক উক্তি করে বসে তাহলে তাদের যেমন গোনাহ হবে, ক্ষেত্র বিশেষ ইমানও নষ্ট হতে পারে। এমনিভাবে শরীয়তবিরোধী এমন উপস্থাপনার জন্য এর উদ্যোক্তারাও গুনাহের ভাগি হবেন।’ এ ব্যাপারে সমাজের সচেতন ব্যক্তি, ওলামায়ে-কেরাম, ইমাম-খতিব সাহেবরা সতর্ক দৃষ্টি রাখবেন।

ওয়াজ-মাহফিলের আশপাশে মাইকের ব্যবহার: ওয়াজ-মাহফিলে প্যান্ডেলের বাইরে মাইক ব্যবহার না করাই ভালো। কেউ করলেও বড়জোর রাত ১০টা পর্যন্ত চালু থাকতে পারে ; এর বেশি কোনোভাবেই উচিত নয়। কারণ, গভীর রাত পর্যন্ত বাইরের মাইক ব্যবহারের কারণে অন্য ধর্মের অনুসারী কিংবা ঘুমন্ত মানুষ, শিশু, অসুস্থ লোক এবং বিশেষ করে পিএসসি ও জেএসসি-সহ অন্যান্য পরিক্ষার্থী; এমনকি মাহফিলের আশপাশের মানুষদের জরুরি প্রয়োজনে মোবাইলে কথাবার্তা বলাও কষ্টসাধ্য হয়ে ওঠে। কারো ক্ষতি করে, কাউকে কষ্ট দিয়ে এভাবে ইসলাম প্রচার কোনোভাবেই ইসলামে অনুমোদিত নয়। এমন অযৌক্তিক কাজে বহু সাধারণ মানুষ বরং ইসলামের প্রতি বীতশ্রদ্ধ হবেন; বরং হচ্ছেন। নবী করিম (সা.)-এর সুন্নত ও শরিয়তের জনকল্যাণমূলক নীতি এসব বিষয়ে পরিমিতি সংযম ও শান্তির পক্ষে। রোগীদের কষ্টের কথা বিবেচনা করে, পরীক্ষার্থীর অসুবিধা বিবেচনা করে মাইক বন্ধ রাখা ইসলামের মৌলিক শিক্ষার মধ্যে পড়ে।

অতিরিক্ত ও অপ্রয়োজনীয় মাইক ব্যবহার: অপ্রয়োজনীয় মাইক ও অতিরিক্ত সাউন্ড ব্যবহার করার মাধ্যমে ঘরে-বাড়িতে বা দোকানপাটে অবস্থানরত মানুষের কষ্ট হতে পারে। তাদের ওপর তো ওয়াজ শোনা ফরজ-ওয়াজিব নয়। তাদের মাঝে অনেকে অসুস্থ থাকতে পারে। আবার অনেকে বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত রয়েছে; তারাও ওয়াজ শুনতে আগ্রহী না-তাদের কষ্ট হবে। অথচ ইসলামের পরিষ্কার নির্দেশ হলো-রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যার মুখ ও হাতের অনিষ্ট থেকে মুসলমানগণ নিরাপদ থাকে সেই প্রকৃত মুসলিম’। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১১)

অতএব, বলার অপেক্ষা রাখে না, যে-কাউকে কোনোরূপ কষ্ট দেওয়ার সুযোগ নেই। শুধু মুসলিম নয়, অমুসলিমকেও অযথা কোনো রকম কষ্ট দেওয়া যাবে না। এমনকি কোনো জীব-জন্তুকেও কারণ ছাড়া কষ্ট দেওয়া নিষেধ। মাইকের অতিরিক্ত ও অপ্রয়োজনীয় ব্যবহার জনজীবনে চরম অসন্তোষ সৃষ্টি হয়। যা পরিবেশ ও সমাজের জন্য হুমকি-স্বরুপ। বিশেষ করে নবজাতক, ছোট্ট শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, আবাল-বৃদ্ধ, হৃদরোগী, পরীক্ষার্থীরা, নিদ্রামগ্ন-ব্যক্তি, ইবাদতরত-ব্যক্তি, শ্রমো-ক্লান্ত মানুষ এই আওয়াজটি কিভাবে নিচ্ছে। এ ব্যাপারে সমাজের সচেতন ব্যক্তিগন, মহল্লাবাসী, মুরুব্বিগণ, জনপ্রতিনিধিরা, স্থানীয় প্রশাসন, ইমাম-খতিব সাহেবান সতর্ক দৃষ্টি রাখা দরকার।

মসজিদে মাইকের ব্যবহার: ধর্মীয় কাজেও মাইক/লাউড ব্যবহারে সংযম-সতর্কতা খুবই জরুরি। দেশে কয়েক লক্ষ মসজিদের মধ্যে শতকরা দুই একটি মসজিদও আছে বলে মনে হয় না যে মসজিদে মাইক নেই। এর মূল উদ্দেশ্য মসজিদের পার্শ্ববর্তী এলাকার লোকজনকে মসজিদে এসে জামাতে নামাজ পড়বার জন্য আহ্‌বান করা। তবে বড় বড় শহরের কিছু মসজিদে মুসল্লিদের অত্যধিক সমাগম হয় বিধায় একামত দিতে ইমাম সাহেব নামাজ পড়াতে মাইকের ব্যবহার করে থাকেন। সে লক্ষ্যে মসজিদের অভ্যন্তরেও মাইক তথা সাউন্ড বঙ লাগানো থাকে। দেশের বড় বড় মসজিদগুলোতে ইমাম সাহেবের নামাজ পড়াতে মাইকের ব্যবহার প্রয়োজন, শুধু প্রয়োজন নয় অপরিহার্য। কিন্তু মসজিদকে কেন্দ্র করে কোনো ওয়াজ মাহফিলে আজানের মাইক ব্যবহার করা যথাযথ হবে না। মসজিদের নিকটবর্তী দোকানপাট, ঘরবাড়িতে মানুষের সুবিধা অসুবিধা থাকতেই পারে। এতে আজানের মাইক ব্যবহার করে মানুষকে কষ্ট দেয়া গ্রহণযোগ্য নয়। মসজিদের মাইক ব্যবহারের কিছু নিয়মনীতি আছে। কেউ অপব্যবহার করলে শাস্তি হওয়া উচিত। মসজিদের মাইকের অপব্যবহার রোধে নীতিমালা থাকা উচিত। যে কোনও ঘোষণার আগে ইমাম, মসজিদ কমিটির অনুমতি নিয়ে ঘোষণার বিধান থাকলে কেউ আর অপব্যবহার করতে পারবেন না।

মানুষকে কষ্ট দেওয়া কাজ ইসলামে অনুমোদিত নয়: মানুষের কষ্ট হয় এমন কোনো আয়োজন ইসলামি শরিয়ত কোনোদিন সমর্থন করেনি। ভবিষ্যতে কোনো দিন করবেও না। একজন হৃদরোগীর কষ্ট বিবেচনা করে, কয়েকজন পরীক্ষার্থীর অসুবিধা বিবেচনা করে সভা-অনুষ্ঠানে মাইকের নিয়মতান্ত্রিক ব্যবহার ইসলামের মৌলিক শিক্ষার মধ্যে পড়ে। মোবাইল ব্যবহারের মাসআলা-মাসায়েল নিয়ে দেশে-বিদেশে বহু আলেম এখন কিতাব লিখেছেন। বাংলাদেশেও বহু বই লেখা হয়েছে। মাইকের ব্যবহার নিয়েও যথেষ্ট আলোচনা হয়ে থাকে। তারপরও বহুলোক ইলম-জ্ঞান না থাকার কারণে মাইক ব্যবহারের ব্যাপারে শরিয়তের নির্দেশনা পালন করতে পারে না। উমর (রা.)-এর যুগে জনৈক ব্যক্তি মসজিদে-নববীতে এসে প্রতিদিন বিকট আওয়াজে ওয়াজ শুরু করে, এতে পাশেই হুজরায় অবস্থানরত হজরত আয়েশা (রা.)-এর কাজে ব্যাঘাত হতো, তাই তিনি উমর (রা.)-কে বিষয়টি অবহিত করলে ওমর (রা.)-ওই লোককে নিষেধ করে দেন। লোকটি কিছুদিন পর আবার ওয়াজ শুরু করলে ওমর (রা.)-এসে তাকে শাস্তি দেন’। (আখবারু মাদিনা: ১/১৫)

পরিশেষে: আমরা বাস্তবতা তুলে ধরে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্‌বান জানাচ্ছি। আবেদন করছি, দ্বীনি বিষয়েও শরীয়তের নির্দেশনা না জেনে কেউ কোনো কাজ করবেন না। জেনে নিন, আপনার এই নেক-কাজটির ব্যাপারে ওলামায়ে কেরাম কী বলেন। কোরআন সন্নাহ কী বলে। ধর্মীয় কাজেও মাইক ব্যবহারে সংযম-সতর্কতা খুবই জরুরি। অতিরিক্ত ও অপ্রয়োজনীয় মাইক ব্যবহার ও শব্দদূষণ বিষয়ে জনসচেতনতা ও সামাজিক আন্দোলন গড়ে উঠুক, আল্লাহ আমাদেরকে বোঝার তৌফিক দান করুন।

লেখক : হেড অব ফাইন্যান্স এন্ড একাউন্টস,
এপিক হেলথ কেয়ার লিমিটেড

পূর্ববর্তী নিবন্ধস্মরণে শ্রদ্ধায় শিক্ষাবিদ কাঞ্চন কান্তি বড়ুয়া
পরবর্তী নিবন্ধকাজী নজরুল ইসলাম আমাদের প্রেরণা