ইফতারের পর বাড়ছে ক্রেতা সমাগম

ঈদের কেনাকাটা

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ১২ এপ্রিল, ২০২২ at ৭:২৮ পূর্বাহ্ণ

নগরীর মার্কেটগুলোতে ঈদের কেনাকাটার আমেজ পুরোপুরি শুরু না হলেও ইফতারের পর বাড়ছে ক্রেতাদের আনাগোনা। মার্কেটে ক্রেতা সমাগম বাড়ার কারণে মার্কেট কর্তৃপক্ষও মধ্যরাত রাত পর্যন্ত দোকানপাট খোলা রাখছেন। ব্যবসায়ীরা বলছেন, সাধারণত ১৫ রমজানের পর থেকে মার্কেটে পুরোদমে বেচাবিক্রি শুরু হয়, তবে অনেক ক্রেতা রমজানের প্রথম সপ্তাহেও সেরে ফেলেন কেনাকাটা। এবার যেহেতু করোনা ভাইরাসের ঝামেলা নাই, আশা করি সামনের দিনগুলোতে ক্রেতাসমাগম আরো বাড়বে।
সরেজমিনে গতকাল নগরীর টেরীবাজার, নিউমার্কেট বিপণি বিতান, রেয়াজুদ্দিন বাজার, তামাকুমণ্ডি লেইন, জহুর হকার্স মার্কেট, বালি আর্কেড, কেয়ারি ইলিশিয়াম, সেন্ট্রাল প্লাজা, মিমি সুপার মার্কেট, আফমি প্লাজা, ফিনলে স্কয়ার, শপিং কমপ্লেঙ, স্যানমার ওশ্যান সিটি, ইউনেস্কো সিটি সেন্টার, আমিন সেন্টার, ভিআইপি টাওয়ার, আখতারুজ্জামান সেন্টার, সিঙ্গাপুর ব্যাংকক মার্কেট এবং মতি টাওয়ারের বিভিন্ন দোকান ঘুরে দেখা যায়, বেশ কিছু দোকানে ক্রেতাদের আনাগোনা আগের চেয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। ক্রেতারা খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পছন্দের বিভিন্ন পোশাক দেখছেন। দরদামে মিললেই পছন্দের পোশাক কিনে বাড়ির পথ ধরছেন। গতকাল নগরীর সানমার ওশান সিটিতে আসা ক্রেতা সাবরিনা সুলতানা বলেন, ঈদের টুকিটাকি শপিং করতে এসেছি। গত দুই বছর করোনা পরিস্থিতির কারণে শান্তিতে শপিং করতে পারিনি। তবে এ বছর সেই পরিস্থিতি থেকে অন্তত মুক্তি পেয়েছি। এ বছর বিক্রেতারা বেশ ভালো ভালো ড্রেসের কালেকশন নিয়ে এসেছে, তবে দাম একটু বেশি বলা যায়।
ইউনেস্কো সিটি সেন্টারে আসা গৃহিনী তাহমিনা সুরাইয়া সুর্মি দৈনিক আজাদীকে বলেন, বাচ্চার জন্য জামা নিতে এসেছি। সামনের দিনগুলোতে মার্কেটে ভিড় বেড়ে যাবে, তাই একটু আগেবাগে শপিং সারতে এসেছি।
জহুর হকার্স মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল আমিন দৈনিক আজাদীকে বলেন, মার্কেটে ক্রেতা সমাগম বাড়তে শুরু করেছেন। এটি আমাদের জন্য আনন্দের। কারণ আমরা ব্যবসায়ীরা গত দুই বছর করোনা ভাইরাসের প্রকোপের কারণে ব্যবসা করতে পারিনি। এবারের ঈদকে কেন্দ্র করে ব্যবসায়ীরা অনেক আশা নিয়ে বিনিয়োগ করেছেন। আমাদের জহুর হকার্স মার্কেটে সব ধরণের ক্রেতাদের আনাগোনা থাকে। তবে আমাদের মার্কেটে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত শ্রেণীর ক্রেতারা বেশি আসেন।
তামাকুমণ্ডি লেইন বণিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মোজাম্মেল হক দৈনিক আজাদীকে বলেন, মার্কেটে বিশেষ করে ইফতারের পর থেকে প্রচুর ক্রেতা সমাগম হচ্ছে। এখন পর্যন্ত বেচাবিক্রি অবস্থা নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট। আশা করি এবার আমরা গত দুই বছরের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবো।
সানমার ওশান সিটি ও নাসিরাবাদের ফিনলে স্কয়ার দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আসাদ ইফতেখার বলেন, মার্কেটে ধীরে ধীরে জমে উঠতে শুরু করছে। আশা করি ১৫ রমজানের পর থেকে পুরোদমে বেচাবিক্রি শুরু হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসেই আকিব হাসপাতাল ছাড়ছেন আজ
পরবর্তী নিবন্ধদুদকে দেওয়া বিএনপির চিঠিতে দুই অভিযোগ