ইনডোর নির্মাণ কাজ শেষ হবে কবে

ক্রীড়া প্রতিবেদক | মঙ্গলবার , ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১ at ৫:৪৭ পূর্বাহ্ণ

যেকোনো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ভেন্যুতে ইনডোর গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। কারণ যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে মাঠে অনুশীলন করা সম্ভব না হলে ইনডোরে অনুশীলন করে ক্রিকেটাররা। কিন্তু দেশের গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ভেন্যু জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ইনডোর নেই প্রায় দুই বছর হতে চলল। এরই মধ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল সফর করে গেছে চট্টগ্রাম। তবে ভাগ্য ভালো ছিল সে সময় বৃষ্টির আক্রমণ হয়নি। এখন বিসিবির এইচপি দল অনুশীলন করছে জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। কদিন পর আসবে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। কাজেই এই দল দুটিও জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ইনডোর সুবিধা পাচ্ছে না। স্টেডিয়ামের যে অংশে আগে ইনডোর ছিল সে অংশ দিয়ে চিটাগাং আউটার রিং রোডের ওভার পাস যাওয়ায় সেটি ভেঙে ফেলতে হয়েছে। প্রকল্পটির বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান সিডিএ তাই স্টেডিয়ামের অপর পাশে দৃষ্টিনন্দন একটি ইনডোর নির্মাণ করে দিচ্ছে। তবে সে ইনডোরের নির্মাণ কাজ এখনো শেষ হয়নি। বলতে গেলে এক রকম কচ্ছপ গতিতেই চলছে এই ইনডোর নির্মাণের কাজ।
যদিও ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে নির্মাণ কাজ শুরু হওয়া ইনডোরটি এ বছরের জানুয়ারিতে বিসিবিকে বুঝিয়ে দেওয়ার কথা ছিল সিডিএর। এরপর আরো আট মাস কেটে গেলেও এখনো সম্পূর্ণ হয়নি ইনডোরটি। আর কবে নাগাদ শেষ হবে তারও নিশ্চয়তা দিতে পারছে না কেউ। সবাই বলছে শীঘ্রই শেষ হবে এই ইনডোর নির্মাণের কাজ। ইনডোর নির্মাণের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস জানান, নির্ধারিত সময়ে কাজ শুরু হলেও করোনার কারণে দীর্ঘ সময় কাজ করা সম্ভব হয়নি। ফলে এখনো বেশ কিছু কাজ বাকি রয়ে গেছে। তাছাড়া ইনডোরের যে এস্ট্রো টার্ফ তা আনতে হয় বিদেশ থেকে। বিশেষ করে ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড এবং ভারতেই মূলত এই টার্ফ পাওয়া যায়। সে টার্ফটি এখনো আনা যায়নি। তবে স্বল্প সময়ের মধ্যে এই টার্ফ এসে যাবে বলে জানান তিনি। ইনডোরের ফ্লোরের ঢালাই সহ যেসব কাজ রয়েছে তা বেশি দিন লাগবে না বলেও জানান সিডিএর প্রধান প্রকৌশলী।
এদিকে ইনডোরের ফ্লোরের ঢালাইয়ের কাজ আগামী দু একদিনের মধ্যে শেষ হবে বলে জানিয়েছেন জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের ভেন্যু ম্যানেজার ফজলে বারী খান রুবেল। তিনি জানান, ইনডোরের ছাউনিসহ বেশির ভাগ কাজ প্রায় শেষ। এখন মূলত অপেক্ষা টার্ফের। টার্ফটা এসে গেলেই বাকি কাজগুলো সম্পন্ন হতে বেশি সময় লাগবে না। এরই মধ্যে ভিউইং এন্ডে যাওয়ার সিঁড়ির কাজও সম্পন্ন হয়েছে। যে অংশটুকু বাকি আছে তাতে গ্লাসের কাজ বলেও জানান তিনি। এছাড়া কিছু সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ হয়তো বাকি থাকবে। বিসিবি পরিচালক এবং ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান জানান, আসলে কাজটা করছে সিডিএ। ক্রিকেট বোর্ড থেকে তদারকি করা হচ্ছে। তিনিও আশাবাদী স্বল্প সময়ের মধ্যে শেষ হবে ইনডোরের কাজ। কারণ করোনার প্রকোপ কিছুটা কমে আসায় এখন সবকিছু খুলে দেওয়া হয়েছে। সামনে ক্রিকেটের ব্যস্ত সূচি থাকতে পারে। তাই ইনডোর খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে জানান তিনি। তাই তিনিও আশা করছেন অতি দ্রুততম সময়ে এই ইনডোরের কাজ শেষ হবে।
এই ইনডোরটি হবে দেশে সবচাইতে সুন্দর এবং আকর্ষণীয় একটি ইনডোর। ১৪২ ফুট দৈর্ঘ্য আর ৫৮ ফুট প্রস্থের এই ইনডোরে উইকেট থাকবে চারটি। এছাড়া আধুনিক সব সুযোগ সুবিধা থাকবে। যা সবদিক থেকে এই ইনডোরটিকে আলাদা করে রাখবে। ইনেডারের দৃষ্টিনন্দন ডিজাইনতো রয়েছেই। বিশেষ করে ক্রিকেটারদের আশা এবারের ক্রিকেট মৌসুম শুরুর আগেই তারা যেন এই ইনডোরটি ব্যবহারের সুযোগ পান।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমেডিকেল কলেজেও ফিরেছে প্রাণচাঞ্চল্য
পরবর্তী নিবন্ধদেশে এক দিনে শনাক্ত বেড়েছে মৃত্যু ৪১