ইউপি সচিবরা আন্তরিক হলে গ্রাম আদালতের কার্যক্রম বেগবান হবে

চট্টগ্রামে সমন্বয় সভায় উপ-পরিচালক বদিউল আলম

| সোমবার , ২৩ মে, ২০২২ at ১০:৪০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক (স্থানীয় সরকার) বদিউল আলম বলেছেন, গ্রাম আদালতের কার্যক্রম চলমান থাকলেও তা সঠিকভাবে তদারকি ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্ধারিত ছক অনুযাযী অবহিত না করার কারণে কিছুটা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ইউপি সচিবরা আরও আন্তরিক হলে গ্রাম আদালতের সার্বিক কার্যক্রম বেগবান হবে। বিভিন্ন কারণে মানুষ গ্রাম আদালতের বিচার ব্যবস্থার ওপর আস্থা হারাচ্ছে। জনপ্রতিনিধিরা কোন এক পক্ষের হয়ে কাজ করেন বলেই বিচার প্রার্থীরা উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন। বাস্তব পরিস্থিতি দেখে ন্যায় বিচার করলে গ্রাম আদালতে গ্রহণযোগ্যতা আরও বাড়বে।

গতকাল রোববার চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে গ্রাম আদালতের কার্যক্রমের অগ্রগতি ও পরিচালনা দিক-নির্দেশনা প্রদানের লক্ষ্যে ইউনিয়ন পরিষদ সচিবদের সাথে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীন বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (২য় পর্যায়) প্রকল্পের সহযোগিতায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন সভার আয়োজন করেন। সভায় সন্দ্বীপ, সীতাকুণ্ড, ফটিকছড়ি, সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ইউএনডিপি প্রতিনিধি, প্রকল্পভূক্ত এলাকার ইউপি সচিবরা অংশগ্রহণ করেন।

জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার (স্থানীয় সরকার) ও এঙিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নূর জাহান আক্তার সাথীর সঞ্চালনায় সভায় মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে গ্রাম আদালত কার্যক্রম বাস্তবায়নে জেলার অগ্রগতি, মাসিক-ত্রৈমাসিক প্রতিবেদন ও গ্রাম আদালত টেকসইকরণে ইউপি সচিবদের দায়িত্ব সম্পর্কে আলোকপাত করেন ইউএনডিপি’র এভিসিবি-২ প্রকল্পের ন্যাশনাল কনসালট্যান্ট উজ্জ্বল কুমার দাস চৌধুরী। বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন (সীতাকুণ্ড), মো. সাব্বির রাহমান সানি (ফটিকছড়ি), ফাতেমা-তুজ জোহরা (সাতকানিয়া) ও মো. শরীফ উল্যাহ লোহাগাড়া)।

সভায় জানানো হয়, দেশের আনুষ্ঠানিক বিচার ব্যবস্থার উপর চাপ কমাতে এবং দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর সহজে, কম খরচে, স্বল্প সময়ে, সঠিক বিচার প্রাপ্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ১৯৭৬ সালে গ্রাম আদালত অধ্যাদেশ প্রণয়নের মাধ্যমে স্থানীয়ভাবে বিরোধ নিষ্পত্তির পদ্ধতিকে আরও ফলপ্রসূ করার জন্য আইনি কাঠামোর মধ্যে আনা হয়। কিছু সংশোধনীসহ ২০০৬ সালে অধ্যাদেশটিকে আইনে পরিণত করা হয়, ২০১৩ সালে আইনের কিছু ধারা সংশোধন করা হয় এবং সবশেষে ২০১৬ সালে গ্রাম আদালত বিধিমালা প্রণীত হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপোর্ট সিটি ভার্সিটিতে নবীনবরণ
পরবর্তী নিবন্ধসীতাকুণ্ড পৌর বিএনপির ৮ ওয়ার্ড কমিটির অনুমোদন