আস্কর আলী পণ্ডিতের চাটগাঁইয়া গান

শামসুল আরেফীন | শুক্রবার , ২২ মার্চ, ২০২৪ at ৫:২৯ পূর্বাহ্ণ

আস্কর আলী পণ্ডিত আমাদের দ্বারা লোককবি অভিধায় চিহ্নিত হলেও তিনি মূলধারার বাংলা সাহিত্যের কবিও বটে। লোকসমাজে জন্ম হওয়ায় পরিচয়ের এমন স্বরূপ। আধুনিক বাংলা সাহিত্য সুধীসমাজে লালিত ও মূল্যায়িত হলেও পূর্বে মূলধারার বাংলা সাহিত্য লোকসমাজে লালিত হয়। ড. সত্যব্রত দে তাঁর ‘চর্যাগীতি পরিচয়’ গ্রন্থের ১০০ সংখ্যক পৃষ্ঠায় চর্যাপদ সমপর্কে বলেন: “একদা চর্যাগীতি সমাজে জনপ্রিয় মর্যাদায় বহুল প্রচলিত ছিল এবং সম্ভবত নিষেধ সত্ত্বেও সঙ্গীতরস উপভোগের জন্য অদীক্ষিত জনসাধারণও চর্যাগীতি আস্বাদন করিতেন। চর্যাগীতির এই জনপ্রিয়তাই পরবর্তী সঙ্গীতশাস্ত্রগুলির মধ্যে ইহার উল্লেখ ও বিস্তৃত বিবরণ প্রদানের প্রেরণা। সুতরাং আজ চর্যাগীতি লিখিতরূপে আমাদের কাছে অসিয়া উপস্থিত হইলেও একদা চর্যাগীতিগুলি লোকমুখে প্রচলিত ও জনপ্রিয় সঙ্গীতরীতি হিসাবেই পরিচিত ছিল।”

মূলধারার বাংলা সাহিত্য অর্থাৎ চর্যাপদ এবং মধ্যযুগঅবক্ষয় যুগে রচিত সাহিত্য লোকসমাজে লিখিত বা প্রতিলিপিরূপে এবং মৌখিকভাবে লালিত হয়। বংশ পরমপরায় মৌখিকভাবে লালিত হওয়া ছিল সংরক্ষণের অন্যতম উপায়। কেননা ওই সময়কালে লিখে রাখার ব্যাপার ছিল কঠিন ও কষ্টসাধ্য। চর্যাপদ লিখিত হয় তালপাতায়। মধ্যযুগঅবক্ষয় যুগে রচিত সাহিত্য লিখিত হয় তুলট কাগজ প্রভৃতিতে। চট্টগ্রাম থেকে মধ্যযুগঅবক্ষয় যুগে রচিত সাহিত্যের অনেকাংশের লিখিতরূপ বা প্রতিলিপি পাওয়া গেছে। এসব উদ্ধার করেন মুন্সী আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ, আবদুস সাত্তার চৌধুরী ও ড. এনামুল হক প্রমুখ। এসবের মধ্যে আছে মঙ্গলকাব্য, প্রণয়কাব্য, কাহিনিকাব্য প্রভৃতি। এছাড়াও আছে অনেক বারোমাসি ও গীতিকা।

ঊনিশবিশ শতকেও মধ্যযুগঅবক্ষয় যুগের অনুসরণে সাহিত্যচর্চা চলে। আস্কর আলী পণ্ডিত এ সময়েই নিরলসভাবে নিরন্তর সাহিত্য রচনা করেন। লোকসমাজে জন্ম হওয়ায় একদিকে লোকসংস্কৃতি, অপরদিকে লোকসমাজে লিখিত ও মৌখিকভাবে লালিত মূলধারার বাংলা সাহিত্য দ্বারা তীব্র প্রভাবিত হন। ফলে তাঁর থেকে লোকসাহিত্য ও মূলধারার বাংলা সাহিত্য উভয়ই আমরা পাই। মূলধারার বাংলা সাহিত্যে তাঁর উল্লেখযোগ্য রচনা পুঁথি; যেমন, ‘জ্ঞান চৌতিসা’, ‘পঞ্চসতী প্যারজান’, ‘হাদিসবাণী’ প্রভৃতি। চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষা ও সংস্কৃত ভাষার প্রভাবযুক্ত ‘জ্ঞান চৌতিসা’ ও ‘পঞ্চসতী প্যারজান’ (‘পঞ্চসতী প্যারজানে’ দেবনাগরীর ব্যবহারও লক্ষণীয় বটে) প্রণয়কাব্য। ‘জ্ঞান চৌতিসা’য় জ্ঞান ও চৌতিসা কন্যার এবং ‘পঞ্চসতী প্যারজানে’ দিদারসুখ ও প্যারজানের প্রণয়কাহিনি সন্নিবেশিত। ‘জ্ঞান চৌতিসা’ প্রণয়কাব্য হলেও সেখানে মরমি বা আধ্যাত্মিক দর্শনের চর্চা লক্ষ করার মতো। ‘জ্ঞান চৌতিসা’য় এ দর্শনের চর্চা করতে প্রণয়কাহিনির আশ্রয় নেওয়া হয়, এমনটি আনায়াসে ভাবা যেতে পারে। ষোলো শতকে সৈয়দ সুলতান ‘জ্ঞান চৌতিসা’, ‘জ্ঞান প্রদীপ’ এবং হাজী মুহম্মদ ‘সুরতনামা বা নুরজামাল’ প্রভৃতি কাব্যের মাধ্যমে মরমি দর্শন চর্চা করেন। উনিশবিশ শতকে ‘জ্ঞান চৌতিসা’ নামে পুঁথি বা প্রণয়কাব্য রচনার মাধ্যমে আস্কর আলী পণ্ডিতের মরমি দর্শন চর্চা প্রমাণ করে তিনি তাঁদের সুযোগ্য উত্তরসূরি। ‘পঞ্চসতী প্যারজানে’ কোন দর্শনের চর্চা অলক্ষ। একে স্রেফ অতি কল্পনাশ্রয়ী প্রণয়কাব্য বিবেচনা করা যায়। তবে হ্যাঁ, আবহমান বাংলার সাধারণ মানুষ সুপ্রাচীনকাল থেকে বিশ্বাস ও মান্য করে আসছে শাস্ত্রীয় এমন কিছু বিষয়আশয় বা রীতিনীতি এখানে উপস্থাপিত, যা থেকে বলা যায়, এতে সমাজ বাস্তবতার সামান্য ছোঁয়াও বিদ্যমান। ‘হাদিসবাণী’ পুঁথিটি মুন্সী আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ সংগৃহীত। তবে তিনি মনে করতেন, ‘হাদিস কালামবাণী’ পুঁথির রচক লোকমান আলীই এর রচয়িতা।

লোকসাহিত্যে আস্কর আলীর উল্লেখযোগ্য রচনা গান। আমাদের আজকের আলোচনা তাঁর গান, বিশেষ করে তাঁর চাটগাঁইয়া গান নিয়ে।

আস্কর আলী পণ্ডিত তাঁর জীবদ্দশায় লৌকিক অধ্যাত্মচেতনাপুষ্ট সাধনসংগীত ও লৌকিক জীবননির্ভর সাধারণ সংগীত রচনা করেন। তাঁর এ ধরনের অনেক গান তাঁর সময়ে জনপ্রিয় হয়েছিল, এমনকি এখনও জনপ্রিয়। এক্ষেত্রে তাঁর ‘কী জ্বালা দি গেলা মোরে’, ‘ডালেতে লড়িচড়ি বৈও চাতকি ময়নারে’, ‘কেউরে ন বুঝাইয়মরে আঁর পরাণবন্ধু কালা’, ‘বসি রইলি ও মন কার আশে/রঙ্গের বাজার’, ‘মন পাখিরে বুঝাইলে সে বোঝেনা/প্রবোধ মানে না, ‘গনার দিন ত যারগৈরে ফুরাই আরত ফিরি ন আইব’, ‘বাতাসের রিত না বুঝি সুজন মাঝি ভাসায় দিছে’, ‘পরবাইস্যারেওরে ও পরবাইস্যারে ফজরত আঁই ধইরলাম নলর কুডি’, ‘কী লইয়া যাইয়ুম ঘরে সন্ধ্যাকালে’, ‘একসের পাবি দেড়সের খাবি ঘরত নিবি কী’, ‘দেখি না দেখিলো মোরে’, ‘হাউসের যৌবন আমার শেষ করি/বন্ধু যায়’ এবং ‘এইবার মরিব আমি বিষ খাইয়া ননদিয়া’ প্রভৃতি গান উল্লেখ করার মত। তাঁর সংগীতসংকলনও রয়েছে অনেক; যেমন, ‘নন্দবিলাস’, ‘নন্দবেহার: প্রথম ভাগ’, ‘গীত বারমাস (. গীত বারমাস ২য় ভাগ)’, ‘হাফেজ বাহাদুর (গীত, বারমাস ও কবিতা: প্রথম ভাগ)’ ও ‘নন্দসাগর’ প্রভৃতি। এই দুর্লভ সংকলনগুলো আমাদের সংগ্রহে রয়েছে।

আস্কর আলী পণ্ডিতের গান বা তাঁর সংগীতসংকলনের দিকে দৃষ্টিপাত করলে দেখা যায়, সংগীত রচয়িতা বা সাংগীতিক হিসেবে খুবই শক্তিমান এই কবি গান রচনায় একটি বিশেষ রীতি অনুসরণ করেছেন।

বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগে আঞ্চলিক ভাষার মিশ্রণে পুঁথি রচনার একটি রীতি লক্ষণীয়। এরপরেও অর্থাৎ ঊনিশ ও বিশ শতকেও এই রীতি অনুসরণ করে অনেকে পুঁথি লিখেছেন। ঊনিশবিশ শতকে আস্কর আলী পণ্ডিত রচিত পুঁথিতেও এই রীতি লক্ষ্যগোচর হয়। উল্লেখ করা দরকার, পুঁথির মতো বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগের গানেও এই রীতি রয়েছে। আঠারো শতকের কবি আলী রজা ওরফে কানুফকির এই রীতি অনুসরণ করে অর্থাৎ চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষার শব্দ প্রয়োগ করে গান লিখেছিলেন। আস্কর আলী পণ্ডিতের গানেও এই রীতিই অনুসরণ করা হয়েছে। এক সময় এধরনের গানকে চট্টগ্রামে কাউয়া আঞ্চলিক গান বলা হতো। এসব গানের অনেকগুলোতে আদিরসও ছিলো। আস্কর আলী পণ্ডিতের কাউয়া আঞ্চলিক গানের একটি উদাহরণ:

গিত চাতক বিনন্দ। বয়ারি রাগিনি ॥

ডালেত লরি চরি বৈও চাতকি ময়না,

গাইলে বৈরাগির গিত গাইও ॥ ধুয়া ॥

অরে চাতকি ময়না রঙ্গ তোর কালা।

তোমার মনে আমার মনে এক প্রেম জালা ॥

মনে কৈলে চাতকিনি নন্দির পানি খাইও।

ফুলের মধু খাইলে ময়না মধূপুরে যাইও ॥

দক্ষিণ মুখি বৈলে ময়না বাতাস লাগে গায়।

পশ্চিম মুখি বৈলে ময়না রৈদে জলি যায় ॥

উত্তর মুখি বৈলে ময়না শীতে খাইব চাইও।

কুন্দি আইসে প্রাণ বন্ধুয়া আগে মোরে কৈও ॥

অষ্ট অলঙ্কার আমি তুলিয়া দিলুম গায়।

পাটের সাড়ি পিন্দি চাইলম শরীর না জুরায় ॥

কয় শ্রী আস্কর আলি একদিন দুদিন পরে।

মাধব বৈরাগি সনে মিলাই দিম তোরে ॥

এই গানে ‘লরি চরি’, ‘বৈও’, ‘গাইও’, ‘কালা’, ‘কৈলে’, ‘খাইও’, ‘যাইও’, ‘বৈলে’, ‘গায়’, ‘রৈদে’, ‘জলি’, ‘খাইব’, ‘চাইও’, ‘কুন্দি’, ‘জুরায়’ প্রভৃতি চাটগাঁইয়া শব্দের প্রয়োগ ঘটেছে।

আস্কর আলী পণ্ডিত ছাড়াও তাঁর পরবর্তীকালে আরও অনেকে কাউয়া আঞ্চলিক গান লিখেছেন। যেমন, রমেশ শীল, মলয় ঘোষ দস্তিদার, অচিন্ত্যকুমার চক্রবর্তী, মোহনলাল দাশ, এম এন আকতার, গফুর হালী ও সঞ্জিত আচার্য প্রমুখ। দৃষ্টান্ত হিসেবে রমেশ শীলের একটি কাউয়া আঞ্চলিক গান:

চাষী ভাই শুন কিছু সুখবর এই বছর

হেলা করি বেলা যাইব সময় থাকতে চেষ্টা কর।

সুদিনত কর রবিশস্য বরিষাত কর ধান

ভাই রে ধানের ভিতর জান

পইর ভরা মাছ জিঁয়াইবা সুখে খাইবা বছর ভর ॥

দুঃখে কষ্টে টেঁয়া জমাই গাই গরু লইবা

দুধ না কভু বাই খাইবা

উগ্যার দুধ খরছত দিবা

আর উগ্যার দুধ খাই কলজা তাজা গর ॥

সমবায়ে যোগ দি কিছু তাজ্যকর্জ্য ও ভাই

আর কন চিন্তা নাই

কম সুদে এই টেঁয়া পাই মহাজনরে কিয়র ডর।

আর এক কথা বছর বছর মানুষ বাড়ি যায়

হেতারলাই ভাতে ন কুলায়

জন্মনিয়ন্ত্রণ করণ দরকার সময় থাকতে রাস্তা ধর ॥

এই গানে ‘সুদিনত’, ‘বরিষাত’, ‘পইর’, ‘জিঁয়াইবা’, ‘খাইবা’, ‘টেঁয়া’, ‘জমাই’, ‘গাই’, ‘লইবা’, ‘বাই’, ‘খাইবা’,‘উগ্যার’, ‘খরছত’, ‘দিবা’, ‘কলজা’, ‘গর’, ‘যোগ দি’, ‘তাজ্যকর্জ্য’, ‘কন’, ‘টেঁয়া’, ‘কিয়র’, ‘ডর’, ‘হেতারলাই’, ‘ন কুলায়’ ও ‘করণ’ প্রভৃতি চাটগাঁইয়া শব্দ।

চট্টগ্রামে বিশুদ্ধ আঞ্চলিক গান কখন্‌ থেকে রচিত হচ্ছে, তা বলা মুশকিল। আস্কর আলী পণ্ডিতের ক্ষেত্রে এটা বলা যায় যে, তিনি কাউয়া আঞ্চলিক গান রচনা করলেও কোনো বিশুদ্ধ আঞ্চলিক গান বা চাটগাঁইয়া গান রচনা করেননি। তাঁর জীবদ্দশায় ও মৃত্যুর পরে প্রকাশিত তাঁর কোনো পুঁথি বা সংগীতগ্রন্থে চাটগাঁইয়া গান অলক্ষ। তবে তাঁর পরবর্তী অনেক গীতিকার, যাঁদের নাম ইতোমধ্যে উল্লেখ করা হয়েছে, চাটগাঁইয়া গান রচনা করেছেন। বস্তুত এই গীতিকাররা চাটগাঁইয়া গানের পাশাপাশি কাউয়া আঞ্চলিক গানও রচনা করেন।

ইতোমধ্যে বর্ণিত আস্কর আলীর কয়েকটি গানের প্রথম চরণ, যেমন, ‘কেউরে ন বুঝাইয়মরে আঁর পরাণবন্ধু কালা’, ‘পরবাইস্যারেওরে ও পরবাইস্যারে ফজরত আঁই ধইরলাম নলর কুডি’ ও ‘গনার দিন ত যারগৈরে ফুরাই আরত ফিরি ন আইব’ প্রভৃতি শুনলে মনে হয়, গানগুলো পুরোপুরি চট্টগ্রামের আঞ্চলিক গান বা চাটগাঁইয়া গান। প্রশ্ন আসতে পারে, এটা কেন? এক্ষেত্রে জবাব হলো আসলে আস্কর আলী পণ্ডিত চাটগাঁইয়া গান রচনা না করলেও পরবর্তীকালে তাঁর অনেক গান বা কাউয়া আঞ্চলিক গানকে, যেভাবেই হোক না কেন, চাটগাঁইয়া গানে পরিণত করা হয়েছে। উদাহরণ হিসেবে আস্কর আলী পণ্ডিতের একটি কাউয়া আঞ্চলিক গান :

কারে না বুজামরে আমার

পরানর বন্ধু কালা।

ধুয়াঃ যে বলক সে বলক মোরে কারে না দিম কৈয়া।

বিদেশে না যাইয়া বন্ধু ঘরে থাইক্য বৈয়ারে॥

সবে বলে কালা কালা আমি বলি গোরা।

সব ফূলে মধু খায় রসের ভোমরারে॥

কালা মুখের নিলা হাসি দিনে রাইতে চাইব।

অর্ণ জল না থাকিলে ভিক্ষা মাগি খাইবরে॥

কহে হিন আস্কর আলী কালা গলার মালা।

পতি সেবা করি নারি মরি গেলে ভালারে॥

এই গানে ‘পরানর’, ‘কালা’, ‘থাইক্য’, ‘গোরা’, ‘নিলা’, ‘রাইতে’, ‘মাগি’, ‘ভালা’ প্রভৃতি চাটগাঁইয়া শব্দ। গানটি নিম্নোক্তরূপে চাটগাঁইয়া গানে পরিণত হয়েছে:

কেউরে ন বুঝাইয়মরে আঁর

পরাণবন্ধু কালা,

সবে বলে কালারে কালা আঁত্তে লাগে গোরা, ওমন

আঁত্তে লাগে গোরা,

সব ফুলর মধু খাইবো রসিক ভোমরারে॥

যে বলিব বলুক কালা কেউরে নইদ্যুম কৈয়া, ওমন

কেউরে নইদ্যুম কৈয়া,

বৈদেশত ন যাইওরে বন্ধু, বৈদেশত ন যাইও বন্ধু

ঘরত থাক বৈয়ারে॥

কালা মুখর নীলা হাসি দিনে রাইতে চাইব আমি,

দিনে রাইতে চাইব,

ট্যাঁয়াপৈসা ন থাকিলে, অন্নজল ন থাকিলে

ভিক্ষা মাগি খাইবরে॥

ও দয়ালরে

কয় হীন আস্কর আলী কালা গলার মালা, ওমন

কালা গলার মালা,

কালার সাথে প্রেম করিয়া মরি গেলে ভালারে॥

আস্কর আলী পণ্ডিতের অনেক গান অর্থাৎ কাউয়া আঞ্চলিক গান বিশুদ্ধ চাটগাঁইয়া গানে পরিণত হওয়ার কারণে তিনি চট্টগ্রামের আঞ্চলিক গানের ইতিহাসে অনশ্বর হয়ে থাকবেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধউঠোন জুড়ে কাক
পরবর্তী নিবন্ধঅসহায় গরিব মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে রমজানের মাহাত্ম্য অর্জন করতে হবে