আরো ৫টি নতুন ভেন্টিলেটর পেল চমেক হাসপাতাল

নবজাতক ও শিশু আইসিইউ’র সেবার পরিসর আরো বাড়বে

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ৩ জুন, ২০২২ at ৪:১৩ পূর্বাহ্ণ

আরো ৫টি নতুন ভেন্টিলেটর পেয়েছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল। ঢাকার সিএমএসডি (কেন্দ্রীয় ওষুধাগার) থেকে গত বুধবার (১ জুন) এসব ভেন্টিলেটর চমেক হাসপাতালে এসে পৌঁছেছে। চমেক হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শামীম আহসান আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। নতুন পাওয়া এসব ভেন্টিলেটর নবজাতক ওয়ার্ড ও শিশু আইসিইউতে দেয়া হবে বলে জানান তিনি। এর আগে গত ৭ এপ্রিল নতুন ১৫টি ভেন্টিলেটর বুঝে পায় চমেক হাসপাতাল। এসব (১৫টি) ভেন্টিলেটরের মধ্যে একটি ওয়ান স্টপ ইমার্জেন্সি কেয়ারে (ওসেক) এবং আরেকটি হৃদরোগ বিভাগের সিসিইউতে বরাদ্দ দেয়া হয়। বাকি ১৩টি ভেন্টিলেটর দেয়া হয় আইসিইউ বিভাগে। নতুন এসব ভেন্টিলেটর ইনস্টলেশনের পর আইসিইউ’র সবকয়টি (২০টি) শয্যায় সেবা চালু হয়। এর আগ পর্যন্ত ভেন্টিলেটর অকেজো থাকায় অন্তত ৯টি আইসিইউ শয্যায় সংকটাপন্ন রোগীদের সেবা দেয়া যাচ্ছিল না। বলতে গেলে ২০টি আইসিইউ শয্যার মধ্যে প্রায় অর্ধেকই থেকেও নাই হয়ে ছিল দীর্ঘ দিন।

সবমিলিয়ে অনেকটা খুঁড়িয়েই চলছিল হাসপাতালের আইসিইউ সেবা। এ নিয়ে গত ২৪ মার্চ দৈনিক আজাদীর প্রথম পাতায় ‘চমেক হাসপাতাল : অর্ধেক ভেন্টিলেটর অকেজো/খুঁড়িয়ে চলছে আইসিইউ সেবা, ২৯টি ভেন্টিলেটরের ১৪টিই অকেজো’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। পরবর্তীতে নতুন ২৫টি ভেন্টিলেটর চেয়ে ঢাকার কেন্দ্রীয় ওষুধাগারে (সিএমএসডি) চিঠি দেয় চমেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এর প্রেক্ষিতে গত ৭ এপ্রিল নতুন ১৫টি ভেন্টিলেটর বুঝে পায় চমেক হাসপাতাল। নতুন এসব ভেন্টিলেটর ইনস্টলেশনের পর আইসিইউ’র সবকয়টি শয্যাতেই এখন ভেন্টিলেশন সাপোর্টসহ সেবা চালু রয়েছে বলে জানান আইসিইউ বিভাগের চিকিৎসকরা।

এদিকে, নতুন পাওয়া ৫টি ভেন্টিলেটর হাসপাতালের নবজাতক ও শিশু আইসিইউতে বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে। এতে করে নবজাতক ও শিশু আইসিইউ’র সেবার পরিসর আরো বাড়বে বলে জানিয়েছেন চমেক হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শামীম আহসান।

হাসপাতালের আইসিইউ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, প্রতিটি আইসিইউ শয্যায় একটি করে ভেন্টিলেটর (কৃত্রিম শ্বাসপ্রশ্বাসদানের যন্ত্র) থাকে। এই ভেন্টিলেটর ছাড়া সংকটাপন্ন রোগীকে ভেন্টিলেশন সাপোর্ট দেয়া যায় না। কিন্তু প্রায় সময়ই এসব ভেন্টিলেটর অকেজো হয়ে পড়ে। আর ভেন্টিলেটর অকেজো হলে ওই সব শয্যায় ভেন্টিলেশন সাপোর্ট সেবাও বন্ধ থাকে। এতে করে গরীবঅসহায় রোগীরা এই আইসিইউ চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হয়। অন্যদিকে নগরীর প্রাইভেট হাসপাতালক্লিনিকগুলোতে আইসিইউ সেবা নিতে হলে দৈনিক ৩৫ থেকে ৪৫ হাজার টাকা ফি গুণতে হয় রোগীর পরিবারকে। যা গরীবঅসহায় পরিবারের পক্ষে বহন করা কোনো ভাবেই সম্ভব নয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকৌতুক কণিকা
পরবর্তী নিবন্ধচবিতে ১০ শিক্ষার্থী পেলেন ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক দৈনিক আজাদী বৃত্তি