আরব্য রজনীর লা’ইব

রেজাউল করিম | বুধবার , ৩০ নভেম্বর, ২০২২ at ৮:০৮ পূর্বাহ্ণ

দক্ষিণ কোরিয়ার বিটিএস ব্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ গায়ক জাংকুক কাতারের আল বায়েত স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পারফর্ম করেছেন। কাতার বিশ্বকাপের অফিসিয়াল গান হিসেবে বেছে নেয়া হয়েছে এই ব্যান্ডেরই গাওয়া গান ড্রিমারস। ‘দেখো আমরা কারা, আমরা স্বপ্নদেখার সারথী, আমরা এটি সত্যি করব, কারণ আমরা বিশ্বাস করি’ সুরে সুরে মঞ্চে উপস্থিত হয় কাতার বিশ্বকাপের মাসকট লা’ইব। সুরে সুরে মাতায়। লা’ইব আরবি শব্দ, বাংলায় দাঁড়ায় দক্ষ খেলোয়াড়।

চটপটে, চঞ্চল। স্থির থাকার পাত্র নয়। উড়ে চলাই তার বৈশিষ্ট্য। সবচেয়ে বড় পরিচয়, সে ফুটবলের ভক্ত, অনুরক্ত। আরব্য রজনীর আরেক আখ্যান লা’ইব। শিশুর মতো দেখতে মনে হলেও বাস্তবে সে তরুণ। শারীরিক অবয়বটা অসাধারণ, আরব ঐতিহ্যের সাদা স্কার্ফে তৈরি। মাথায় সেটি আটকে রাখার জন্য পড়া হয় রাউন্ড ব্যান্ড। এসবের মিলিত রূপ কাতার বিশ্বকাপের মাসকট লা’ইব। ইতোমধ্যে সে সবার মন জয় করে নিয়েছে।

মাসকট লা’ইব নিয়ে প্রায় সবাই খুশি। দুরন্ত লা’ইব জায়গা করে নিয়েছে অনেকের মনে। ফিফা লা’ইবকে উপস্থাপন করেছে নানা বিশেষণে। লা’ইবকে বলা হচ্ছে, সাহসী, মজার, তারুণ্য, কৌতুকপূর্ণ, আবার দুঃসাহসী আত্মাও।

লা’ইব সবার সামনে আসে গত ১ এপ্রিল দোহায় বিশ্বকাপ ড্রয়ের দিনে। ড্র অনুষ্ঠানের আগে এক বিশেষ অ্যানিমেশন ফিল্মের মাধ্যমে বিশ্বের সামনে তুলে ধরা হয় লা’ইবকে। ওইদিনই ফিফা নিজস্ব টুইটার পেজে দুই লাইনে ব্যাখ্যা করে লা’ইবের মাজেজা। যেখানে বলা হয়, ‘লা’ইব হলো প্রাণ প্রাচুর্যে ভরা এক তরুণ। যে পৃথিবীর সব জায়গায় ফুটবলের আনন্দ বয়ে বেড়ায়।’ আর থিম সং ‘হায়্যা হায়্যা’ গেয়ে এক ছাতার নিচে বিশ্ব আজ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআনন্দের দিন
পরবর্তী নিবন্ধ‘পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বিদ্যা হচ্ছে নিজের সীমাবদ্ধতা সম্বন্ধে জানা’