আরও ৩ কর্মচারীকে জিম্মায় নিল সিআইডি

ফাইল চুরির ঘটনায় ক্ষুব্ধ স্বাস্থ্যমন্ত্রী

| বুধবার , ৩ নভেম্বর, ২০২১ at ১০:৫০ পূর্বাহ্ণ

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, তার মন্ত্রণালয় থেকে ফাইল চুরির যে ঘটনা ঘটেছে, তাতে তিনি ক্ষুব্ধ। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তার এমন মন্তব্য আসে। এদিকে ফাইল উধাওয়ের ঘটনার তদন্তে নেমে ছয়জনের পর আরও তিন কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিআইডি কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে তাদের নিয়ে সিআইডির কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (জনসংযোগ) আজাদ রহমান। খবর বিডিনিউজের।
এর আগে গত ৩১ অক্টোবর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ছয় কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নেয় সিআইডি। তারা তিন দিন ধরে ঢাকার মালিবাগে সিআইডি সদর দপ্তরে রয়েছেন। তারা হলেন বেল্লাল পলাশ, আব্দুল বারী, আয়েশা সিদ্দিকা, যোশেফ সরদার, বাদল ও মিন্টু। নতুন তিনজনের পরিচয় জানাতে না পারলেও তারা নথি হারানোর কক্ষের বলে জানান আজাদ। শাহবাগ থানার এসআই অমল সাহা জানান, যে কক্ষ থেকে ফাইল হারিয়ে যায়। ওই কক্ষে ১২ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী বসেন। আজাদ রহমান বলেন, রাজশাহী থেকে আটক ঠিকাদার নাসিমুল গনি টোটনসহ মোট ১০ জনকে সিআইডি কার্যালয়ে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সোমবার রাতে রাজশাহী থেকে ঠিকাদার টোটনকে সিআইডি ধরে ঢাকায় নিয়ে আসে।
স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ থেকে ১৭ নথিসহ একটি ফাইল হারিয়ে যাওয়ার কথা উল্লেখ করে গত ২৮ অক্টোবর শাহবাগ থানায় জিডি করেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব নাদিরা হায়দার। এদিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক গতকাল ঢাকার এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে ফাইল চুরির ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত এবং এ ঘটনায় আমরা ক্ষুব্ধ। এ ব্যাপারে যা যা পদক্ষেপ নেওয়া দরকার আমরা নিয়েছি। আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এবং পুলিশ এ ঘটনার তদন্ত করছে। তদন্ত করে যা যা ব্যবস্থা নেওয়া দরকার, আমরা তা নেব। এই ঘটনা তদন্তে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও চিকিৎসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলী নূর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছেন। কমিটির প্রধান চিকিৎসা শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন অনুবিভাগ) মো. শাহ আলম। বাকি দুই সদস্য হলেন- যুগ্ম সচিব মো. আহসান কবীর (চিকিৎসা শিক্ষা, অতিরিক্ত দায়িত্ব ক্রয় ও সংগ্রহ অধিশাখা) এবং উপসচিব (চিকিৎসা শিক্ষা-১) মোহাম্মদ আবদুল কাদের। কমিটিকে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপ্রবাসীর স্ত্রী অপহরণের অভিযোগে আদালতে মামলা
পরবর্তী নিবন্ধস্বামীকে নিয়ে ওমরাহ পালনে যাচ্ছেন মাহি