আমের নাম সূর্য ডিম

চাষে বাড়ছে আগ্রহ

মীরসরাই প্রতিনিধি | রবিবার , ১১ জুলাই, ২০২১ at ৫:০৪ পূর্বাহ্ণ

মীরসরাই উপজেলার পাহাড়ের পাদদেশের ঢালু স্থান জাপানের মিয়াজাকি বা সূর্য ডিম আম চাষের উপযোগী। তাই এখানে বাণিজ্যিকভাবে এই আমের চাষাবাদের সম্ভাবনা রয়েছে। সূর্য ডিম বিশ্ব বাজারে রেড ম্যাঙ্গো নামে পরিচিত। পার্বত্য এলাকার পাশাপাশি মীরসরাইয়ের অনেক আম চাষি দামি ও পুষ্টিসমৃদ্ধ এই আমের বাগান করে সফল হয়েছেন। তাই অন্য চাষিরা আশাবাদী। সংশ্লিষ্টরা জানান, অন্যান্য জাতের আম থেকে এটি ভিন্ন। দেখতে সুন্দর, স্বাদও বেশি। গড় ওজন প্রায় ৭০০ গ্রাম। মীরসরাইয়ের পাহাড়ের পাদদেশে আমবাড়িয়া ও মস্তাননগর এলাকায় কেজি দুইশ টাকায় বিক্রি হয়েছে সূর্য ডিম আম। নতুন জাতের এই আম দেখতেও আকর্ষণীয়।
উপজেলার ৩ নং জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের বরতাকিয়া গ্রামের সূর্য ডিম আমের চাষি মাসুদুজ্জামান জানান, তিনি এই জাতের আম বাগান করে সফল হয়েছেন। নিজ গ্রামের ফল বাগানে ১০টি আমগাছে গত বছর প্রথমবার বেশি আম ধরেনি। এবার কয়েকশ কেজি বিক্রি করেছেন। প্রতি কেজি দুইশ টাকা করে প্রায় ৫০ হাজার টাকা পেয়েছেন এবার। আমবাড়িয়া গ্রামের মাস্টার মাজহার মিয়ার দুটি সূর্য ডিম আমগাছ থেকে তিনি প্রায় ১০০ কেজি আম বিক্রি করেছেন। নিজেও অনেক খেয়েছেন।
এই আমগাছের কলম চারা লাগিয়ে ভালো ফলন তুলেছেন নতুন অনেক উদ্যোক্তা। সেইসব বাগানে আগামী বছর ফলন আসার আশা করছেন তারা। সফল কৃষকদের দেখাদেখি অনেকেই আম বাগান করার উদ্যোগ নিয়েছেন। ফলন আসার আগে বাগানের যত্ন নেওয়ায় কমতি নেই বাগান মালিকদের। সঠিক পরিচর্যা পেলে প্রতিটি বাগানে আগামী দিনে অনেক ফলন পাওয়া যাবে বলে মনে করছেন কৃষিবিদরা।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, জাপানের মিয়াজাকি অঞ্চলে প্রথম চাষ হয় এই আমের। তাই এটিকে বলা হয় ‘মিয়াজাকি ম্যাঙ্গো’। বাংলাদেশ ও ভারতে সূর্য ডিম বা লাল আম বলা হয়। অন্যান্য জাতের চেয়ে এ আমের বাজার মূল্য ও পুষ্টিগুণ বেশি।
ভারতের মহারাষ্ট্রের পুনে শহর থেকে কয়েক বছর আগে মিয়াজাকি আমের চারা প্রথম পার্বত্য এলাকায় আসে। পরে কলম চারা করে চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। চলতি মৌসুমে বাগানে ভালো ফলন হয়। ঢাকা ও চট্টগ্রামের এই আম কেজি ১ হাজার টাকায়ও বিক্রি হয় বলে জানা গেছে। কৃষিবিদ ও আম ব্যবসায়ীদের মতে, এই আমের বাজার মূল্য ও চাহিদা দিন দিন বাড়বে। এখানকার ক্ষুদ্র চাষিরাও এই জাতের আমগাছ লাগাতে আগ্রহী।
মীরসরাই উপজেলা কৃষি সুপারভাইজার নুরুল আলম বলেন, সাশ্রয়ী মূল্যে কলম চারা সরবরাহে চারা উৎপাদনকারীদের উদ্বুদ্ধ করা হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপটিয়ায় রাস্তার পাশে ঝোঁপে অটোরিকশা চালকের মরদেহ
পরবর্তী নিবন্ধপতেঙ্গায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৭