আমেনাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন তার স্বামী

| বৃহস্পতিবার , ৩১ মার্চ, ২০২২ at ৫:৪৩ পূর্বাহ্ণ

সীতাকুণ্ডে আমেনা বেগম নামের এক নারীকে হত্যার অভিযোগে তার স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত মঙ্গলবার রাতে ময়মনসিংহের ভালুকা থেকে মো. রাসেল নামে ৩০ বছর বয়সী ওই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয় বলে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর জানান। গতকাল বুধবার সিআইডি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন তিনি বলেন, রাসেল তার দুই বছরের সন্তানের সামনে স্ত্রী আমেনাকে (২৫) গলাটিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন এবং দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। খবর বিডিনিউজের।
২৬ মার্চ ভোরে সীতাকুণ্ড উপজেলার বাঁশবাড়িয়া কুট্টবাজার এম এম জুট মিল সংলগ্ন কলোনির একটি ভাড়া বাসা থেকে গৃহবধূ আমেনার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। আমেনা সন্দ্বীপের মো. জামালের মেয়ে, আর গ্রেপ্তার রাসলের বাড়ি জামালপুরে। তিন বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। সীতাকুণ্ডের ভাড়া বাসায় ১৫ দিন আগে তারা উঠেছিলেন।
লাশ উদ্ধারের ঘটনায় নিহতের ভাই বাবলু একটি হত্যা মামলা করলে ছায়া তদন্ত শুরু করে সিআইডি। পরে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আমেনার স্বামীর সংশ্লিষ্টতা পান তদন্তকারীরা। রাসেলকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে পুলিশ সুপার বলেন, রাসেল তার প্রথম স্ত্রী রাশেদা বেগমের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছিলেন। এ নিয়ে ২৬ মার্চ রাতে রাসেল ও আমেনার কলহ হয়। একপর্যায়ে রাত ১টার দিকে সন্তানের সামনেই আমেনাকে গলাটিপে হত্যা করে সে।
রাসেল হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন জানিয়ে মুক্তা ধর বলেন, আমেনার সঙ্গে রাসেলের পরিচয় হয় চট্টগ্রামে। পরে তাদের বিয়ে হলে এক সন্তানের জন্ম হয়। কিছুদিন আগে তারা টাঙ্গাইল শহরে ভাড়া বাসায় ছিলেন। সেখানে রাসেল রিকশা চালাতেন। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, রাসেল মাদকাসক্ত ছিলেন এবং যৌতুকের দাবিতে আমেনাকে মারপিট করতেন। বিষয়টি আমেনা তার বাবাকে জানলে তিনি দুজনকে সীতাকুণ্ডে কম ভাড়ার বাসায় থাকার পরামর্শ দেন। সে অনুযায়ী সীতাকুণ্ডের বাঁশবাড়িয়ায় ৮০০ টাকা মাসিক ভাড়ায় থাকা শুরু করেন তারা। রাসেল সুবেদার রোলিং মিল নামে একটি কারখানায় কাটারম্যান হিসেবে যোগ দেন। তার শ্বশুরও তাদের বাসার কাছাকাছি থাকতেন।
ঘটনার দিন সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন বণিক বলেছিলেন, দুই বছর বয়সী ছেলের কান্নার আওয়াজ শুনে প্রতিবেশীরা ঘরের বেড়ায় ধাক্কাধাক্কি করে। কিন্ত কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে তারা ওই ঘরে ঢুকে মেঝেতে আমেনা খাতুনের লাশ পড়ে থাকতে দেখেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধইমরানের সরকার কি পতনের অপেক্ষায়?
পরবর্তী নিবন্ধঅলস দিন গুনছে চট্টগ্রাম ছেড়ে যাওয়া ফিডার জাহাজ