আমীর খসরু ও পরওয়ারসহ হাজারো নেতাকর্মীর জামিন

| মঙ্গলবার , ৬ আগস্ট, ২০২৪ at ৩:৪৬ অপরাহ্ণ

কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে নাশকতার মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ বিএনপি-জামায়াতের এক হাজারের বেশি নেতাকর্মীর জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ জামিন আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে বিচারক তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।

জামিন পাওয়া উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান ওরফে শিমুল বিশ্বাস, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল আলম নীরব, দক্ষিণের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম মজনু, ১২ দলের সমন্বয়ক সৈয়দ এহসানুল হুদা, বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক, বাগেরহাট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এম এ সালাম ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি।

প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে নাশকতার ঘটনায় করা ২শ’ মামলায় দুই হাজার ৫০০ জনের বেশি আসামিকে গ্রেপ্তার করে ডিএমপি। তাদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ছাড়াও দলটির অনেক নেতাকর্মী রয়েছেন। ২৪ জুলাই কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ঢাকায় সহিংসতার ঘটনায় করা নাশকতার মামলায় তিন দিনের রিমান্ড শেষে বিএনপি নেতা খসরুকে কারাগারে পাঠান আদালত।

খসরু ছাড়াও ওই দিন রাজধানীতে সহিংসতার ঘটনায় করা নাশকতার বিভিন্ন মামলায় বিএনপির আরও ৩৯৫ জন নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠান আদালত। এছাড়া নাশকতার বিভিন্ন মামলায় একই দিন ২৫ জনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এছাড়া ২৫ জুলাই বিকেলে রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোড এলাকার একটি বাসা থেকে তাকে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীকে আটক করে পুলিশ।

এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবির মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। পদত্যাগ করে সোমবার (৫ আগস্ট) বেলা আড়াইটার দিকে শেখ হাসিনা একটি সামরিক হেলিকপ্টারে ছোট বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে দেশ ছাড়েন।

শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ ছাড়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর রাস্তায় নামে জনতার ঢল। এ সময় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়, দলীয় সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয় এবং তেজগাঁওয়ের ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবন ও ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধু ভবনে আগুন জ্বালিয়ে দেয়া হয়। এছাড়া সারাদেশে আওয়ামী লীগ নেতা, মন্ত্রী ও এমপিদের বাসাবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিমানবন্দর থেকে পলক আটক
পরবর্তী নিবন্ধঅনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি ঘোষণা পুলিশের