আমার যত বিশুদ্ধ ভাবনা

সুলতানা কাজী | সোমবার , ১০ জানুয়ারি, ২০২২ at ৮:২০ পূর্বাহ্ণ

প্রচণ্ড ঠাণ্ডা। ভোরের ধোঁয়াশে কুয়াশায় সামনের কিছুই চোখে পড়ে না যেনো। একটা চাপা নিস্তব্ধতা। আবছা হয়ে আছে শহুরে কোলাহল। অজানা পাখির বিভৎস চিৎকারে বুকের ধুকপুক থেমে যাওয়ার উপক্রম। বাসার পিছনে খালের পানির যন্ত্রণাকাতর শব্দ! হিম হিম অনুভূতি। টেপের পানিতে যমদূত! আহ! প্রিয় সকাল।
নিবিড় মনে একাকি ছুটি। অপার্থিব নিস্তব্ধতা, হিম কুয়াশা ভেদ করে গভীর থেকে গভীরতর হয়। শীত, প্রচণ্ড শীত। এরই মাঝে আমি আলোর পথের সন্ধানে হাঁটি। কতোটা পথ হাঁটলে, তুচ্ছ হয় অন্ধকার? জীবনের আতশবাজির আড়ালে লুকিয়ে থাকা হিংসেগুলো হিংস্রতায় রূপ নেয়। প্রাণহীন সব, সবই। শহুরে রাস্তার সোডিয়াম লাইটে জোনাকির পুরো শরীরও জ্বলে, জ্বলবেও!
অখণ্ড আকাশ। শব্দহীন নির্জনতা পাতার ছায়া হয়ে ফুটে আছে। বুকের ভিতর হিমকথা ডিঙিয়ে দেয়ালে ঝুলানো বর্ষপঞ্জিকা, চিকচিক বালুচরের মতো আকর্ষণ করে যেনো। যতোটা জীবন দেখি, ততোটা মানুষ দেখিনা। গাছের কল্যাণে শিখেছি ছায়াবোধ। বিশুদ্ধ ভাবনায় চারাগাছ রোপণ করি মনে। জিজ্ঞাসার অসুখগুলো ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা করি। ধানের মঞ্জুরির মতো সহাস্য ভালোবাসায় নিজেকে গড়ি। প্রতিশ্রতিগুলো জমা রাখি গাছের উঁচু ডালে, মৃত্তিকার বাঁকে। আমি কুঁড়িয়ে চলি। মাটি, ভাষা, ভালোবাসা, সময়ের বীজমন্ত্র শুধু! লেখক: শিক্ষক

পূর্ববর্তী নিবন্ধসাদার্ন ইউনিভার্সিটিতে পুরকৌশল বিভাগের ৩য় আন্তর্জাতিক সম্মেলন
পরবর্তী নিবন্ধমেধার যেন অপমৃত্যু না হয়