আমার কবিতা ভাবনা

কমলেশ দাশগুপ্ত | রবিবার , ২৭ জুন, ২০২১ at ৬:৫৯ পূর্বাহ্ণ

অবচেতনে যা কিছু আসছে তা কি চেতনার অবদমিত সারাংশ? নাকি উপলব্ধি বা প্রকাশ বা অপ্রকাশের চূড়ান্ত বেদনার, ব্যর্থতার, অপারগতার কিছু অণু-পরমাণুর ছায়া বা কায়া।
অবচেতনে ছায়ার কি কোন কাঠামো থেকে যায়? যদি থাকে তা হ’লে তা কি কায়া থেকে পাওয়া এবং তাও কি সঠিক? কাব্য ও কবিতা সংলগ্ন?
এই সঠিক না বেঠিক? প্রশ্ন এবং দ্বন্দ্ব তার সঙ্গে কিছু ষহঃবষষপঃ বা বুদ্ধি বা যুক্তির সমন্বয় বা অন্যকিছু অকস্মাৎ বা চমৎকার পরিস্থিতি বা পরিবেশ বা অভাবিত মুহূর্তের দেখা ও দোদুল্যমানতার ভেতরে স্থায়ী, অস্থায়ী ও অন্তরা ও সঞ্চারীর এক অচিন সুরতরঙ্গে প্রচুর বিমূর্ত সব ছবি ও অব্যক্ত তার বেদনার ডানা উড়িয়ে এক নিরুদ্দেশ যাত্রাপথের দিকে আবার চলে যাওয়া! কিভাবে বলা যাবে এই সব কবিতার উপাদান? কিভাবে বলা যাবে হাজার হাজার শব্দের পাখিদের কোনটা কবিতার রুপোর বা সোনার খাঁচায় ধরা দেবে; সেই ওফেলিয়া, ডেস্‌ডিমনা, হেলেন বা এক মুহূর্তে সাঁ করে আসবে নেমে মর্ত্যে এলিজাবেথ টেলর, সুচিত্রা, মেরিলিন বা মাধুরীর বেশে কিংবা সেই ঘন সবুজের বনে ধানসিঁড়িটির বিজন জলে ঘূর্ণিতে ঘুরবে নিঃসার কিছু চোকো মাছ আর ছায়া সুনিবিড় বনলতা সেন। কোনমতেই যে কিছুরই নাগাল পাওয়া যায় না। কোনদিক থেকে কি! এই তো দুস্তর ব্যবধান আবার এইতো মিলেমিশে নির্ঝরিণী! একটা বিশাল ঘরে ঢাউস চকচকে ভায়োলা বা ঝক্‌্‌ঝকে গভীর বাদামী রঙে মোড়া বিশাল কারুকাজময় এক নীরব পিয়ানো কিন্তু একটু স্পর্শে জানান দেবে অচেনা অনিন্দ্যময় এক সুরতরঙ্গ।
শুধু অপেক্ষা, অপেক্ষা একটুখানি স্পর্শ; সেকি ‘ওড্‌্‌ টু নাইটিঙ্গেল না’ ‘বনলতা সেন’ না ‘রূপসী বাংলা’ নাকি সেই বীর আলেকজান্ডার বা পৃথ্বিরাজ? নাকি নূরুলদীন? না সক্রেটিস কিম্বা দ্বান্দ্বিক হেগেল? ভেবে পাই না!
কখন কার বা কিসের স্পর্শে কোন কবিতা উঠবে জেগে,
কোন সে ঝিলিক্‌্‌ ঝলমল এমন জটিল মেঘে!

পূর্ববর্তী নিবন্ধযেহেতু তুমিই বলেছিলে
পরবর্তী নিবন্ধআওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সভা