আমাদের সন্তানদের শিক্ষা ঝুঁকি

অরূপ কুমার বড়ুয়া | শুক্রবার , ২১ মে, ২০২১ at ৬:১০ পূর্বাহ্ণ

বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের আক্রমণে সমগ্র বিশ্ব বিপন্ন। সরকার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে গত বছর ১৭ মার্চ থেকে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয় গুলো ছুটির আওতায় রাখায় ছাত্র ছাত্রীগণ বাড়িতে অবস্থান করছে। ফলে ছাত্র ছাত্রীগণ স্বাভাবিক শিক্ষা থেকে প্রায় ১৪ মাস বঞ্চিত। প্রায় প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চেষ্টা করছে তাঁদের শিক্ষার্থীদের অন লাইনে পাঠদান করে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার সাথে যুক্ত রাখতে। কিন্তু অধিকাংশ বিদ্যালয় গুলো প্রযুক্তিগত সুযোগ না থাকায় অন লাইন পাঠদান সম্ভব হচ্ছে না। পাশাপাশি প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিদ্যুৎ ও প্রযুক্তিগত সুবিধা না থাকায় শিক্ষার্থীরা পড়লেখা থেকে দিন দিন দূরে সরে যাচ্ছে। এর ফলে আমাদের শিক্ষা খাত বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন।
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশান রিসার্চ সেন্টার (পিপিআরসি) ও ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্নেন্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের(বিআইজিডি) এক যৌথ গবেষণায় উঠে এসেছে যে প্রাথমিকের ১৯ শতাংশ ও মাধ্যমিকের ২৫ শতাংশ শিক্ষার্থী শিখতে না পারা বা শিক্ষণ ঘাটতির ঝুঁকিতে আছে। দেশের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক মোট শিক্ষার্থীর সংগে তুলনা করলে এই সংখ্যা প্রায় ৬০ লাখ। এইসব শিক্ষার্থীদের জন্য যদি কোন পুনরুদ্ধার কর্মসূচি হাতে না নিলে এসব শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার সম্ভাবনা বেশী। সরকার পূর্ববর্তী সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী ২৩ মে স্কুল-কলেজ এবং ২৪ মে থেকে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার কথা থাকলেও করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হওয়ায় ঘোষিত সময়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা যাবে কিনা তা এখন অনিশ্চিত। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়তে থাকলে ঝুঁকি আরো বাড়বে। গবেষণায় একটি ইতিবাচক তথ্য হচ্ছে যে জরিপে অংশ নেওয়া ৯৭ দশমিক ৭ শতাংশ প্রাথমিক শিক্ষার্থীর অভিভাবক এবং মাধ্যমিকের ৯৬ শতাংশ অভিভাবক বলেছেন পুনরায় স্কুল খুললে তাঁরা তাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠাবেন। এমতাবস্থায় আমাদের আগামীর ভবিষ্যৎ শিক্ষার্থীদের বিষয়ে গভীর ভাবে ভাবতে হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধলকডাউন-এ গানের আসর জমিয়ে বিবাহের অনুষ্ঠান বন্ধ করুন
পরবর্তী নিবন্ধকর্মসংস্থান তৈরির ক্ষেত্রে বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা প্রত্যাশা