প্রাচ্যের সৌন্দর্যরাণী আমার শেকড় চট্টগ্রাম আজ দূষণের যাতাকলে পিষ্ট। প্রকৃতির হেভেন সিটি চট্টগ্রাম এখন দূসর নগর। প্রতিনিয়ত শব্দদূষণ, বায়ু দূষণ, পানি দূষণ, বৃক্ষ নিধন পাহাড় কাটাকাটিও থেমে নেই। যত্রতত্র ময়লা ফেলে পরিবেশ দূষণ। সবমিলিয়ে চলছে পরিবেশ দূষণের অসুস্থ প্রতিযোগিতা। শব্দদূষণ যে মানবদেহের নীরব-ঘাতক সেটি অনেকে বোঝে না। গাড়ি চালকদের নেই প্রশিক্ষণ, লক্কর ঝক্কা মুড়ির টিন নিয়ে পিচঢালা রাস্তায় চলে তুফান মিল। একটু যানজট হলে গাড়ির মালিক চিৎকার দিয়ে গাড়ি চালককে বলে, হর্ন বাজাও জোরে। কে শোনে কার কথা। রাস্তায় হর্ন বাজানো থেকে বিরত নেই কেউ। শিক্ষিত-অশিক্ষিত সবাই পাল্লা দিয়ে হর্ন বাজায়।
তলস্তয়ের থ্রি কোয়েশ্চনস বা তিনটি প্রশ্ন ছিল, প্রথম প্রশ্ন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মানুষ কে? দ্বিতীয় প্রশ্ন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ কী? তৃতীয় প্রশ্ন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময় কী? প্রথম প্রশ্নের উত্তর- যিনি আপনার সামনে আছেন, দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ মানুষের উপকার করা। তৃতীয় প্রশ্নের উত্তর হলো এখন। মানে এখনই সময়। আইন-কানুন মেনে সাবধানে গাড়ি চালানোই বুদ্ধিমানের কাজ। সময়ের চেয়ে জীবনের মূল্য অনেক বেশি সেটা আমরা ভুলে যায়। আসুন রাস্তায় যদি ময়লা আবর্জনা দেখি নিজ হাতে তা কুড়িয়ে নিয়ে ডাস্টবিনে ফেলি। রাস্তায় গর্ত দেখলে নিজ হাতে মাটি দিয়ে ভরাট করে দিই। মানুষকে সচেতন করতে সবসময় মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাই। ‘যেখানে সেখানে থুতু ফেলব না’, ‘যেখানে সেখানে হর্ণ বাজাব না। শব্দ দূষণ করা থেকে বিরত থাকব’, বিপদগাশী শিশুদেরকে অন্ধকার জগত থেকে আলোর পথে আনব। শিশুদের জন্য পরিবেশ বান্ধব বাসযোগ্য পৃথিবী গড়ব। দেশের জন্য কাজ করব। আসুন আমরা সচেতন হয়।
আমাদের শহরকে দূষণ মুক্ত রাখি গাছ লাগিয়ে সবুজায়ন গড়ি। আসুন সচেতন হই। বদলে দিই পরিবেশ। আমরা সোনার বাংলাদেশে বাস করি কিন্তু সোনার মানুষের আজ বড় অভাব। বিশ্ব পরিবেশ দিবসে স্বপ্ন দেখি দেশের ১৬ কোটি মানুষের ৩২ কোটি হাত একত্রিত করে সুন্দর একটি পরিবেশ বান্ধব আগামীর বাংলাদেশ আমরা গড়তে চাই। ‘তুমি আমি হলে সচেতন, হবে না পরিবেশ দূষণ’, আসুন প্রতিজ্ঞা করি আমাদের পরিবেশ আমরা রক্ষা করব।