সবুজে ভরে উঠুক আমাদের পৃথিবী

ছাইফুল হুদা ছিদ্দিকী | রবিবার , ৫ জুন, ২০২২ at ৫:২৭ পূর্বাহ্ণ

আমার নিয়মিত পোষ্ট ‘সবুজের খোঁজে’ প্রিয় চুনতিতে একটি শিরোনাম। একটি অনুপ্রেরণা। দেশ ব্যাপী সবুজ গড়ার আন্দোলন। পরিবেশ উন্নয়ন ও সুরক্ষার সচেতনতা বৃদ্ধির একটা প্রচেষ্টা। ১৯৬৮ সালের ২০ মে সুইডেন সরকার জাতিসংঘের অর্থনীতি ও সামাজিক পরিষদের কাছে একটি চিঠির মাধ্যমে প্রকৃতি ও পরিবেশ দূষণ সম্পর্কে তাদের উদ্বেগের কথা জানান।

চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে ঐ বছরই পরিবেশ রক্ষার বিষয়টি জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের আলোচ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এর পরবর্তী বছর গুলোতে পরিবেশ রক্ষার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা এবং জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর অনুমোদন সাপেক্ষে সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে ১৯৭২ সালের ৫-১৬জুন জাতিসংঘ মানব পরিবেশ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। যা ইতিহাসের প্রথম পরিবেশ-বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের স্বীকৃতি পায়। ১৯৭৪ সালে প্রথম এই দিবসটি অনুষ্ঠিত হয়। সামুদ্রিক দূষণ, জনসংখ্যা, গ্লোবাল ওয়ার্নিং, বন্যপ্রাণের মতো পরিবেশগত বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির স্বার্থে দিবসটি পালন করা শুরু হয়। ১৯৭৩ সালে সম্মেলনের প্রথম দিন ৫ জুনকে জাতিসংঘ ‘বিশ্ব পরিবেশ দিবস’ হিসেবে ঘোষণা দেয়। এর পরের বছর আমেরিকায় ১৯৭৪ সালে ‘অনলি ওয়ান আর্থ’ বা ‘একমাত্র পৃথিবী’ এই থিম নিয়ে প্রথম বিশ্ব পরিবেশ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

যদিও ১৯৭৪ সাল থেকেই পরিবেশ দিবস ধরাবাহিকভাবে পালিত হয়ে আসছে। মানব সৃষ্ট কিছু অহেতুক কর্মকাণ্ড পৃথিবীর প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করছে। পৃথিবীর যে কয়েকটি দেশ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে হুমকির মুখে রয়েছে বাংলাদেশ তার মধ্যে অন্যতম। জলবায়ু পরিবর্তন ছাড়াও নদী বিধৌত ব-দ্বীপ বাংলাদেশ আরও প্রাকৃতিক সংকটের মুখোমুখি হয়। আমাদের ভাবতে হচ্ছে চলমান উন্নয়নের সঙ্গে পরিবেশ সুরক্ষা সমন্বয় করা। পরিবেশ রক্ষায় সরকারের সাথে সাথে সকল শ্রেণীর জনগণকে আরো ব্যাপক সচেতনতার এবং যথাযথ ভূমিকা পালন করতে হবে। প্রিয় দেশের প্রতিটি অঞ্চল গ্রাম, শহর ও বাড়ির ছাদ. সড়কের আশেপাশ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিল্পাঞ্চল সহ সকল আনাচে কানাচে সবুজে ভরে উঠুক। বিশ্ব পরিবেশ দিবস সফল ও সার্থক হোক।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআমরা সচেতন হলে পরিবেশ হবে দূষণমুক্ত
পরবর্তী নিবন্ধরাতের রাজপথে নতুন অপরাধী