হয়ত একদিন তোমরাই তোমাদের ভেঙে চুরমার করবে,
গুড়িয়ে দেবে, যেমনি তোমরা ভেঙে গুড়িয়ে দিয়েছো
ইতিহাস ঐতিহ্যের পালমিরা সভ্যতা
বামিয়ানের বিশাল বৌদ্ধ ভাস্কর্য মূর্তি।
তোমাদের কাছে এ পৃথিবী সমাজ সভ্যতা মানুষ
কোন কিছুই নিরাপদ নয়।
ভাস্কর্য আর মূর্তি ভাঙবে! গুড়িয়ে দেবে! দাও
আদতে ভাঙবে, গুড়িয়ে দেবে, তোমরা নিজেরা নিজেদের!
যে পৃথিবী বসতভিটা ইমারত উপসনালয়, শাণিত ত্রিশূল,
কৃষ্ণপাথর, সুবিশাল স্থাপনা, অট্টালিকা, সভ্যতা সবইতো মানুষের গড়া
সবইতো ভাস্কর্য আর মূর্তির পরম্পরা স্থাপনা শিল্প;
তাকেও কী গুড়িয়ে দেবে!
নাকি এক লহমায় ঠুনকো কাচের মত
সমাজ-সভ্যতা মানবিকতা চুরমার করে গুড়িয়ে দিতে চাও!
তোমাদের কাছেু ধর্ম-শিক্ষা-সংস্কৃতি, সমাজ-সভ্যতা, মানুষ
কোন কিছুই আজ নিরাপদ নয়।
তোমরা গুড়িয়ে দিতে চাও সব কিছু।
তোমারা ছুঁড়ে ফেলতে চাও
বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যু আমাদের অস্তিত্ব, শেকড়্ত
যার যথার্থ সমার্থক প্রিয় স্বদেশ বাংলাদেশ, মহান মুক্তিযুদ্ধ।
জেনো আমরাও জেগে আছি, মুষ্টিবদ্ধ হাতে প্রতিরোধে
জেগে থাকবো অতন্দ্র প্রহরী হয়ে বাংলার প্রতি প্রান্তরে প্রান্তরে।
কে তোমরা? কোথায় ছিলে? কোন পক্ষে ছিলে মহান মুক্তিযুদ্ধে?
আমরা তো চিনি তোমাদের
তোমারা হানাদারের দোসর, আল সামস আল বদর
কুখ্যাত রাজাকার তাদেরই পরম্পরা বংশধর।
তাইতো তোমরা, হ্যাঁ তোমরা ছুঁড়ে ফেলতে চাও!
আমাদের অস্তিত্ব প্রিয় স্বদেশ বাংলাদেশ
তোমাদের অবয়বে আমরা স্পষ্ট দেখতে পাই
সেইসব প্রেতাত্মা খুনি আর ধর্ষকের অবয়ব অবিকল।
তোমরা তো সেই পুরনো শকুন
জাতির পবিত্র পতাকায় অস্তিত্বে
আঁচড় কাটতে চাও এখনও।
জেনো, আমরাও জেগে আছি মুষ্টিবদ্ধ হাতে প্রতিরোধে,
জেগে থাকবো অতন্দ্র প্রহরী হয়ে বাংলার প্রতি প্রান্তরে প্রান্তরে।
আমদের পূর্বপুরুষ ছিলেন পেগান,
মানে তারা ছিলেন মূর্তিপূজারি, ভাস্কর, মৃৎশিল্পী,
গৃহস্থালির তৈজসপত্রের নির্মাতা, স্থাপনা শিল্পী।
মূর্তি আর ভাস্কর্য ভাঙবে! গুড়িয়ে দেবে! দাও!
আদতে ভাঙবে গুড়িয়ে দেবে তোমরা নিজেরা নিজেদের!
জেনো, আমরাও জেগে আছি
জেগে থাকবো অতন্দ্র প্রহরী হয়ে বাংলার প্রতি প্রান্তরে প্রান্তরে,
মুষ্টিবদ্ধ হাতে প্রতিরোধে।