আন্তর্জাতিক চাপ উপেক্ষা করে রাফাহে অভিযান চালানোর অঙ্গীকার নেতানিয়াহুর

| সোমবার , ১৮ মার্চ, ২০২৪ at ৫:২৩ পূর্বাহ্ণ

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আন্তর্জাতিক চাপ উপেক্ষা করে গতকাল রোববার গাজার রাফাহে হামাসের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালানোর অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন। সেখানে দুর্ভিক্ষ ঘনিয়ে আসছে বলে জানিয়েছে ত্রাণ সংস্থাগুলো। এর মধ্যে আবার যুদ্ধবিরতি আলোচনাও শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।

গাজার অন্যান্য অংশ থেকে পালিয়ে আসা প্রায় ১৫ লাখ ফিলিস্তিনি রাফাহে আশ্রয় নিয়ে আছে। জার্মান চ্যান্সেলর মধ্যপ্রাচ্যে তার এক সফরকালে রাফাহে ইসরায়েলের সামরিক অভিযান চালানোর পরিকল্পনার বিরোধিতা করার পর নেতানিয়াহু রাফাহে অভিযানের ওই অঙ্গীকার করলেন। মন্ত্রিপরিষদের একটি বৈঠকে নেতানিয়াহু বলেছেন, ইসরায়েলি বাহিনী রাফাহে প্রবেশ করবে। গাজায় ৫ মাসেরও বেশি সময়ের যুদ্ধে একমাত্র এই নগরীটিই অপেক্ষাকৃত নিরাপদ রয়েছে। নেতানিয়াহু বলেন, আমরা রাফাহে অভিযান চালাব। এ অভিযানে কয়েক সপ্তাহ লাগবে এবং এটি ঘটবে। অভিযানটি কয়েক সপ্তাহ ধরে চলবে নাকি কয়েক সপ্তাহের মধ্যে শুরু হবে তা স্পষ্ট করে বলেননি তিনি।

নেতানিয়াহু বলেন, কোনও আন্তর্জাতিক চাপই ইসরায়েলকে যুদ্ধের সব লক্ষ্য অর্জন করা থেকে বিরত রাখতে পারবে না। সব লক্ষ্য অর্জনের আগেই আমরা এখন যুদ্ধ থামালে এর মানে হচ্ছে, ইসরায়েল যুদ্ধে হেরে গেছে। আমরা এটি ঘটতে দেব না। হামাসকে নির্মূল করা, জিম্মিদের মুক্ত করা এবং গাজা আর হুমকি নয়সেটি নিশ্চিত করার লক্ষ্য নিয়ে ইসরায়েলকে যুদ্ধ চালিয়ে যেতেই হবে। আর তা করতে আমরা রাফাহে অভিযান চালাব।

ইসরায়েলের মিত্রদেশগুলো বরাবরই নেতানিয়াহুকে রাফাহে হামলা না চালানোর আহ্বান জানিয়ে এসেছে। সেখানে আশ্রয় নেওয়া মানুষদের সুরক্ষায় কোনও পরিকল্পনা না নিয়ে সেখানে হামলা চালানোর পক্ষে নয় দেশগুলো। জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস বলেছেন, রাফাহে ইসরায়েলের হামলা আঞ্চলিক শান্তি প্রতিষ্ঠাকে কঠিন করে তুলবে। বরং একটি দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করা নিয়েই এখন আমাদের চেষ্টা চালানো উচিত। তবে মিত্রদেশগুলোর এই চাপ উপেক্ষা করে নেতানিয়াহু বলেছেন, আপনাদের স্মৃতিশক্তি কী নষ্ট হয়ে গেছে? আপনারা এত তাড়াতাড়ি গতবছর ৭ অক্টোবরে ইসরায়েলে ঢুকে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের হত্যাযজ্ঞের কথা ভুলে গেছেন; যা ছিল হলকাস্টের পর ইহুদিদের বিরুদ্ধে চালানো সবচেয়ে ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ।

হামাসের ওই হামলায় প্রায় ১২০০ জন নিহত এবং ২৫০ জনের বেশি ইসরায়েলি হামাসের হাতে জিম্মি হয়। ওই দিন থেকেই হামাসকে নির্মূল করতে গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। ইসরায়েলের হামলায় গাজায় এ পর্যন্ত ৩১ হাজার ৪০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে, সেখানকার হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিশাল আগ্নেয়গিরির খোঁজ মিলল মঙ্গলে
পরবর্তী নিবন্ধস্কুলছাত্র মামুনুর রশীদ সহপাঠী চঞ্চলপুত্র!