আনোয়ারায় রায়পুর ইউনিয়নে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে অংশ নেয়া একটি টিমের উপর হামলা ও সরঞ্জাম ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৬টায় উপজেলার রায়পুর ইউনিয়ন বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ৩ জনের নাম উল্লেখ করে টিম লিডার ফয়সাল মিয়া বাদী হয়ে আনোয়ারা থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ২০/২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। ঘটনার পর পুলিশ অভিযুক্ত আসামি মোহাম্মদ রাসেলকে (২১) গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার হওয়া রাসেল রায়পুর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের আবদুল করিমের ছেলে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার রায়পুর ইউনিয়নে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমের নিবন্ধনকৃত ভোটারদের ছবি তোলার শেষ দিন ছিল। বিকাল ৫টার পর ছবি তোলার জন্য লাইনে আর কোনো ভোটার না থাকায় কার্যক্রম বন্ধ করা হয়। কার্যক্রম বন্ধের পর গ্রেপ্তারকৃত রাসেল আত্মীয় পরিচয়ে হেলাল নামে একজনের ছবি তোলার অনুরোধ করেন। এ সময় টিমের সদস্যরা তাদেরকে বাদ পড়া ভোটারদের পরবর্তী তারিখে ছবি তোলা হবে বলে জানান। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে স্থানীয় লোকজন ডেকে এনে টিমের সদস্যদের সঙ্গে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তাদেরকে মারধর ও সরঞ্জামাদি ভাঙ্গচুর করা হয়।
রায়পুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আমিন শরীফ বলেন, ছবি তোলার কার্যক্রম শেষ হওয়ার পর টিমের সদস্যদের মারধর করার কথা আমি শুনেছি। ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। একজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবু জাফর ছালেহ বলেন, এ ঘটনায় টিম লিডার ফয়সাল মিয়া বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেছেন। নির্বাচনী কার্যক্রমে নিয়োজিত সদস্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
আনোয়ারা থানার ওসি এস এম দিদারুল ইসলাম সিকদার বলেন, ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে নিয়োজিত সদস্যদের মারধরের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। ঘটনার মূলহোতা রাসেলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ আদালতে পাঠিয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।