আদালত প্রাঙ্গণে ধূমপান বন্ধের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক

| রবিবার , ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২ at ৫:২৭ পূর্বাহ্ণ

ধুমপান, বাংলাদেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী একটি দণ্ডনীয় অপরাধ। যেটার শাস্তি ‘ধুমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০০৫’এর ৪ ধারায় স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে। বলা হচ্ছে কেউ যদি পাবলিক প্লেস বা পাবলিক যানবাহনে প্রকাশ্যে ধূমপান করে তাহলে তাকে জরিমানা হিসেবে প্রথমবারের জন্য গুনতে হবে অনধিক ৩০০ টাকা। এবং দ্বিতীয় বা পরবর্তী প্রতিবারের জন্য গুনতে হবে তার দ্বিগুণ টাকা। অন্যদিকে একই আইনের ৬ক ধারায় উল্লেখ আছে, ১৮ বছর পূর্ণ হয়নি এমন কোনো ব্যক্তির কাছে তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয় করা যাবে না। করলে তাকে জরিমানা হিসেবে গুনতে হবে অনধিক ৫০০০ টাকা। এবং দ্বিতীয় বা পরবর্তী প্রতিবারের জন্য গুনতে হবে তার দ্বিগুণ টাকা। কিন্তু মানুষ পাবলিক প্লেসে প্রকাশ্যে ধূমপান করছে। আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ছোট ছোট বাচ্চাদের কাছেও তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয় করা হচ্ছে। কিন্তু এদের তেমন কোনো শাস্তির আওতায় আনা হয় না। শাস্তির আওতায় আনা হলেও তা হাতে গোনা। সবকিছু ছাপিয়ে আদালত প্রাঙ্গণেও ধূমপান করা হচ্ছে প্রকাশ্যে। আদালত একটি পবিত্র অঙ্গন। এই অঙ্গনে এমন প্রকাশ্য ধূমপান মোটেও কাম্য নয়। এটি যেমন আদালতের পরিবেশ নষ্ট করছে, অন্যদিকে আইনকে সরাসরি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানো হচ্ছে। বিষয়টা কালের ভেদে শুনতে খুবই নগণ্য হলেও আইন অঙ্গনে এসে আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানো কিন্তু চারটেখানি কথা নয়। অপরাধের হাজিরা দিতে এসে করা হচ্ছে নতুন অপরাধ। তাদের যেন আদালত প্রাঙ্গণের বাইরে গিয়ে ধূমপান করার অতটুকু তর সয় না। আইনের চর্চা করতে গিয়ে আইন অঙ্গনে এমন কার্যকলাপ মেনে নিতে পারি না। তাই কর্তৃপক্ষের প্রতি সদয় অনুরোধ থাকবে অন্তত আদালত ভবনের বিভিন্ন ফ্লোরে অস্থায়ীভাবে যে নাশতার দোকানগুলো আছে সেগুলোতে সিগারেট বিক্রি বন্ধ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। সেখানে সিগারেট বিক্রি বন্ধ করলে এবং পরবর্তীতে বিক্রি বা ধূমপান করতে দেখলে তার বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করলে এমন কার্যকলাপ ধিরে ধিরে কমে আসবে।
মশিউর রহমান আবির
শিক্ষানবিশ আইনজীবী, চট্টগ্রাম জজ কোর্ট।

পূর্ববর্তী নিবন্ধশান্তিতে থাকুন প্রিয় লিলিবাট
পরবর্তী নিবন্ধদেশ হতে দেশান্তরে