সাতকানিয়ার চরতী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড উত্তর তুলাতলী গ্রামের বাসিন্দারা এখনো আতংকিত। বালিদস্যুদের অতর্কিত এলোপাতাড়ি গুলির ঘটনায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে গ্রামে। ঘটনার পর ৩৬ ঘণ্টা অতিবাহিত হলেও ঘটনার সাথে জড়িত কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। এদিকে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহতদের মধ্যে কয়েকজন চিকিৎসা শেষে গতকাল শুক্রবার গ্রামে ফিরেছেন বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলাও হয়নি বলে জানিয়েছেন সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন। তবে মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার সকালে শঙ্খনদী থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলনকে কেন্দ্র করে কৃষকদের ওপর গুলি চালায় সন্ত্রাসীরা। জামায়াতের সাবেক নেতা মুমিনুল হক চৌধুরীর পুত্র মো. রুহুল্লাহ চৌধুরীর নেতৃত্বে এই হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধসহ ১৫ জন আহত হয়। এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বালি উত্তোলনের স্থান পরিদর্শনে আসার খবরে বৃহস্পতিবার সকালে নদীপাড়ে জড়ো হয় শতশত এলাকাবাসী। পরে বালি দস্যুদের হামলার শিকার হয় তারা।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. মোস্তফা জানান, গুলিবিদ্ধ আহতদের মধ্যে চিকিৎসা শেষে গতকাল শুক্রবার বাড়ি ফিরেছেন কয়েকজন। বালি দস্যুরা যাতে তাদের এলাকা থেকে আর বালি উত্তোলনের সুযোগ না পায় এ দাবি জানিয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যে শঙ্খনদীর যেসব স্থান থেকে বালি উত্তোলন করা হয়েছে সেসব স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে এবং অসংখ্য ঘরবাড়ি, কৃষি জমি নদী গর্ভে বিলিন হয়েছে। আমরা চাই না আমাদের বাপ-দাদার ভিটে মাটি হারাতে। এ এলাকার মানুষ অত্যন্ত নিরীহ।