আমেরিকার এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিংয়ের আড়াই গুণ উচ্চতার একটি দানবাকৃতি গ্রহাণু ধেয়ে আসছে পৃথিবীর দিকে। আগামী সপ্তাহের গোড়ার দিকে পৃথিবীর কাছাকাছি আসার সময় গ্রহাণুটির গতিবেগ দাঁড়াবে সেকেন্ডে প্রায় সাড়ে ১৯ কিলোমিটার বা ঘণ্টায় ৪৩ হাজার ৭৫৪ মাইল। এটি দৈর্ঘ্যে এক কিলোমিটার বা ৩ হাজার ২৮০ ফুট।
আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা গতকাল বৃহস্পতিবার এই খবর দিয়ে জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত গ্রহাণুটির গতিপথ যা সেই হিসাবে বলা যায় খুব কাছে এসে পড়লেও এ বার হয়তো তেমন বিপদ নেই পৃথিবীর। কারণ, এখনকার গতিপথ বজায় থাকলে গ্রহাণুটি খুব কাছে আসার সময় পৃথিবী থেকে তার দূরত্ব থাকবে চাঁদের দূরত্বের ৫ গুণ।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এটি খানিকটা ঘন ঘনই এসে পড়ছে পৃথিবীর কাছাকাছি। গ্রহাণুদের কক্ষপথ সাধারণত আগেভাগে খুব একটা আঁচ করা যায় না। তা বদলায়ও ঘন ঘন। কোনও গ্রহের খুব কাছাকাছি এসে পড়লে সেই গ্রহের জোরালো অভিকর্ষ বলের টানে গ্রহাণুদের আছড়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে। ১৯৭৪ সালেও এই গ্রহাণুটি পৃথিবীর কাছাকাছি এসে পড়েছিল। তবে খুব কাছে এসে পড়েছিল ৮৯ বছর আগে। ১৯৩৩ সালের ১৭ জানুয়ারি। নাসা জানিয়েছে, গ্রহাণুটি ফের পৃথিবীর খুব কাছে এসে পড়বে ৮৩ বছর পর। ২১০৫ সালের ১৮ জানুয়ারি।
নাসা জানিয়েছে, এই সৌরমণ্ডলে গ্রহাণুদের আদত ঠিকানা মঙ্গল ও বৃহস্পতি গ্রহের মাঝখানে থাকা গ্রহাণুপুঞ্জ (‘অ্যাস্টারয়েড বেল্ট’) থেকে আসছে না এই গ্রহাণু। এটি আসছে পৃথিবীর খুব কাছেপিঠের এলাকা থেকেই। তাই এদের ‘নিয়ার-আর্থ অবজেক্টস (এনইও)’-এর শ্রেণিভুক্ত করা হয়। এমন প্রায় ২৬ হাজার এনইও-র কথা এখনও পর্যন্ত জানতে পেরেছে নাসা। – আন্দবাজার পত্রিকা