আখ বেচে লাখপতি

কাপ্তাই প্রতিনিধি | রবিবার , ৮ নভেম্বর, ২০২০ at ৫:৪০ পূর্বাহ্ণ

রাঙামাটি পার্বত্য জেলার বিভিন্ন উপজেলার সমতল এলাকায় এ বছর আখের বাম্পার ফলন হয়েছে। জেলার কাপ্তাই, রাজস্থলী, বিলাইছড়ি, কাউখালী, নানিয়ারচরসহ বিভিন্ন উপজেলা সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা গেছে বিস্তীর্ণ এলাকায় আখ চাষ করেছেন বিপুলসংখ্যক চাষি। আখ বেচে অনেকেই লাখপতি হয়েছেন বলেও জানা গেছে। কাপ্তাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. শামশুল আলম চৌধুরী জানান, উপজেলার ওয়াগ্‌গা, রাইখালী এবং চিৎমরম ইউনিয়নে আখের বাম্পার ফলন হয়েছে। জেলার অন্যান্য উপজেলায়ও আখের ফলন ভালো হয়েছে। অতি বৃষ্টি এবং খরার তেমন প্রভাব না থাকায় এবার আখের ফলন আশানুরূপ হয়েছে বলেও তিনি জানান।
ওয়াগ্‌গা ইউনিয়নের প্রাক্তন মেম্বার এবং সফল চাষি আপাই মারমা বলেন, এই এলাকায় প্রতি বছর আখের চাষ ভালো হয়। এবারও তার ব্যাতিক্রম হয়নি। এই ইউনিয়নে শতাধিক আখ চাষি রয়েছেন। অত্র এলাকার আখ আকারে লম্বা, হৃষ্টপুষ্ট, মিষ্টি এবং নরম হওয়ায় এখানকার আখ সবারই পছন্দ। বেপারিরা অনেক আগেই আখ কেনার জন্য চাষিদের আগাম টাকা দিয়ে যান। মূলতঃ এখানকার বেশিরভাগ আখ চট্টগ্রাম ও ঢাকায় চলে যায়। প্রতিটি আখ বাগানে ১০ টাকা দরে বেপারীরা কিনে নেন। এই আখ শহরে ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হয়। আখ কেনার জন্য বেপারিরা ট্রাক নিয়ে আসেন। বাগান থেকে আখ কেটে সরাসরি ট্রাকে তোলা হয়। স্থানীয় বাজারেও আখ বিকিনিকি হয়। বরইছড়ি বাজার, ঘাগড়া বাজার, কাপ্তাই নতুন বাজার, দোভাষী বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে আখ বিক্রি হয় বলে জানা গেছে। ব্যবসায়ী আব্দুর রহিম জানান, তিনি স্থানীয় দোভাষী বাজারে আখ বিক্রি করেন। প্রতিদিন প্রায় ৩শ আখ বিক্রি হয়। আখ বিক্রি করে ভালোই মুনাফা করছেন বলেও তিনি জানান।
আরেক ব্যবসায়ী শওকত জানান, তিনি কাপ্তাই থেকে আখ কেনার জন্য চট্টগ্রাম শহর থেকে ট্রাক নিয়ে এসেছেন। প্রতি বছর তিনি কাপ্তাই থেকে আখ নিয়ে চট্টগ্রামে বিক্রি করেন। সিজনে আখ বেচে তাঁর লাখ টাকা আয় হয় বলে জানান। কাপ্তাই উপজেলার প্রাক্তন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মংসুই প্রু মারমা বলেন, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে বেশ কিছু জমি আছে যেখানে বছরের পর বছর আখ চাষ হয়। আখের ফলন ভালো হওয়ায় এবং চাষিরা বছরের পর বছর আখ চাষ করে থাকেন। চাষি রতন তনচংগ্যা বলেন, উপজেলা কৃষি বিভাগ সব সময় আমাদের সহযোগিতা ও পরামর্শ দিয়ে আসছে। কৃষি বিভাগের পরামর্শ পাওয়ায় চাষ পদ্ধতি ভালো হবার পাশাপাশি উৎপাদন খরচও কম হয় এবং বাজার মূল্যও ভালো পাওয়া যায়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধজাতীয় মহিলা সংস্থার প্রশিক্ষণ কর্মশালা
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে শীতবস্ত্র বিতরণ