আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি বলেছেন, আওয়ামী লীগে পিতার পরিচয়ে রাজনীতির করার দিন শেষ হয়ে গেছে। পিতা যদি দলের ত্যাগী এবং পরীক্ষিত নেতা হন, তাই বলে তার সন্তানরা সুযোগ সুবিধা পাবে– এটা শেখ হাসিনা বিশ্বাস করেন না। শেখ হাসিনার কাছে পিতার মতোই যেন পরীক্ষিত নেতা হন তার সন্তান।
তিনি বলেন, বিএনপির ছাত্র সংগঠন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতা শ্রাবণের পিতা যশোর কেশবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। পিতা আওয়ামী লীগের নেতা বলে ছেলে যে একই আদর্শের সৈনিক হবে তা কিন্তু নয়। গতকাল সোমবার কক্সবাজার পাবলিক লাইব্রেরির শহীদ সুভাষ হলে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত বঙ্গবন্ধুর জুলিও কুরি পদক প্রাপ্তির আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে হানিফ একথা বলেন। আগামী ১২ জুন অনুষ্ঠেয় পৌর নির্বাচনে দলের বিদ্রোহী প্রার্থীকে উদ্দেশ্য করে মাহবুবউল আলম হানিফ আরো বলেন, নির্বাচন আসলেই দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে প্রার্থী হবেন আর পিতার পরিচয় দিয়ে বেড়াবেন–এটা আর হবে না। বঙ্গবন্ধু নিজেও শৃঙ্খলা ভঙ্গকারীদের পছন্দ করতেন না, উগ্রতাকে পছন্দ করতেন না।
হানিফ বলেন, যারা দলের শৃঙ্খলা নষ্ট করবে তারা দলে থাকতে পারবে না। নির্বাচন আসলেই কিছু নেতাকর্মী দলীয় সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে। পরে তারা আবার ক্ষমা চেয়ে দলে যোগদান করে। এবার কিন্তু তা আর হবেনা। সেই সুযোগ তাদের দেয়া হবে না। যারা শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন তারা আর দলে ফিরতে পারবেন না।
কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ আরো বলেন, আগামী সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনার বিজয় নিশ্চিত করতে প্রতিটি নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীর বিজয় করতে দলীয় নেতা–কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। হানিফ বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন যথাসময়ে হবে। আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র আগেও ছিল, এখনো শেষ হয়নি। কিন্তু পৃথিবীর কোনো ষড়যন্ত্র আওয়ামী লীগকে পরাস্ত করতে পারবে না।
জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংস্কৃতিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট তাপস রক্ষিতের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি, কানিজা ফাতেমা আহমেদ এমপি, আশেক উল্লাহ রফিক এমপি, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমেদ চৌধুরী, কউকের সাবেক চেয়ারম্যান ফোরকান আহম্মেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেয়র মুজিবুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক ও মেয়র প্রার্থী মাহাবুবুর রহমান চৌধুরী, কেন্দ্রীয় নেতা প্রশান্ত ভুষণ বড়ুয়া, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজনীন সরওয়ার কাবেরী, সাবেক সহ–সভাপতি রেজাউল করিম, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রনজিত দাশ, পৌর আওয়ামী লীগে সভাপতি মো. নজিবুল ইসলাম, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি এসএম সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মারুফ আদনান প্রমুখ।
