অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি ও ব্যবহারে সকলের সচেতন থাকা জরুরি

ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সচেতনতা সভায় বক্তারা

| সোমবার , ৫ জুন, ২০২৩ at ৬:২৩ পূর্বাহ্ণ

ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফ বলেছেন, বর্তমানে অনেক কার্যকরী অ্যান্টিবায়োটিককে সংক্রমণ চিকিৎসায় অকার্যকররূপে পাওয়া যাচ্ছে। তাই আমাদের সবার আগে জানা দরকার এই অণুজীববিরোধী প্রতিরোধিতা বা অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স এবং সম্ভাব্য কারণ ও এর ভয়াবহতা সম্পর্কে। অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি থেকে ব্যবহার পর্যন্ত জড়িত সকলের সচেতন থাকা জরুরি।

গতকাল রোববার নগরের একটি হোটেলে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের উদ্যোগে ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহযোগিতায় অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স বিষয়ক সচেতনতা সভার সমাপনী দিনে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, যদি অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার বন্ধ করা না যায় এবং নতুন প্রজন্মের কোনো অ্যান্টিবায়োটিক বাজারে না আসে তবে বিশ্ব একটা ভয়াবহ ভবিষ্যতের দিকে ধাবিত হবে। বাংলাদেশ সরকার অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্সের ব্যাপারটি খুবই গুরুত্ব সহকারে নিয়েছে। এ থেকে উত্তরণের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপও গ্রহণ করেছে। সুনির্দিষ্টভাবে চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। তাছাড়া ফার্মেসিগুলোতে ফার্মাসিস্টদেরও বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নিয়ে ক্রেতাদের বিষয়টি অবহিত করতে হবে। খবর বাংলানিউজের।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. ইলিয়াস চৌধুরী বলেন, অ্যান্টিবায়োটিকের কার্যকারিতা হারানোর অর্থ হচ্ছেঅ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের ফলে জীবাণুগুলোর মধ্যে পরিবর্তন হয়, বেঁচে থাকার সামর্থ্য অর্জন করে। ফলে অ্যান্টিবায়োটিক অকার্যকর হয়ে পড়ে। আমাদের দেশে অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। ভাইরাসজনিত সর্দি, কাশি, জ্বরের মতো সাধারণ রোগের জন্যও চিকিৎসকরা অনেক সময় অ্যান্টিবায়োটিক সেবনের পরামর্শ দেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কনসালটেন্ট (এএমআর) কর্ণেল এ কে এম শহীদুল হাসান (অব.), ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর চট্টগ্রাম কার্যালয়ের উপ পরিচালক ওয়াহিদুর রহমান, ক্যামিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির সভাপতি সমীর কান্তি শিকদার প্রমুখ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধএডিস মশা নিয়ন্ত্রণে ৪১ ওয়ার্ডে ক্রাশ প্রোগ্রাম চালু চসিকের
পরবর্তী নিবন্ধ‘চন্দা হ্যায় তু’গানে দাদি-নাতনি