অস্ত্রের মহড়া ও ভাঙচুরে জড়িত ২০ জন শনাক্ত

চবি ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা

চবি প্রতিনিধি | মঙ্গলবার , ৬ ডিসেম্বর, ২০২২ at ৬:০৪ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালে প্রকাশ্যে দেশীয় অস্ত্রের মহড়া, হলের কক্ষ ভাঙচুর ও শিক্ষক-সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হওয়ার ঘটনায় প্রাথমিকভাবে শাখা ছাত্রলীগের ২০ জনকে শনাক্ত করা গেছে। শনাক্তের কাজ অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। গতকাল সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির একাধিকজনের সঙ্গে কথা বলে এই তথ্য জানা যায়। এ ঘটনায় জড়িতদের তদন্ত সাপেক্ষে স্বল্প সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানান তারা।

এর আগে গত শুক্রবার রাতে বগিভিত্তিক উপ-গ্রুপের চিকা মারাকে কেন্দ্র করে চবির এ এফ রহমান হলে সংঘর্ষে জড়ায় ভার্সিটি এক্সপ্রেস (ভিএক্স) ও বিজয় গ্রুপের একাংশের অনুসারীরা। প্রায় ৪ ঘণ্টা ধরে চলা এ সংঘর্ষে উভয়ের পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন। গুরুতর আহত বেশ কয়েকজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালে ভাঙচুর করা হয় হলের প্রায় অর্ধশতাধিক কক্ষ। প্রকাশ্যে চলে দেশীয় অস্ত্রের মহড়া। কেটে দেওয়া হয় পানির পাইপ। এছাড়া কিছু কক্ষ থেকে মালামাল লুটপাটের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করে উভয় পক্ষ।

ঘটনাস্থলে থাকা একজন সহকারী প্রক্টর ও কর্মরত সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হয় ছাত্রলীগের বিজয়ের গ্রুপের একাংশের কর্মীরা। আজাদীর হাতে আসা কিছু ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, প্রায় ছাত্রলীগ কর্মীর হাতে ছিল রামদা, চাপাতি, লোহার রড ও লাঠি। অনেককে মুখে কাপড় বেঁধে রামদা দিয়ে প্রতিপক্ষকে আঘাত করতে দেখা গেছে।

এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করতে কাজ করছে প্রশাসন। প্রাথমিকভাবে উভয় পক্ষের ২০ জনের মতো ছাত্রলীগ কর্মীকে শনাক্ত করা হয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে জড়িতদের নাম প্রকাশ করেনি কর্তৃপক্ষ। এছাড়া শাস্তির বিষয়টি জানা যাবে তদন্ত প্রতিবেদন ও ডিসিপ্লিনারি কমিটির সিদ্ধান্তের পর।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া আজাদীকে বলেন, গত শুক্রবার রাতে সংঘর্ষের ঘটনায় অনেকে আহত হয়েছে। এছাড়া অনেকগুলো কক্ষ ভাঙচুর করা হয়েছে। পাশাপাশি শিক্ষক-সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হওয়ার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কাজ করছে প্রশাসন। প্রাথমিকভাবে ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ১৫-২০ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। এছাড়া জড়িত আরো অনেকে এ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারে। তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রশাসন দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।

এদিকে রোববার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল বডি ও পুলিশের উপস্থিতিতে চবির এ এফ রহমান হলের দেয়ালে আঁকা ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক উপ-গ্রুপগুলোর চিকা মুছে ফেলা হয়। ক্রমান্বয়ে সব হল, অনুষদ ও স্থাপনায় আঁকা চিকা মুছে দেওয়া হবে বলে জানায় প্রক্টরিয়াল বডি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমুক্তিপণের জন্য অপহরণ ধর্ষণ করে খুন
পরবর্তী নিবন্ধজনসভায় চট্টগ্রামবাসী অংশ নিয়ে প্রমাণ করেছে তারা শান্তির পক্ষে